পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

না ফেরার দেশে কণ্ঠযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কণ্ঠযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ লস অ্যাঞ্জলসের সন্নিকট শহর গ্লেনডেন সিটির একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বোন রীনা আহমেদ। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।

রীনা আহমেদ জানান, “মৃত্যুর আগে ইউরিন ব্লাডারে তার একটি টিউমারও ধরা পড়েছিল।”

মাদারীপুর জেলার চিকিৎসক আলাউদ্দিন আহমদের ছেলে মঞ্জুর আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত লসঅ্যাঞ্জেলসে সপরিবারে বাস করছিলেন। মঞ্জুরের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মঞ্জুর আহমেদের অনেক গান বাঙালিদের উজ্জীবিত করেছে।”

নিউ ইয়র্কে বসবাসরত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অপর দুই কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, রথীন্দ্রনাথ রায় ও যুক্তরাষ্ট্র সফররত সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি রেজাউল বারী গভীর শোক জানিয়েছেন তার মৃত্যুতে। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে কন্ঠযোদ্ধা মঞ্জুরের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Posted in Uncategorized | Comments Off on না ফেরার দেশে কণ্ঠযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ

বাম্বল-কে কিনতে চেয়েছিল ম্যাচ গ্রুপ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : অনলাইন ডেটিং অ্যাপ বাম্বল-কে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে ম্যাচ গ্রুপ, তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বাম্বল।

ম্যাচ গ্রুপ অনলাইন ডেটিং সাইট টিন্ডার, ওকেকিউপিড আর ম্যাচ ডটকম-এর মালিক প্রতিষ্ঠান। বাম্বল ডেটিং সাইট হলেও এর বিশেষত্ব হচ্ছে এক্ষেত্রে নারীদের আগে আলাপ শুরু করতে হয়, তবে যদি দুই পক্ষ একই লিঙ্গের হয় তবে যে কেউই শুরু করতে পারেন।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ম্যাচ এ খবর প্রকাশের দুই মাস আগে তিন বছর বয়সী স্টার্টআপ বাম্বল-কে কিনতে ৪৫ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল। বাম্বল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুইটনি ওলফ বাম্বল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১২ সালে টিন্ডার ছেড়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেন তিনি। পরবর্তীতে আদালতের বাইরে এ মামলার মীমাংসা হয়, বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।

ওলফ ডেটিং ওয়েবসাইট বাদু’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রে অ্যান্ড্রিভ-এর সঙ্গে মিলে বাম্বল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাদু, বাম্বলের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক।

এ নিয়ে বাদু কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে। বিডিনিউজ২৪

Posted in তথ্যপ্রযুক্তি | Comments Off on বাম্বল-কে কিনতে চেয়েছিল ম্যাচ গ্রুপ

‘বিষণ্নতা’ সার্চে প্রশ্ন করবে গুগল

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ইউএস ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেস (নামি)-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। এই দুই প্রতিষ্ঠান মিলে প্রকল্পটি হাতে নিচ্ছে, তবে বর্তমানে এই প্রকল্প শুধু মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্যই থাকবে। বিষণ্নতা নিয়ে সার্চ করা ব্যবহারকারীদের একটি অপশন দেওয়া হবে, যাতে বলা থাকবে “চেক ইফ ইউ আর ক্লিনিকালি ডিপ্রেসড” বা “আপনি বিষণ্নতার রোগে ভুগছেন কিনা তা যাচাই করুন।”

এক ব্লগপোস্টে নামি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মানুষকে আরও দ্রুত সহায়তা দিতে এই প্রক্রিয়া কাজ করবে। সংস্থাটি বলে, “‘চেক ইফ ইউ আর ক্লিনিকালি ডিপ্রেসড’ অপশন চাপার মাধ্যমে আপনি গোপনে নিজেকে যাচাইয়ের একটি সুযোগ পাবেন, এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিষণ্নতার মাত্রা বুঝতে পারবেন।”

‘নলেজ প্যানেল’-এর এই প্রশ্নপত্র দেখানো হবে। বক্সটি মোবাইল ডিভাইস থেকে কোনো ব্যবহারকারী সার্চ করার পর ‘নলেজ প্যানেল’ বক্সটি সার্চ রেজাল্টের উপরে দেখা যাবে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

এ ক্ষেত্রে পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চেনিয়ার-৯ নামের একটি প্রশ্ন তালিকা দেওয়া হবে। এটি হচ্ছে মাসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক নয়টি প্রশ্নের একটি তালিকা।

গুগলের পণ্য ব্যবস্থাপক ভিদুসি টেকরিওয়াল বলেন, যেসব ব্যবহারকারী এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন, সেগুলো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেখা হবে না বা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করা হবে না।

Posted in তথ্যপ্রযুক্তি | Comments Off on ‘বিষণ্নতা’ সার্চে প্রশ্ন করবে গুগল

গ্যালাক্সি নোট ৮ উন্মোচন করলো স্যামসাং

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : নোট সিরিজের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট ৮ উন্মোচন করেছে স্যামসাং। আগের বছর নোট ৭ দূর্ঘটনার পর এবার নতুন নোট ৮-এ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

দক্ষিণ কোরীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির জন্য সাম্প্রতিক সময়টা বেশ কষ্টকরই বলতে হবে। প্রথমে গ্যালাক্সি নোট ৭ বিপর্যয় তারপর দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিষ্ঠান প্রধানের গ্রেপ্তার, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।

এর মধ্যে গ্যালাক্সি এস৮ ও এস৮ প্লাস ডিভাইস দিয়ে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছে স্যামস্যাং। এবার ২৩ অগাস্ট গ্যালাক্সি নোট ৮ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে গ্রাহকের আস্থা পুরোপুরি ফিরে পাওয়ার প্রয়াশ করছে স্যামসাং।

গ্যালাক্সি নোট ৮ নিয়ে আগে থেকেই বহু তথ্য ও ছবি ফাঁস হয়েছে। বাস্তবেও তার ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায়নি।

গ্যালাক্সি এস৮-এর চেয়ে নোট ৮ কিছুটা লম্বা ও চওড়া। আর এস৮ এর গোলাকার কোণাগুলোর চেয়ে এটির পর্দা কিছুটা চার কোণা আকারের।

গ্যালাক্সি এস৮-এর পর্দাকে ইনফিনিটি ডিসপ্লে দাবি করেছে স্যামসাং। নতুন গ্যালাক্সি নোট ৮-এও একই ধরনের পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। এটির পর্দার আকার ৬.৩ ইঞ্চি, যেখানে গ্যালাক্সি এস৮ প্লাস-এর পর্দা ৬.২ ইঞ্চি।

এর পাশাপাশি স্মার্টফোনটিতে প্রথমবারের মতো ডুয়াল ক্যামেরা যোগ করেছে স্যামসাং। আর নোট সিরিজের সিগনেচার ফিচার এস পেন স্টাইলাসও রয়েছে এতে। নোট ৮ স্টাইলাইসের জন্য নতুন কিছু ফিচারও আনা হয়েছে।

নতুন এই ডিভাইসটিতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসরের সঙ্গে ৬ জিবি র‍্যাম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, এবার ব্যাটারি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার জন্য এতে ছোট ব্যাটারি ব্যবহার করেছে স্যামসাং। নোট ৮-এর ব্যাটারি রাখা হয়েছে ৩৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার।

২০১১ সালে প্রথম নোট সিরিজ উন্মোচন করে স্যামসাং। তবে নোট সিরিজ কখনোই স্যামসাংয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ডিভাইসগুলোর মধ্যে ছিল না। কিন্তু এর প্রতি গ্রাহকের ভালোবাসা ভিন্ন।

স্যামসাং ইউরোপের ফিল ল্যান্ডার বলেন, “ব্যবহারকারীদের ওপর করা একটি জরিপ ভিন্ন গল্পই বলছে। তারা খুব বিশ্বস্ত, ১০ জনের মধ্যে ৮ জন উত্তরদাতা তাদের স্মার্টফোনের জন্য ‘ভালোবাসা’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। চারজনের মধ্যে তিনজন বলেছেনে এটি তাদের ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো স্মার্টফোন।”

নতুন গ্যালাক্সি নোট ৮-এ স্যামসাংয়ের ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট সেবা বিক্সবিও রাখা হয়েছে। আর গ্যালাক্সি এস৮-এর মতো নোট ৮-এও বিক্সবির জন্য আলাদা বাটন রাখা হয়েছে।

ডিভাইসটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। আর বাজার এলে এর মূল্য কতো হবে সেটিও বলা হয়নি। তবে, স্মার্টফোনের মূল্য অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিডিনিউজ২৪।

Posted in তথ্যপ্রযুক্তি | Comments Off on গ্যালাক্সি নোট ৮ উন্মোচন করলো স্যামসাং

কোরবানির পশু কিনতে খামারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিভিন্ন হাট ঘুরে পছন্দসই পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন খামার থেকে সংগ্রহ করা যায় গরু বা ছাগল। রাজধানীর আশপাশে এরকম বেশ কয়েকটি খামার রয়েছে।

খামার থেকে গরু কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায়। আটিবাজার, ভেড়িবাঁধ, জিঞ্জিরা, হযরতপুরে রয়েছে প্রায় ৩শ’র মতো খামার।

এদের মধ্যেই একটি খামার ‘টাইমস অ্যাগ্রো’। আটিবাজার এলাকায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে ১০ কাঠা জমিতে মাত্র একটি ভুট্টি গরু নিয়ে টাইমস অ্যাগ্রো গড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মাহবুব-ই-খোদা।

তিনি বলেন, “এবারের ঈদ মৌসুমে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২০টিতে। যার মধ্যে অবশিষ্ট আছে ১শ’ ও ২শ’ কেজি ওজনের দুইটি ভুট্টি গরু, দাম যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৮০ হাজার টাকা। ৩শ’ কেজি ওজনের একটি পাকরা গরু, দাম দেড় লাখ টাকা এবং দুইটি দেশি গরু, প্রতিটির দাম ৮০ হাজার টাকা।”

“আমাদের খামার থেকে গরু ওজন মেপে কেনার সুবিধা রয়েছে। কেনার সময় আমাদের নিজস্ব পশু চিকিৎসক পশু যাচাই বাছাই করতে সাহায্য করবেন ক্রেতাদের। বিক্রয়োত্তর চিকিৎসা সেবাও পাবেন। তবে চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে হবে। ঢাকার ভেতরে যে কোনো স্থানে বিনামূল্যে গরু পৌঁছে দেওয়ার সুবিধাও দিচ্ছি আমরা।”

একই এলাকার আরেকটি খামার ‘বিক্রমপুর অ্যাগ্রো’। খামারের মালিক মোহাম্মদ আজিজ আশরাফ ও ফয়সাল আশরাফ শখের বসে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন।

মোহাম্মদ আজিজ আশরাফ বলেন, “এ বছর ঈদুল আজহায় প্রায় ৭০টি ষাঁড় ও গরু লালনপালন করেছি, যা এখন বিক্রয়যোগ্য। এদের মধ্যে ভারত থেকে আমদানী করা হাসা জাতের গরু, সিলেটের বড় সিংওয়ালা ‘ফাইটার’ ষাঁড়, ভুট্টি গরু ইত্যাদি অন্যতম। আর দেশি গরু তো আছেই।”

মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে পালন করা হয়েছে ভুট্টি গরু।

আজিজ আশরাফ বলেন, “প্রায় দুই বছর ধরে ভুট্টি গরুগুলো পালন করছি। ‘কংগো’ নামের গরুটির চকচকে কালো রং, বড় শিং, বড় গুজ। খাটো হলেও একে বশে আনতে তিন থেকে চার জন শক্তিশালি মানুষ লাগে। বাদামি লাল রংয়ের আরেকটি ভুট্টি গরুর নাম দিয়েছি ‘রাউটার’। ‘কংগো’য়ের ওজন ৩৫০ কেজি এবং ‘রাউটার’য়ের ওজন ২শ’ কেজি। ‘কংগো’য়ের দাম ধরেছি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর ‘রাউটার’য়ের এর দাম ১ লাখ টাকা।”

২০০৯ সালে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দুই বিঘা জমির উপর ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ খামারটি গড়ে তোলেন ইমরান হোসেন।

তার কথায়, “বর্তমানে আমাদের সংগ্রহে ৫শ’র বেশি গরু আছে। যার মধ্যে শাহিওয়াল, সিন্ধি জাতের গরুই বেশি। এদের ওজন হবে ১৫০ কেজি থেকে ৯০০ কেজি। দাম ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদেরও দেশি গরুতেই আগ্রহ বেশি। ৫শ’ থেকে ৬শ’ কেজি ওজনের দেশি গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে বেশি, দাম গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।”

“এছাড়াও ভুট্টি গরু আছে প্রায় ৫০টি। ওজনে গরুগুলো প্রায় ১২০ কেজি থেকে ২২০ কেজি পর্যন্ত হয়, দামটা ৭৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। এছাড়াও আছে অস্ট্রেলিয়ান বড় গরু যার ওজন হতে পারে ৯শ’ কেজি থেকে ১২শ’ কেজি। দাম পড়বে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।”

খামারের মালিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এক ক্রেতার সঙ্গে।

রাজধানির কলাবাগানের বাসিন্দা মাহবুব, পেশায় ছাত্র হলেও তিনিও ছোট একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঈদের ৯ মাস আগেই পরিবারের সম্মতি নিয়ে এই ফার্ম থেকে একটি ভুট্টি গরু কিনেছেন।

কথা বলে জানা গেল, তুলনামূলকভাবে বিক্রিমপুর অ্যাগ্রোতে দাম কম এবং ছোট ও মাঝারি গরু বেশি থাকায় তিনি এখান থেকে গরু ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন।

নারায়নগঞ্জের আটিবাজারের ‘টাইমস অ্যাগ্রো’। এই খামারে কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে পালা হচ্ছে দেশি ও বিদেশি জাতের মাঝারি গরু। খামারের পরিচালক মাহবুব-ই-খোদা জানান শখের বসে করা এই খামারে ২০টির মতো গরু আছে। ছোট থেকে মাঝারি সবগরুই এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে পালন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বিক্রমপুর অ্যাগ্রো’র মালিক তপু এবং ফয়সাল শুরু থেকে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে আসছেন।”

তিনি আরও জানান, এই দেশের গরু মোটা তাজাকরণ ফার্মগুলোর মধ্যে ‘সাদিক অ্যাগ্রো’র মালিক ইমরান হোসেন, ‘দ্যা হাম্বা ফ্যাক্টরি’র আদনান-আল-নাহিয়ান, কাজী শেহজাদ এবং ‘শরিফ অ্যাগ্রো’র রায়হান শরীফ তাকে বেশ উৎসাহ দিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন নতুন খামারী হিসেবে।

মাহবুবের খামারে ‘পাকরা’ জাতের গরুর মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পাকিস্তানি শাহিওয়াল‘ পাকরা এবং নেপালী জাতের মিশ্রণ এই গরুর ওজন ৩শ’ কেজি।

হাটে যেতে যাদের যন্ত্রণা মনে হয়, এসব খামার থেকে তারা পশু কেনার জন্য ঢুঁ দিতে পারেন। বিডিনিউজ২৪।

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on কোরবানির পশু কিনতে খামারে

ডালিমের গুণাগুণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডালিমে রয়েছে ভাইরাস ও টিউমার-রোধী উপাদান। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, সি এবং ই’সহ ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডালিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

বয়সের ছাপ কমায়: ডালিম উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। সূর্যের তাপ ও পরিবেশের ক্ষতিকারক পদার্থ ত্বকের ক্ষতি করে। যা থেকে রক্ষা করতে ডালিম সাহায্য করে।

রক্তের তারল্য ঠিক রাখে: ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখে এবং এর বীজ রক্তের প্লাটিলেট জমাট বাঁধতে ও ঘন হতে বাধা দেয়। পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

রক্ত জমাট বাঁধা দুই ধরনের। প্রথমটা হল, কোথাও কাটে গেলে, সেই ক্ষত স্থানে রক্ত জমাট বাঁধা যা শরীরের জন্য ভালো। অন্যদিকে, শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধা যেমন- ধমনী বা হৃদপিণ্ডে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। যা রক্ষা করে ডালিমের দানা।

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় এই ফল। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ‘ফ্রি রেডিক্যাল’, কোলেস্টেরল এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে: ডালিম তরুণাস্থির ক্ষয় ঘটায় এমন এনজাইমের সঙ্গে যুদ্ধ করে হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

হৃদরোগ ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস ‘প্রস্টেইট ক্যানসার’ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমায় এমনকি ধ্বংসও করতে পারে। রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখায় এটা হৃদরোগ প্রতিহত করে।

ডালিমের পুষ্টিগুণ

এক কাপ ডালিমের বীজে ২৪ গ্রাম শর্করা এবং ১৪৪ ক্যালরি থাকে।

প্রতি এক কাপ ডালিমের বীজ থেকে- ৭ গ্রাম আঁশ, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে’ পাওয়া যায়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: মনে রাখায় সমস্যা আছে এমন কিছু ব্যক্তিদের প্রতিদিন ২৩৭ মি.লি ডালিমের রস খাওয়ানো হয়। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পর তাদের স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়েছে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডালিমের রসে ‘পিউনিসিক অ্যাসিড’ রয়েছে যা কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

হজমে সহায়তা: আঁশ হজমে সাহায্য করে। আমরা প্রতিদিন সবজি ও ফলমূল না খেয়ে নানান ‘জাঙ্ক ফুড’ খেয়ে থাকি যা শরীরের ক্ষতি করে। প্রতিদিন আঁশের চাহিদা মেটানোর জন্য খাদ্যতালিকায় ডালিম যোগ করুন। একটি ডালিমে ৪৫ শতাংশ আঁশ থাকে যা প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ডালিমে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি যৌগ থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি বেশি থাকায় শরীরে অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সাধারণ রোগবালাই ও সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকা যাবে।

প্লাক দূর করে: ডালিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা মুখে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া থেকে রক্ষা করে। বাজারের অ্যালকোহল সমৃদ্ধ মাউথওয়াশের চাইতে এটা অনেক বেশি কার্যকর।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের হাইড্রোঅ্যালকহলিক উপাদান দাঁতে অণুজীবের কারণে সৃষ্টি হওয়া প্রায় ৮৪ শতাংশ প্লাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

সতর্কীকরণ

হৃদরোগীদের জন্য ডালিমের রস উপকারী। তবে অনেক সময় ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে থাকে। তাই সচেতন থাকতে হবে এবং কোনো ওষুধ খাওয়ার মধ্যে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।বিডিনিউজ২৪

Posted in Uncategorized | Comments Off on ডালিমের গুণাগুণ

তেল ছাড়া দম বিরিয়ানি

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তেলের পরিবর্তে টক দই দিয়ে রান্না এই বিরিয়ানি স্বাদ ও গন্ধে দারুণ।

রেসিপি দিয়েছেন ফেইসবুকের ‘নওরিন’স কুকিং ওয়ার্ল্ড’ পেইজের তাসনুভা রোজ নওরিন।

মাংস মেরিনেইট করতে যা যা লাগবে: মুরগি/খাসি/গরুরু মাংস – আধা কেজির কম (চর্বি ছাড়া)। টক দই আধা কাপ। পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। টমেটোকুচি ১ কাপ। লালমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ এবং আধা চা-চামচ (মরিচের ঝাল অনুযায়ী কমিয়ে, বাড়িয়ে নেবেন)। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ (হলুদ অনেক সময় অনেক বেশি রং হয়। সেটা খেয়াল রেখে কমিয়ে-বাড়িয়ে নেবেন)। ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ। কারি পাউডার ১ চা-চামচ (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়)। গরম মসলার গুঁড়া – ১/৪ চা-চামচ (ঘরের তৈরি)।

আস্ত গরম মসলা – লং, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ আস্ত ৩/৪টি করে মিলিয়ে দেবেন।

লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আস্ত গোটা মসলাগুলো বাদে সব উপকরণ মিশিয়ে এক ঘণ্টা মেরিনেইট করে রাখুন।

এখানে গরুর মাংস ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রেসার কুকারে দিয়ে আধা রান্না করে নেওয়া হয়েছে।

এক ঘণ্টা রেখে অথবা সারারাত মেরিনেইট করে রাখলেও বেশ সুস্বাদু হবে। প্রেসার কুকারে মাংস দিয়ে দিন। উপরে গোটা গরম মসলাগুলো দিয়ে মিশিয়ে দেবেন।

চুলার আঁচ যেন বেশি না থাকে। মাঝারি থেকে অল্প জ্বালে মাংস রান্না হবে।

মাংসটা একটু পর পর নাড়া দিন। এভাবে মাংসটা কষানো হলে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন। দুতিন শিটি দিলে পরখ করে দেখুন। যদি মাংস আধা রান্না হয়ে থাকে তাহলে নামিয়ে নিন। দরকার পরলে আরও দুএক শিটি দিন। মাংস খুব বেশি মাখা মাখা হবে না।

যেহেতু তেল নাই সেহেতু মাংসের ঝোলটা চাল সিদ্ধ হতে সাহায্য করবে। তাই শুধু কষিয়ে আসলে মাংস নামিয়ে নিন।

নোট ১: গরম মসলার গুঁড়া বাসায় তৈরি করা ভালো। বাসায় তৈরি গরম মসলার ঘ্রাণ অনেক জোরালা থাকে। তাই দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন বেশি না হয়। তাহলে পুরা বিরিয়ানি গরম মসলার গন্ধ আর তিতা ভাব চলে আসবে।

নোট ২: টক দই দিয়ে পুরা রান্নাটা শেষ করা হবে। তাই টক দই মেশানোর সময় খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন মাখা মাখা হয়। কারণ টক দই কষে যে পানিটা আসবে সেটা মাংস নরম করবে। আর পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। তবে বেশি টক দই দিয়ে দিলে সেটার গ্রেইভি বা ঝোল চালের সঙ্গে চিপসে যাবে। ফলে চালটা আর ঝরঝরা হবে না। ভর্তার মতো হয়ে যাবে। তাই টক দই মেশানোর সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।

নোট ৩: মরিচ, হলুদ, ধনেগুঁড়া একেকজন একেক উপকরণ ব্যবহার করেন। তাই এ ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন।

বিরিয়ানির জন্য উপকরণ: বাসমতি চাল ৩ কাপ। হলুদ রংয়ের জন্য– সামান্য দুধে হলুদগুঁড়া মিশিয়ে রাখুন (ইচ্ছা)। আস্ত গরম মসলা– এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ২,৩টি।

সাজানোর জন্য বেরেস্তা: একটা পেঁয়াজ পাতলা ফালি করে কেটে বড় বাটিতে নিয়ে হাতের তিন আঙুলে একটু ’ন্যাচারাল আনসলটেড বাটার’ দিয়ে পেঁয়াজে মেখে দিন। এরপর এক মিনিট করে মোট ছয় মিনিট মাইক্রোওয়েইভ ওভেনে পেঁয়াজ বেরেস্তা করুন। শেষের বার আর একটু বাটার লাগিয়ে সামান্য চিনিগুঁড়া ছিটিয়ে বেইক করুন।

বাটার না থাকলে সাধারণ তেল দিতে পারেন। তেল/বাটার দেওয়ার কারণ পেঁয়াজটা নয়ত পুড়ে যাবে কিন্তু বেরেস্তা হবে না। এভাবে বেরেস্তা করার ক্ষেত্রে একবারে ছয় মিনিট সেট করে দেবেন না। এতে যেমন অঘটন ঘটতে পারে আবার পেঁয়াজ পুড়ে যেতে পারে। তাই এক মিনিট করে দেবেন। আর এক মিনিট পর পর বের করে চামচ দিয়ে নেড়ে আবার দেবেন।

পদ্ধতি:
হাঁড়িতে পানি দিয়ে তাতে গরম মশলা আর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে পানিটা ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল ধুয়ে দিয়ে দিন। চাল যখন একবার বলক আসবে বা আধা সিদ্ধ হবে ঠিক তখনি পানি ঝরিয়ে নিন।

এবার ননস্টিক হাঁড়ি অথবা প্রেসার কুকার নিন।

প্রথমে নিচে ঝোলসহ মাংস বিছিয়ে উপর আধা চাল, তার উপর হলুদ রং ছিটিয়ে দিন। দুতিনটা কাঁচামরিচ ফালি আর ধনেপাতা-কুচি ছিটিয়ে এরপর বাকি মাংস দিয়ে ঠিক একইভাবে আরেক স্তর করুন।

এবার প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে প্রথমে ১০ থেকে ২০ মিনিট মাঝারি আঁচে, তারপর ১০ মিনিট অল্প আঁচে দমে রাখুন।

নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম দম বিরিয়ানি।বিডিনিউজ২৪

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on তেল ছাড়া দম বিরিয়ানি

৫১ দিনেই গত অর্থবছরের তিনগুণ চাল আমদানি

ডেস্ক রিপোর্ট : দুই দফা বন্যায় খাদ্য সঙ্কট এড়াতে সরকার শুল্ক কমিয়ে আনার পর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হচ্ছে বাংলাদেশে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৫১ দিনে (১ জুলাই থেকে ২১ অগাস্ট) মোট ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস) প্রায় তিন গুণ।

সরকারি-বেসরকারি পর্যায় মিলিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরের ৫১ দিনের আমদানির তথ্য হিসাব করে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হচ্ছে।

সরকারি গুদামের মজুদ তলানীতে নেমে আসায় এবং দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল আমদানিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার।

আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সরকার নিজে যেমন চাল আমদানি করছে, তেমনি দুই দফায় শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অবাধ সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পাশের দেশ ভারত থেকে স্থলপথে প্রচুর চাল আসছে।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, এপ্রিল-জুনের বন্যায় বোরোর পর চলতি অগাস্টের বন্যায় আউশ ও আমনের উৎপাদন বড় ধাক্কা খেয়েছে।

“এ পরিস্থিতিতে আমরা আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য মজুদ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে সরকারি পর্যায়ে ১৫ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দেশে কোনো রকম খাদ্য সঙ্কট নাই। আমাদের গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য আছে, বাজারেও পর্যান্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য আছে।… আমরা কেবলমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য, কোনো রকম সমস্যায় যাতে না পড়তে হয় সেজন্য বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি।”

এপ্রিলের শুরুতে হাওরে আগাম বন্যার কারণে এবার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ লাখ টন কম হওয়ায় এবং বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকায় গত ২০ জুন আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। সেই সঙ্গে ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়।

কিন্তু তাতে মজুদ পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি না হওয়ায় এবং অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেওয়ায় চালের আমদানি শুল্ক দ্বিতীয় দফায় কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্য মজুদ পরিস্থিতির তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২১ অগাস্ট পর্যন্ত সরকারের গুদামগুলোতে ৩ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। গত বছরের এই দিনে চালের মজুদ ছিল ৭ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন।

গত ২১ অগাস্ট পর্যন্ত যে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৯ টন চাল আমদানি হয়েছে, তার মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে এসেছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮১ মেট্রিক টন। আর সরকারি পর্যায়ে ৮৩ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।

আমদানির পর ভর করে সরকারি গুদামের খাদ্য মজুদ জুলাইয়ের ১ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে তিন লাখের উপরে উঠলেও বাজারে চালের দাম কমেনি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বুধবারও ঢাকার বাজারে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়। আর ভালো মানের চাল চাইলে কেজিতে ৫৮ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে।

টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে মোটা চালের দাম কেজিতে এক টাকার বেশি বেড়েছে। আর এক বছরে বেড়েছে প্রায় ২৮ টাকা।

অবশ্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মনে করছেন, চালের দাম এখনও মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং দাম খুব একটা কমার সম্ভাবনাও তিনি দেখছেন না।

গত ১৮ অগাস্ট তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ট্যাক্স কমানোর ফলে বাজারে চালের দাম অবশ্যই আরও কমবে। বাজারে চালের দাম খুব একটা বেশি নাই, এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। সবার কাছে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে, এখন বাজারে দাম বেশি না।”

তবে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর মনে করছেন, সরকার শুল্ক কমানোর উদ্যোগ আরও আগে নিলে বাজারে চালের দাম এতটা বাড়ত না।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সরকারের চাল আমদানির শুল্ক অনেক আগেই কমানো উচিৎ ছিল। তাহলে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি বাড়ত। আর সরবরাহ বাড়লে দামও সহনীয় থাকত।”

তিনি বলেন, “এখন যে করেই হোক সরকারি মজুদ বাড়াতে হবে। একবার যে ভুল হয়ে গেছে সেটা যেন আর না হয়। বর্তমানের আড়াই-তিন লাখ টন মজুদ একেবারেই নগন্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষকে এই মজুদ থেকেই খাদ্য দিতে হবে।বিবেচনায় রাখতে হবে, একজন মানুষও যেন খাদ্যের অভাবে মারা না যায়।” বিডিনিউজ২৪

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on ৫১ দিনেই গত অর্থবছরের তিনগুণ চাল আমদানি

সুন্দরবনের ১০ কিলোর মধ্যে কারখানা অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্প-কারখানা অনুমোদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।

ওই ১০ কিলোমিটার ব্যসের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা বর্তমানে রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আইনজীবী জাকির পরে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সম্প্রতি সুন্দরবনের পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায়, অর্থাৎ ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কমবেশি ১৫০টি ছোটোবড় শিল্প কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

এসব শিল্পকারাখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘সেইভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের’ সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম গত ১২ এপ্রিল হাই কোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়েই আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছে বলে জানান জাকির।

সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্টের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন হবে না এবং নতুন শিল্প কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

পরিবেশ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সুন্দরবনের আশে-পাশের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সাল এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৫ ধারার (১) ও (৪) উপধারার ধারার ক্ষমতাবলে সংরক্ষিত এ এলাকাকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।

“এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের এ ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে।”

এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয় রিট আবেদনে।

Posted in সারা দেশ, স্বাস্থ্য | Comments Off on সুন্দরবনের ১০ কিলোর মধ্যে কারখানা অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা

ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট বেশি জনপ্রিয়: সাকিব

খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শক পর্যন্ত সবার সহায়তা না থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এ পর্যন্ত আসতো না বলে মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সাকিব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার আসাটা অনেক বড় পরিতুষ্টির বিষয়। দশ এগারো বছর একটা লম্বা সময়। তো এটাও একটা বড় সঙ্কেত যে আমাদের কতটা উন্নতি হয়েছে, কতটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। এটা আসলে সবারই কৃতিত্ব। আমি কেবল দশ বছরই বলবো না। এর আগে থেকেই এবং এর পরের সবারই ক্রেডিট। শুধু খেলোয়াড়দের কথাই বলবো না। প্রশাসনিক দিক থেকেও অনেক বড় কৃতিত্ব দেয়া উচিৎ। ফ্যাসিলিটিস, আমাদের সাপোর্ট স্টাফ, প্রতিটা কোচ এমনকি আপনাদেরও (সাংবাদিক) এবং দর্শকদের, সবার কম্বিনেশন না থাকলে আমরা এতদূর আসতে পারতাম না।’

ক্রিকেট পাগল দেশ ভারতের চেয়েও বাংলাদেশে খেলাটি বেশি জনপ্রিয় বলেও মনে করেন সাকিব।

‘আমাদের দেশে ক্রিকেটটা যেভাবে পছন্দ করে আমার কাছে মনে হয় না ভারতেও অতটা পছন্দ করে। বাংলাদেশে সবকিছুর আগে এখন ক্রিকেট। এই অর্জনটাও আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। বিশেষ করে আমাদের খেলোয়াড়দের কাছে।’

সবকিছুর কারণেই এখন খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে নিয়মিত উন্নতি করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দেশের এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, ‘আগে সেভাবে সহায়ক উইকেট পেতাম না আমরা। জেতার চিন্তাটা সেভাবে করার সুযোগ হয়তো ছিলো না। হয়তো ড্র করার চিন্তা ছিলো। এখন আমাদের পরিবর্তনটা হয়েছে যে, আমারা জিততে চাই বা জেতার জন্য খেলবো। এই কারণেই আমাদের বোলারদের জন্য সুযোগটা একটু বেশি থাকে।’

এরিমধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। আগামী রোববার মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। সিরিজের শেষ টেস্টটি মাঠে গড়াবে ৪ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

Posted in খেলাধুলা | Comments Off on ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট বেশি জনপ্রিয়: সাকিব

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud