September 17, 2024
অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন : রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা এই যে আমরা আবার দেখলাম, তা তো নতুন কিছু নয়। সহিংসতাটা এর আগেও ছিল, বিশেষ করে গত বছরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বড় ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তখন মিয়ানমারের ৯জন পুলিশ সদস্য মারা গিয়েছিল এবং পাশাপাশি রোহিঙ্গা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের সীমান্তের উপর প্রচ- চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এটার পরে আবার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এর মাধ্যমে একদিকে আমরা দেখছি যে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কতগুলো শান্তি উদ্যোগ ছিল, বিশেষ করে জাতিসংঘের তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছিলাম, সেই তৎপরতার আরও গুরুত্ব বাড়তে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তার সীমান্তে যতই বাধারোপ করুক না কেন, যে ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন রোহিঙ্গাদের উপর চলছে, এর ফলে হয়তো পুরোপুরি সীমান্ত সুরক্ষা করা সম্ভব হবে না। ফলে বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের উপরে চাপ সৃষ্টি হবে এবং পাশাপাশি এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটা টানাপড়েন তৈরি হবে বা টানাপড়েনের এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই অনেক ধরেই সম্পর্কটা চাপের মধ্যে আছে। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। সেখানে এটি আবার নতুন করে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। আবার বাংলাদেশ সরকারের উপরে বহির্বিশ্ব থেকে তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও আসবে। এবং বাস্তবতা হচ্ছে দেশের ভেতরে এমনিতেই একধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে।
এবারের আক্রমণটি ছিল সহিংস। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি তারা তাদের আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ফলে ওই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলো তাদের যে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে যে তৎপরতা চালাচ্ছে, ফলে এ ধরনের সহিংস কার্যক্রমের ফলে তাদের কার্যক্রম বাড়বে। ফলে আমরা একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছি। বিশেষ করে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এবং রোহিঙ্গাদের ইতোমধ্যে ব্যাপক সংখ্যক বাংলাদেশে অবস্থানের কারণে এটি এখন আমাদের জন্য বড় রকমের নিরাপত্তা ঝুঁকি সামনে চলে আসছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের যে ন্যায্য অধিকার মিয়ানমারের ভেতরে, সেটির প্রতি বিশ্ব জনমত সৃষ্টি দরকার। যদিও আমরা জানি যে, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র তারা খুব একটা দায়িত্ব পালন করেনি। তবে এ ধরনের সহিংসতার ফলে হয়তো এ সমস্যার গুরুত্ব আরও অনুধাবন করতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ইতোমধ্যেই বলেছেন, যদি এ ধরনের সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে সহিংসতা আরও বাড়তে পাড়ে। ঘটনাটি কিন্তু তাই ঘটছে। আমার মনে হয় মিয়ানমারের উপরে বহির্বিশ্বের চাপটা আরও বাড়ানো উচিত। এবং এ ধরনের সহিংসতার যে মূল কারণ সে কারণটি হচ্ছে যে মিয়ানমারের ১৯৮৩ সালের নাগরিত্ব আইন। এ আইনটি যদি তারা পরিবর্তন না করে এবং মিয়ানমারের জনগণ যদি তাদের নাগরিকত্ব স্বীকার না করে তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
আমরা হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করব। এখানে দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক বিষয়। তবে রোহিঙ্গা সমস্যাকে যদি একটা মানসিক সমস্যা হিসেবে দেখি তাহলে তা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের যা করার দরকার তার কিছুই করছে না তারা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চাপ দেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার। বাংলাদেশকে আরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো প্রয়োজন। তার কিছুটা হয়তো আমরা দেখছিও। কিন্তু এটি আরও বাড়াতে হবে। সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত বিপন্ন রোহিঙ্গারা হয়তো কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে ঢুকে যাবে। কিন্তু এমন একটি ধারণা যেন অতীতের মতো না হয়, ওখানে সহিংসতা হলে এখানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসবে। তবে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মানবিক দিকটি মাথায় রাখতে হবে।
পরিচিতি: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন
প্রতিনিধি : প্মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের’ রক্ষায় দেশটি কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮৯ ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে ওই রাজ্যের নাগরিকদের রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারের এবং বেসামরিক জনগণ বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের যথাযথ সুরক্ষা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্তৃক নতুন করে হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ লক্ষ্য করেছে এবং এই হামলার প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এই হামলা ক্রমাগত চলায় সংশ্লিষ্ট নিরীহ জনগণের জীবননাশ হয়েছে, ‘যা রাথেডং-বুধিডং এলাকায় সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অভিযানে ঘটেছে।’
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ‘রাখাইন রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার’ পরপরই এই বিবৃতিটি ইস্যু করা হয়।
‘এই সমস্যা সমাধানে মূল কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপকভাবে ও সার্বিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা চলায় সচিব গুরুত্ব দিয়েছেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করছে যখন রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন, যা কফি আনান কমিশন হিসেবে সমধিক পরিচিত, তার সুপারিশমালা রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির সমাধানে এগিয়ে যাবে, সেই সময়েই এই সন্ত্রাসী হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাসস।
তুরিন আফরোজ : ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থায় ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক বিশাল পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। রায়ের ২২৬ পৃষ্ঠা থেকে ২২৯ পৃষ্ঠায় তাঁর এই পর্যবেক্ষণ বিধৃত হয়েছে। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেমন, দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণ, দুর্নীতি পরিস্থিতি, অকার্যকর সংসদ, স্বাস্থ্যখাতের অবনতি, জনপ্রতিষ্ঠানসমূহকে মেধাশূন্যকরণ, প্রশাশনিক অব্যবস্থাপনা, অপরাধের পরিবর্তিত ধরন, নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যর্থতা, নিয়ন্ত্রণবিহীন আমলাতন্ত্র, নির্বাহী বিভাগের ঔদ্ধত্য ও অদক্ষতা ইত্যাদি।
তাহলে মাননীয় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তাঁর মতে, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোনো কিছুই আশাব্যঞ্জক নয়। তবে হ্যাঁ, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে ২২৯ পৃষ্ঠায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি লিখেছেন:
Even in this endless challenge , the judiciary is the only relatively independent organ of the State which is striving to keep its nose above the water through sinking.
অর্থাৎ তিনি লিখেছেন:
“সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝেও রাষ্ট্রের একমাত্র অপেক্ষাকৃত স্বাধীন অঙ্গ, বিচার বিভাগ, ডুবন্ত অবস্থায়ও নিজের নাক পানির ওপর ভাসিয়ে রাখবার লড়াই করে যাচ্ছে।”
এই যে পানির ওপর নাক ভাসিয়ে আমাদের বিচার বিভাগ নিরন্তর লড়াই করে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান সবার ওপরে রাখছেন, দুর্নীতি নিয়ে তার একটা সাম্প্রতিক প্রতিচ্ছবি দেখে আসা যাক।
মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে, ২০০৯ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে তিনি অবসরে যান। আলোচিত এই বিচারপতি ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত’ বলে তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে আমেরিকায় অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। যে কারও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।দুদকের কাছে কোনো অভিযোগ এলে প্রথমে অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর জবাবে ২৮ এপ্রিল আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দুদকে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এই চিঠিতে বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীন দীর্ঘকাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি অনেক মামলার রায় প্রদান করেছেন। অনেক ফৌজদারি মামলায় তার প্রদত্ত রায়ে অনেক আসামির ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের দেওয়া রায় সকলের উপর বাধ্যকর। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তার দেওয়া রায়সমূহ প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটবে। সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন হবে না মর্মে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করেছে দুদক। চিঠিটি কমিশনের সভায় উপস্থাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির সঠিকতা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিঠির সঠিকতা যাচাই করে তা আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তীরই বলে নিশ্চিত হয় দুদক। এ বিষয়ে দুদকের একটি নথিতে বলা হয়েছে:
“পত্রটি স্বাক্ষরকারী অরুণাভ চক্রবর্তী মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটিতে তার স্বাক্ষর সঠিক।”
ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ের ২২৮ পৃষ্ঠায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ‘অবাধ দুর্নীতি’ চলছে। তাঁর এই দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের প্রতি আমরা অবশই সাধুবাদ জানাই। কিন্তু মাননীয় প্রধান বিচারপতি যখন বিচার বিভাগের দুর্নীতির তদন্ত বন্ধের বিষয়ে চিঠি দিয়ে দ্বৈত অবস্থান গ্রহণ করেন তখন আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না।
বিচার বিভাগের দুর্নীতি কি তাহলে দুর্নীতি নয়? বিচারকগণ কি তাহলে আইনের ঊর্ধ্বে? আমাদের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ তাহলে আমার প্রশ্ন, আমার দেশের বিচারপতিগণ কি ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো মহামানব যে, আমাদের জনগণ তাদেরকে দুর্নীতি করার অবাধ ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে?
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিচার বিভাগের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের টানাপড়েনের জন্য বিএনপি দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনায় তিনি বক্তব্য দেন। এ সময় ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগের সঙ্গে ভাল টানাপোড়েন চলছে। একটা রায় নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে কারা। প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে পাড়া দিয়ে আরেকটি অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এভিডেন্স (সাক্ষ্য-প্রমাণ) লুকানোর এবং সরানোর কাজটা করেছেন। সুতরাং ২১ বছর পর যে তদন্ত হয়েছে তা বাস্তবভিত্তিক ছিল বলেও মনে করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের ১৫৪ জন অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার বিতরণ করেন আইনমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন অনেকেই বলছেন তদন্তের ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত রাঘব বোয়ালরা ছুটে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা কিন্তু ১৯৭৫ সালে বা আশির দশকে কিংবা নব্বয়ের দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় নাই। শুরু হয়েছে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে। ফলে দীর্ঘ এতদিন পর যে তদন্ত হয়েছে তা সঠিক।
এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য দরখাস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের জন্য সরকার তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য দরখাস্ত করা হয়েছে।
রায়টি আরো পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরো পড়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের জন্য সরকার তৈরি হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের ১৫৪ জন অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রায়ের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় এবং আপত্তিকর যে কথাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেখানো স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ উগ্র কোন প্রতিক্রিয়া না দেখায় বা প্রতিক্রিয়ার কোনো ভাষায় আদালত অবমাননা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এসব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখানো অন্যায় নয়। তিনি বলেন, সরকার রায়ের সঙ্গে হয়তো একমত পোষণ করে না কিন্তু রায়কে শ্রদ্ধা করে।
এখন অনেকেই বলছেন তদন্তের ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত রাঘব বোয়ালরা ছুটে গেছে- উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা কিন্তু ১৯৭৫ সালে বা আশির দশকে কিংবা নব্বয়ের দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় নাই। একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে এ মামলা শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সাথে সম্পৃক্ত এবং তারাই এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের এভিডেন্স লুকানোর এবং সরানোর কাজটা করেছেন। সুতরাং ২১ বছর পর যে তদন্ত হয়েছে তা বাস্তব ভিত্তিক ছিল।
এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি, তাদের আস্তানা ও বিস্ফোরক শনাক্তে অত্যাধুনিক ‘রোবট টিম’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে ও আস্তানায় অভিযান পরিচালনার কৌশল নির্ধারণে এ রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব রোবট আমদানি করা হবে। যার দাম পড়বে প্রায় এক কোটি টাকা। রোবটগুলোতে হাই রেজুলেশনের একাধিক ক্যামেরা, ছবি স্ক্যান করার ব্যবস্থা ও বিস্ফোরক শনাক্তকণের ক্ষমতা থাকবে। বিশেষ করে আস্তানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান ও তাদের কাজের কৌশল তাৎক্ষণিকভাবে জানতে সাহায্য করবে রোবটগুলো। যা সিটিটিসির অগ্রগামী অভিযানকারী সদস্য হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি’র বোম্ব ডিসপোসাল টিমের কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রাণ হারাতে হয়েছে। এছাড়া জঙ্গিরা আত্মঘাতী হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকিতে পরতে হয়। সন্দেহভাজন আস্তানায় জঙ্গিদের অবস্থান জানার জন্য তাই প্রথমেই রোবট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এ রোবট ব্যবহার করা হবে।
তারা আরও জানান, বিশেষ করে সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের সময় র্যাব ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তা ও সদস্য নিহতের পর কৌশলী হয়েছে সিটিটিসি। এছাড়া রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জঙ্গিদের অবস্থান ও বিস্ফোরকের ধারণা না থাকায় সেখানেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমেরিকা থেকে ওই অত্যাধুনিক রোবট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একাধিক রোবট ক্রয়ের জন্য একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে অনেক আগেই। সেই মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সঙ্গে ‘রোবট টিম’ যুক্ত হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোবট নিয়ন্ত্রণ করা হবে মূল অভিযান স্থলের বাইরে থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। রিমোর্ট কন্ট্রোলের সহায়তায় রোবটকে প্রথমে আস্তানায় পাঠানো হবে। রোবটগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য—এটি স্থল, জল ও বন্ধুর পথে দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম, যাওয়ার পথে কোনও ধরনের বাধা পেলে সহজেই ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে, আস্তানায় প্রবেশের রাস্তা বন্ধ থাকলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা তৈরি করতে পারবে ও আস্তানার ভেতরের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ছবি তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে পারবে। এসব তথ্য পাওয়ার পরপরই মূল অভিযান পরিচালনাকারী টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালাবে।
জঙ্গি আস্তানায় রোবট ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিরাপদে বোমা এবং বিস্ফোরক পদার্থ পর্যবেক্ষণ এবং নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে বোম্ব ডিসপোজাল রোবটের পরিবর্তে আমরা এতদিন মানুষ ব্যবহার করছিলাম, যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।’
রাষ্ট্রের মূলত তিনটা মূল অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগ, নির্বাহি বিভাগ ও রাষ্ট্রের আইন বিভাগ। এই তিনটা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা প্রত্যাশার জায়গাটা কি দেখি? রাষ্ট্র তখনই স্থিতিশীলি থাকবে এবং দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে যখন আমাদের এই তিনটা প্রতিষ্ঠানের মাঝে পারস্পারিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে। সেই সাথে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠার অপর প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মানশীল থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাত্রে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।
আমাদের রাষ্ট্রের এই মূল তিনটা প্রতিষ্ঠানের মাঝে যখন বির্তক সৃষ্টি হবে এবং একে অপরকে হেও করবে তখন আমাদের এই রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হয়ে পরবে। সেই সাথে রাষ্ট্রের সাভাবিক প্রক্রিয়াগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা এই বিষয়গুলো দীর্ঘ সময় দেখেছি। আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হঠাৎ করে তৈরি হয়না । বিভিন্ন কারণে দীর্ঘনের ক্ষোভের কারণে এই বিষয়গুলো তৈরি হয়। আজ আদালত যে পর্যবেক্ষণ পেশ করে এই ধরণের ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। এই ধরণের ঘটনা আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি।
নঈম নিজাম আরো বলেন, আমার মনে হয় আজ বিচার বিভাগ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে এই ক্ষেত্রে আমাদেরন সকলকেই ধর্যের পরিচয় দিতে হবে। প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ আজ তিনি বলেছেন, আমি কোন দলের ফাঁদেই পা দেবো না। একজন প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা সেটা কিন্তু এটাই। তিনি আমাদের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করেছেন। এই প্রত্যাশা শুধু আমার নয় এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের। আমাদের সময় ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসাইনকে বরখাস্তের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেয়। একইসঙ্গে শাহাদৎ হোসাইনকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
রিটের পক্ষে আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, ড. শাহাদৎ হোসাইনকে বরখাস্তের আগে কোনো ধরনের শোকজ নোটিশ দেয়া হয়নি। এমনকি তাকে নিজের পক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের লঙ্ঘন। তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে ছিলেন। এ অবস্থায় বরখাস্ত করা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। এসব যুক্তি উল্লেখ করে রিটটি করা হয়।
গত ৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসাইনকে বরখাস্তের আদেশের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে ঢাবির উপাচার্য, সিন্ডিকেট, রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রী তাদের মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ মার্চ তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. শাহাদৎ।
ইত্তেফাক
ডেস্ক রেপোর্ট : জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে প্রায় দুই কোটি টাকাসহ মোস্তাক খাঁকে (২৬) হবিগঞ্জে গ্রেফতার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, মোস্তাক খাঁর বিরুদ্ধে আগেই মানি লন্ডারিং আইনে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি তুরস্কে অবস্থান করে জঙ্গিদের কাছে অর্থের হাত বদল ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও তিনি অর্থ জঙ্গিদের হাতে পৌঁছিয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে হবিগঞ্জ সদর থানাধীন তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার কাছ থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এই দুই কোটি টাকা তিনি জঙ্গি অর্থায়নে কাজে লাগাতেন। ইত্তেফাক