পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রেণ্য কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা এ কিংবদন্তী শিল্পীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বারের ভূমিকা স্মরণ করেন। তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এ কালজয়ী শিল্পীর অবদানকে কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করার নয়।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া শিল্পী আবদুল জব্বার। গত সাড়ে ৩ মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বরেণ্য কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা এ কিংবদন্তী শিল্পীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বারের ভূমিকা স্মরণ করেন। তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এ কালজয়ী শিল্পীর অবদানকে কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করার নয়।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া শিল্পী আবদুল জব্বার। গত সাড়ে ৩ মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

বৃষ্টি হলেও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন সড়কে যান চলাচল বেড়ে গেলে এবং বৃষ্টি হলেও ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন না।

আজ বুধবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অনেকাংশে মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই এবার ঈদযাত্রায় বৃষ্টি হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।

তিনি বলেন, আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত যান চলাচলের হার বেড়ে যাবে। যান চলাচলের চাপ বাড়লে গতি হয়তো ধীর হয়ে যেতে পারে। তবে যানজট হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদকে সমানে রেখে বিআরটিসির ৫০টি বাস রিজার্ভ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকলে এই বাসগুলো নামানো হবে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিবে তাদের কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on বৃষ্টি হলেও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন না

মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম : দেশের তিন মহাসড়কে যানজট দিন দিন বাড়ছে। এর অনেকগুলো কারণ আছে। আমরা জানি, দুই ঈদের সময় অস্বাভাবিক রকমের বেশি যাত্রী চলাচল করে রাস্তাগুলোতে। সাধারণ যে যাত্রী পরিবহন বা যাত্রী সংখ্যা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি যাত্রী চলাচল করে এই সময়ে। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ বাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচল করে। সাধারণ সময়ে সড়কের যে ধারণ ক্ষমতা সেই তুলনায় অনেক বেশি চাপ লক্ষ্য করা যায়। শুধু যাত্রীবাহী পরিবহনই নয়, বিশেষভাবে কুরবানির ঈদে কুরবানির পশুবাহী যানবাহন বিপুল সংখ্যায় চলাচল করে। এটা যানজটে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এটা পৃথিবীর আর কোনো শহরে হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের মহাসড়কগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। সড়ক তো তৈরি করা হয় কিন্তু সেখানে উন্নতমানে তৈরি হয় না এটাও একটা কারণ। আবার এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার ফলে সমস্যাটা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

আবহাওয়াজনিত কারণেও এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিবৃষ্টি হলে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশের সড়কগুলো পিচঢালা হওয়ার কারণে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কংক্রিটের হলে হয়তো এত দ্রুত নষ্ট হতো না। এবার বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহাসড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় সড়ক ভেঙে গেছে, সেতু ভেঙে গেছে, কালভার্ট ভেঙে গেছে এসব কারণে যানজটটা আরও বেশি হচ্ছে। ব্যবস্থাপনার সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বহুবিধ সমস্যার কারণে এটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের যানজট কমিয়ে আনা একেবারে সহজ হবে না। মানুষের চলাচল কিভাবে কমাবেন। এই সমস্যাগুলো দূর করতে ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রিক করতে হবে। এটা তো আমি বলে ফেললাম দুটো শব্দের মাধ্যমে কিন্তু এটা করাটা খুব কঠিন। তবে এটাই হলো দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা। ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রিকরণ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আগামী পাঁচ বছরে, দশ বছরে, বিশ বছরে একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতেই হবে। অর্থাৎ বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহরে যেন উন্নয়ন হয়। দেশের সব মানুষকে যেন ঢাকায় আসতে না হয়। সব মানুষকে আবার ঢাকা থেকে যেন বেরিয়ে না যেতে হয়।

পৃথিবীর আর কোনো শহরে এই মাত্রায় যানজট লক্ষ্য করা যায় না। কম বেশি হয়। যেমন পূজার সময় কলকাতা, দিল্লিতে যানজট হয় কিন্তু ঢাকার মাত্রায় হয় না। কাজেই এই সমস্যা সমাধানে ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। মহাসড়কগুলোর লেন বাড়াতে হবে। এবং এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে। রেলওয়ের মান উন্নয়ন করতে হবে, তাহলে মহাসড়কের উপর চাপটা কমবে।
পরিচিতি: স্থপতি ও শিক্ষাবিদ

মতামত গ্রহণ: সাগর গনি

Posted in নির্বাচিত কলাম, সারা দেশ | Comments Off on মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে

সরকার বন্যাদুর্গত উত্তরাঞ্চলে ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত জনরগণের পুনর্বাসনে তাঁর সরকার ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগামী বোরো ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত কৃষকরা নানা সুবিধা পাবেন। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ৬ লাখ কৃষক আগামী ফসল তোলার আগে পর্যন্ত বোরো ফসলের ৫ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি করে এমওপি এবং প্রত্যেক কৃষককে ১ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
একইসঙ্গে সরকার কৃষকদের সহযোগিতার জন্য ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার একটি প্রণোদনা প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। যাতে একজন কৃষক ১০ থেকে ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন। কাজেই কৃষকদের আর সার এবং বীজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কৃষকরা ধান ব্যতীত অন্য ফসল উৎপাদন করতে চান এমন স্বল্প সংখ্যক কৃষকের মাঝে বিভিন্ন জাতের বীজ, ডাল এবং অন্যান্য শস্য ও দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ধানের চারা এই আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখ থেকে দেয়া শুরু হবে এবং উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গত এলাকায় তা বিতরণ চলবে, যাতে পানি নেমে যাবার সাথে সাথেই কৃষকেরা চাষবাস শুরু করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধানের চারা বর্তমানে সরকার নিয়ন্ত্রিত দেশের সকল কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজার ভাসমান বীজতলা তৈরী করে এই চারা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এক একজন কৃষক ১ কেজি করে গম এবং দুই কেজি যব বীজ, এক কেজি সরিষা বীজ, ১ কেজি বাদাম বীজ এবং বিভিন্ন রকমের ডাল চাষের জন্য দেয়া হবে। যাতে কৃষকদের যার যা পছন্দ তা তারা মূল ফসলের পরে চাষ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন জমি অনাবাদি পড়ে থাকবে না। একটা মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। আমরা সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা, পূণর্বাসন ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধূরী মায়া বীর বিক্রম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম বক্তৃতা করেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, হুইপ মাহবুব আরা গিনি উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার পরে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই প্রাদুর্ভাব যাতে দেখা না দেয় তাই ইতোমধ্যে ব্লিচিং পাউডারসহ ওষুধপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম আছে, তারা কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শুধু ভাত খাইয়ে পেট ভরাতে চায়না, সাথে পুষ্টি নিশ্চিত করাও লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মাছের উৎপাদন, আমিষের উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায়- তা দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্যই আমাদের কাজ এবং আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে নিজেরা বিত্ত-বৈভবে বড় হতে চাই না। আমার বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, প্রতিটি মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায়, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক চাহিদাগুলি যেন পূরণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। কাজেই জনগণের সেবা করা, জনগণের কাজ করা-এটাই আমাদের কাজ।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা প্রিসাইডিং অফিসার, সহ-প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করে, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে তারা এদেশের কোনদিন কল্যাণ আনতে পারে না। তারা শুধু ধ্বংস করতে পারে।
‘এই ধ্বংসের হাত থেকে এই দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা-এটাই আমাদের কর্তব্য,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমি আপনাদের এটুকুই বলব, যে দোয়া করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আপনাদের পাশে থাকবো। কৃষিঋণ অব্যাহত থাকবে এবং আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য যা যা করণীয়, আমরা তা করবো।’
এই বন্যা দুর্গত এলাকায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা মনোবল নিয়ে থাকবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে আছি। সেকথা বলার জন্যই আজকে এখানে আমি উপস্থিত হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে,স্বজন হারাবার বেদনা নিয়েই আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো বাবা-মা-ভাইদের ¯েœহ।’
তিনি বলেন, যে ঘাতকের দল বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কেড়ে নিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়াবেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। আপনারা অভিভাবকেরা খেয়াল রাখবেন- আপনার সন্তান কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেশে।
তিনি সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ, প্রশাসন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
‘মাদক ও জঙ্গিবাদ যেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে না পারে। তার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন,’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে তারা যেন সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারে এবং তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এই দেশ যেন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে, তারা যেন বিপথে না যায়- সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখার এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স হলে জেলা এবং উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বন্যার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জেলা-উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সচেতন করেন।
প্রয়োজনে রাস্তা কেটে হলেও বন্যার পানি বের করে দেয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী এবং ঐ সমস্ত স্থানে পরে সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়ার জন্য বলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী খনন অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী খনন করে পুণরায় ভরে যাওয়া সব চ্যানেল উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এ সময় তিনি বালু সংগ্রহের জন্য সবসময় একইস্থান ব্যবহার না করে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহের আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক উপজেলার জন্য গৃহনির্মাণ এবং চরের জমি সঠিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের চলাচলের জন্য যানবাহনের বন্দোবস্তো করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on সরকার বন্যাদুর্গত উত্তরাঞ্চলে ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

প্রতিনিধি : প্মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের’ রক্ষায় দেশটি কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮৯ ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে ওই রাজ্যের নাগরিকদের রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারের এবং বেসামরিক জনগণ বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের যথাযথ সুরক্ষা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্তৃক নতুন করে হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ লক্ষ্য করেছে এবং এই হামলার প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এই হামলা ক্রমাগত চলায় সংশ্লিষ্ট নিরীহ জনগণের জীবননাশ হয়েছে, ‘যা রাথেডং-বুধিডং এলাকায় সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অভিযানে ঘটেছে।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ‘রাখাইন রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার’ পরপরই এই বিবৃতিটি ইস্যু করা হয়।
‘এই সমস্যা সমাধানে মূল কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপকভাবে ও সার্বিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা চলায় সচিব গুরুত্ব দিয়েছেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করছে যখন রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন, যা কফি আনান কমিশন হিসেবে সমধিক পরিচিত, তার সুপারিশমালা রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির সমাধানে এগিয়ে যাবে, সেই সময়েই এই সন্ত্রাসী হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাসস।

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on মিয়ানমারের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

খাদ্যের অভাবে কেউ কষ্ট পাবেনা : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবেনা। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে কোন ভাবেই কষ্ট না পাক, সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি’।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ বিতরণকালে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল হতে পারে সেগুলোর জন্য সাহায্য দেয়ার আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
যেমন, গম, সরিষা ও ডাল সহ রবি শষ্যের আবাদ যেন আপনারা করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
’৯৮ সালে দেশের বন্যার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন থেকেই আমরা বর্গাচাষিদের কৃষিব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জমানতে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। কাজেই এই কৃষিঋণ বিতরণ আমাদের অব্যাহত থাকবে এবং যেসব এলাকায় বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কৃষিঋণের সুদ যাতে না নেয়া হয় এবং বিনা জামানতে যেন আবারো প্রয়োজনে কৃষিঋণ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও আমরা করার নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া, আমরা ইতোমধ্যে ১২ জেলার ৭৭৮০ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা করে জমির ধানের চারা বিতরণের কার্যক্রম ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৭টি হর্টিকালচার সেন্টার এবং ১৬টি এটিআইতে বিএডিসির ১১টি খামারে আমনধানের চারা চাষ করা হয়েছে। এ বছর ১ হাজার বেডের ভাসমান বীজতলাও তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে মাসকলাই, গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম খেসারি, বেগুন , মুগ ও তিল উৎপাদন বৃদ্ধি যাতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
৫১ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে করে এই ফসল তারা লাগাতে পারেন। ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন কৃষক এই সহায়তা পাচ্ছেন। তাছাড়া প্রায় ১ কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছেন। ভতুর্কির টাকা যেন সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌঁছতে পারে সেজন্য।
তিনি বলেন, একজন কৃষক যদি একবিঘা জমির জন্য (ক্ষেত্রভেদে) সর্বনিম্ন ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ডিএপি সার এবং সর্বনিন্ম ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন- সে ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।
যাতে সহজভাবে কৃষকরা চাষাবাস করতে পারেন সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গমবীজ অথবা ২ কেজি ভুট্টা বীজ অথবা ১ কেজি সরিষার বীজ অথবা ১ কেজি চীনাবাদাম বীজ অথবা ৫ কেজি মুগ বীজ অথবা ৮ কেজি খেসারি বীজ অথবা ৮ কেজি মাসকলাই বীজ অথবা ৭ কেজি হেলন বীজ অথবা ১ কেজি তীল বীজ অথবা ১০গ্রাম ভিটি বেগুনোর বীজ বিনামূল্যে পাবেন-সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন আবাদি জমি খালি পড়ে থাকবে না। সবটা যাতে চাষবাস হয় সেব্যবস্থাও তাঁর সরকার নেবে এবং ভিজিডি-ভিজিএফ’র মাধ্যমেও তাঁর সরকার এই সময়ে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রাখবে।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, আর নদীর ভাঙ্গন থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে রক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এসব এলাকার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে তিনটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। তাছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগে বগুড়া-সারিয়াকান্দি রাস্তা যাতে সম্প্রসারণ হতে পারে সে ববস্থাও তাঁর সরকার করবে।
সরকার প্রধান বলেন, সোনাতলায় যে ব্রীজের কথা বলা হয়েছে সেই গার্ডার ব্রীজ সহ সমস্ত ব্রীজগুলি নতুনভাবে করে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কাজেই আপনাদের কাছে আমার আহবান থাকবে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করেন।
বিগত নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেয়ায় তিনি স্থানীয় জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘২০০৮ এবং ২০১৪’র নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশকে নদী মাতৃক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মাঝে মাঝে আসবে। তাই নৌকা ছাড়া আসলে গতি নাই বাঙালির। নৌকা আমাদের সময় সময় কাজে লাগবেই। এটা হলো বাস্তবতা। আর এই নৌকা মার্কা যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের এইটুকুই বলতে চাই- বাবা, মা, ভাই- সব হারিয়েছি। আমারতো আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তিনি জেল,জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন বাংলার দু:খী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে তিনি তাঁর জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ঘরবাড়ি ও উন্নত জীবন পাবে- সেই লক্ষ্যই জাতির পিতার ছিল। আর সেই লক্ষ্য ইনশাল্লাহ পূরণ করে দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশকে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করতে চাই। যেখানে কোন দরিদ্র থাকবে না। মানুষরা প্রত্যেকে উন্নত জীবনের অধিকারি হবে।
সরকার প্রধান দেশবাসী সহ বন্যা দুর্গতদের প্রতি দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূখন্ড উৎপাদনের কাজে ব্যয় করার আহবান জানিয়ে বলেন, ১ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না তা জাতির পিতাই বলে গেছেন।
বিএনপি সবসময় চাইতো এই বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৮ সালে বন্যার পর বাংলাদেশকে যখন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করি তখন ঐ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ঐ সংসদে দাঁড়িযে বলতেন-খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, কেননা এতে করে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবেনা’
শেখ হাসিনা তখন সংসদে বলেছিলেন, আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাইনা। কিন্তু আপনারা যদি ভিক্ষুকের সর্দার হতে চান তবে, তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ।
আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে খাদ্য উৎপাদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো এবং সন্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দ্বার্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন- বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, বাংলাদেশকে আজকে সকলে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, অন্তত এইটুকু সন্মান আওয়ামী লীগ আপনাদের জন্য এনে দিয়েছে। এতে আপনারাই সহযোগিতা করেছেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাই আপনাদের জীবনমান যেন উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যাতে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছায় তাঁর সরকার সেজন্য ইতোমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অঞ্চলেই খাদ্য পৌঁছে যাবে। ওষুধ পৌঁছে যাবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে, একটি মানুষ যাতে কষ্ট না পায় আপনারাও সেটা লক্ষ্য রাখবেন। আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আমি বলবো এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুণ সন্ত্রাসের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, আমার অবাক লাগে একটা রাজনৈতিক দলের নেতা কিভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু:খের কথা কি বলবো জাতির পিতা, বেগম মুজিব, ছোট্ট রাসেল সহ আমার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স (বিচার করা যাবে না) জারি করে এই জিয়াউর রহমান সেই খুনীদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন তাঁদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে দেয়নি অন্যদিকে খুনীদের পুরস্কৃত করেছে।
তিনি বলেন, যারা খুনীদের পুরস্কৃত করে তাদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করে তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ কি আশা করতে পারে। তারাতো মানুষ খুন করা ছাড়া, পুড়িয়ে মানুষ মারা ছাড়া আর কিছু জানে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণ ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের আসলে এদেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে ভাত পায়। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বিনা পয়সায় বই পায়। রোগে চিকিৎসা পায়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দারিদ্র হ্রাস পায়।
তিনি বলেন, আমরা দেশের সেবা করি, মানুষের সেবা করি। তাইতো আজকে ছুটে এসেছি- আপনাদের মাঝে, আপনাদের স্বচক্ষে দেখতে। আমি জানি সারা বাংলাদেশের যেখানে যেখানে বন্যা সেখানে মানুষ কত কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তুু আল্লাহর রহমতে এইটুকু কথা দিতে পারি এই বন্যায় কাউকে আমরা কষ্ট পেতে দেব না। আপনাদের যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাদের প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি তৈরী করে দেব। আমরা টিন দেব, নগদ টাকা আমরা ইতোমধ্যে দেয়া শুরু করেছি, আরো দেব।
সরকার প্রধান বলেন, নদীতে যাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে যারা নি:স্ব, ভূমিহীন হয়ে গেছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে জমি দেব। যেসব স্কুল কলেজ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো আমরা মেরামত এবং তৈরী করে দেব।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক হাজার জনের মধে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাঁওতাল পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজে জেলা এবং উপজেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বিকেলেই তিনি রাজধানীতে ফিরে আসেন। বাসস।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on খাদ্যের অভাবে কেউ কষ্ট পাবেনা : প্রধানমন্ত্রী

বন্যার্তদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই : এলজিআরডি মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বন্যায় আক্রান্ত লোকজনের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। এবার আকস্মিক বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে আমরা অচিরেই তা কাটিয়ে উঠব।
তিনি গতকাল ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তুহিনুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, দেশের এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের সকল দপ্তর ও সংস্থাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আপনাদের পাশে থাকবে। ভয়ের কিছু নেই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়ে কেউ না খেয়ে থাকবেন না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়।এজন্যই আমাদের উচিৎ তাঁকে বারবার ক্ষমতায় আনা।
তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের ২হাজার ৩৯৫ জনকে ১০ কেজি করে চাউল দেয়া হয়। এছাড়া সামাজিক মৎস্য প্রকল্পের ২০ জন সদস্যদের প্রত্যেককে নগদ ২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। বাসস।

Posted in রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on বন্যার্তদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই : এলজিআরডি মন্ত্রী

নাফ নদীর তীরে হাজারো রোহিঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নেমেছে।

উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশের পর নাফ নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে সহায় সম্বলহীন কয়েক হাজার মানুষ।

তারা যাতে কক্সবাজারের ভেতের ঢুকতে না পারে সেজন্য দূরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। আগের রাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় আটক ১৪৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারে।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির পর গত সপ্তাহেই সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইনের ঘটনার পর সতর্কতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ দিকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে আরও ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে শরণার্থী বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সমন্বিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটে, যার দায় স্বীকার করেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি নামে একটি সংগঠন।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্য সহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী মোহাম্মদ শফি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারে তার খালাতো ভাইয়ের কাছ থেকে যে খবর তারা পাচ্ছেন, তাতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

“চারদিকে কেবল সেনাবাহিনী। অনেক মানুষ মারা গেছে, লোকজন কাঁদছে। খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে সব।” বিডিনিউজ২৪।

Posted in সারা দেশ | Comments Off on নাফ নদীর তীরে হাজারো রোহিঙ্গা

খুলনার সঙ্গে রেলযোগাযোগ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট : কুষ্টিয়ার পোড়াদাহ জংশনে যাত্রীবাহী সাগরদাড়ী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ডাউন লাইনের মাধ্যমে একটি লাইন দিয়ে আবার ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়।

প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যোগাযোগ পুরোপুরি সচল হতে দুপুর হবে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেসটি পোড়াদাহ স্টেশনে ঢোকার আগে ইঞ্জিনসহ পিছনের পাওয়ার বগি লাইনচ্যুত হয়।

পোড়াদহ স্টেশন মাস্টার শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে রাজশাহীগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের প্রধান গেইটের সামনে হঠাৎ করে ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারে ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন খবর পেয়ে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগিটি পুনঃস্থাপন করে ডাউন লাইনের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

Posted in সারা দেশ | Comments Off on খুলনার সঙ্গে রেলযোগাযোগ শুরু

বন্যার্তরা কেউ না খেয়ে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যার্তদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বন্যার্তদের মনোবল না ভাঙারও আহ্বান জানান।

আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এবং দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সকালে গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়ায় অবতরণ করে। সেখানে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ গোবিগঞ্জে জড়ো হয়।

সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। সেখানে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রতিটি মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। বন্যা দুর্গত এলাকায় রাস্তাঘাট শিগগির মেরামত করে দেওয়া হবে। সরকারের কৃষি ঋণ অব্যাহত থাকবে। বন্যার পানি নেমে গেলে সাধারণত রোগ, অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’

‘আপনাদের জন্য সরকারের যা যা করার দরকার আমরা করব। আপনারা মনোবল ভাঙবেন না। আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই সাহস দেওয়ার জন্য আমি আজকে আপনাদের এখানে এসেছি।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। আমরা শুধু মানুষের ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই না। আমরা তাদের পুষ্টির নিশ্চয়তাও নিশ্চিত করতে চাই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে এসে নিজেদের বিত্তবৈভব গড়ে তুলতে চাই না। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করাই আওয়ামী লীগের প্রধান কাজ। আর যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তাঁরা মানুষের কল্যাণ চায় না। তাঁরা মানুষকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকাসক্ত থেকে মানুষকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিকেলে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যাবেন এবং সেখানে সারিয়াকান্দি হাই স্কুলমাঠে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ হলরুমে রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি বিকেলে ঢাকায় ফিরে আসবেন।

এর আগে শেখ হাসিনা গত ২০ আগস্ট দেশের উত্তরাঞ্চলীয় বন্যাদুর্গত দুটি জেলার বন্যার্তদের অবস্থা দেখতে দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম সফর করেন।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on বন্যার্তরা কেউ না খেয়ে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud