April 27, 2025
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্সেলোনা এবং স্পেনের অন্যান্য শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ ১৩ ব্যক্তি নিহত এবং আরো অনেককে আহত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের কাছে গতকাল পাঠানো এক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার্সেলোনা এবং স্পেনের অন্যান্য শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ ১৩ জন লোক নিহত এবং আরো অনেককে আহত করার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাপুরুষোচিত এই ভয়াবহ হামলায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার স্পেনের জনগণ এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং এর নিন্দা জানাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো জাত নেই, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে কোন সভ্য সমাজে তাদের স্থান নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের সঙ্গে আছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে এই কঠিন সময়ে আমাদের প্রার্থনা শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি এবং স্পেনের জনগণের প্রতি আমি আমাদের গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করছি। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকারকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কিছু লোক আছেন যারা সব সময়ই জাতির সামনে বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরার অপচেষ্টা চালান।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১টি বছর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালানো হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তির একক প্রচেষ্টায় দেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু যার একক উদ্যোগ, প্রেরণা এবং সাংগঠনিক শক্তি এর নেপথ্যে ছিল তিনি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর একক অবদান অস্বীকার করে তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সত্যটি যারা উপলদ্ধি করতে পারবে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আদৌ বিশ্বাস করে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলীর যৌথ সভার সূচনা ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা, যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, গণহত্যায় জড়িত, এদেশে লুটপাট, নারী ধর্ষণ, নৃশংসতার সাথে জড়িত তাদের প্রেতাত্মা এখনও বাংলাদেশে রয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য যে, যারাই এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তন এবং মুখে হাসি ফোটাবার জন্য কাজ করে, যখনই মানুষ এর সুফল পেতে শুরু করে তখনই ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে বুঝতে হবে যে, কারা তাদের মঙ্গল ও কল্যাণ করে এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই তাদের মূল্যায়ন এবং জনগণের কল্যাণ হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা স্বাধীনতা বিরোধীদেরকেই ক্ষমতায় বসিয়েছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তাদের নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বেতারের নাম পাকিস্তানী স্টাইলে রেডিও বাংলাদেশ হয়ে গেল। এভাবে ’৭৫-এর পর বাংলাদেশের নামটাও পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি আগেই বলেছি ইতিহাসকে কেউ চাপা দিয়ে রাখতে পারে না। ইতিহাস কখনও চাপা থাকে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের পথে যাত্রাও শুরু করেছিলেন। যদি ১৫ই আগস্টের মতো কালো দিবস বাঙালি জাতির জীবনে না আসতো তাহলে স্বাধীনতা অর্জনের ১০ কছরের মধ্যেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতো। আর এটা যে করা যায় তাতো আমরা দেখেছি, মাত্র সাড়ে ৩ বছরে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ তিনি কিভাবে গড়ে তুললেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকার চালাতে গিয়ে দেখি যেখানেই আমরা হাত দেই, প্রত্যেকটা আইন, সবকিছু তিনিই করে দিয়ে গেছেন। এতো অল্প সময়ের মধ্যেও এমন কোন কাজ বাকী নেই যেটা তিনি করেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু দেশটা স্বাধীন করলেন তাই সেই চিন্তা চেতনা সবসময়ই তাঁর মাঝে ছিলো। সেজন্য তাঁর প্রস্তুতিও ছিল। পাকিস্তানের একটা প্রদেশ, সবচেয়ে শোষিত, বঞ্চিত একটা ভূখন্ড, সেই প্রদেশকে একটা রাষ্ট্রে উন্নীত করা, একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা-মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে-এত সহজ কাজ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মতো নেতৃত্ব ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ইতিহাসের অমোঘ নিয়মেই সত্য প্রকাশিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে যে যতই মুছতে চেষ্টা করুক সত্যটা একদিন উদ্ভাসিত হবেই।
তিনি বলেন, যারা দু’বেলা দুমুঠো খেতে পারত না, অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বাস করতো, ৯০-৯৯ ভাগ লোকই দরিদ্র ছিল, কোনরকম দিন এনে দিন খায়, বিদেশ থেকে পুরনো মোটা কাপড় এনে যাদেরকে পড়তে দেয়া হত, রোগে ধুঁকে ধুঁকে মারা যেত, চিকিৎসা পেত না, এরকম একটি জাতিকে জাতির পিতা স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনই অবকাশ নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর আক্রমণ চালানোর পরপরই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানীরা ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে জাতির পিতার বাড়ি আক্রমণ করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেন তাতে বঙ্গবন্ধুকেই দোষারোপ করেন। ইয়াহিয়া বলেন, তাঁর বিচার হবে এবং তাঁকেই পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়া খান তাঁর ভাষণে আর কারো নাম বলেননি বা কাউকে দোষারোপ করেননি। মানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়াটা যেন বড় ছিল অপরাধ। আর সেই অপরাধে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট অপরাধী করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। জিয়াউর রহমানতো তার চাকরী করতো। একজন মেজর ছিল সেনাবাহিনীর। তাকে কি গ্রেফতার করেছিল বা তার কি চাকরী খেয়েছিল? তাও খায়নি বা এরকম আরো অনেকেই ছিল। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুকেই তারা শত্রু হিসেবে দেখেছিল। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং প্রহসনের বিচার করে ফাঁসির রায়ে সই পর্যন্ত করেছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই ইতিহাস বিকৃত করে আরেকজনকে ঘোষক বানিয়ে দেয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষক কাকে করেছিলো- যে সেনা কর্মকর্তাকে ধরে এনে আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ঘোষণা পাঠ করায়। তাকেই ঘোষক বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেরশের মানুষ যে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মোকাবেলা করা, যারা তখন সমস্ত রাস্তা-ঘাট সবকিছু অচল করার জন্য বেরিকেড দিতে শুরু করেছিল এবং চট্টগ্রামেই যারা বেরিকেড দিয়েছিল পাকিস্তানী শাসকদের পক্ষ হয়ে জিয়াউর রহমান তাদের ওপর গুলি চালিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামরত মানুষকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ যখন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বারবার প্রচার করা হচ্ছিল তখন জহুর আহমদ চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি বলেছিলেন এটা যেহেতু যুদ্ধ তাই সেনাবাহিনীর কাউকে নিয়ে এলে তাকে দিয়ে ঘোষণা করালে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে। কারণ ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান সহ আরো অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা তখন পর্যন্ত পাঠ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র নামাতে গেলে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাকে বেরিকেড দেয় এবং আটকায়। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সব কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্বের যে প্রতিবেদন দলগুলো নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একই পরিসংখ্যান এসেছে।
বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই তাদের সব পর্যায়ের কমিটিতে ১৫ শতাংশ নারী সদস্য থাকার কথা জানিয়েছে বলে ইসির নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখন নারী প্রতিনিধিত্ব ১৯ শতাংশ বলে দলটি জানিয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের কমিটিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ নির্ধারিত নারী প্রতিনিধিত্ব (৩৩ শতাংশ) পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে ১৩ জুন দলগুলোকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও অর্ধেকেরও কম দলের সাড়া পাওয়ায় তাগিদপত্র দেওয়া হয়। পরে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে এখনও পাঁচটি দল প্রতিবেদন দেয়নি বলে ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানিয়েছেন।
এই দলগুলো হল- বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
যারা প্রতিবেদন দিয়েছে তাদের অধিকাংশই বর্তমান অবস্থান তুলে না ধরে ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে আশার কথা বলেছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক তান্ত্রিক দল (জাসদ) বলেছে, তাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১১ দশমিক ৯৯ এবং জেলা কমিটিতে ৮ থেকে ১০ শতাংশ নারী সদস্য আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদারসহ পরিচ্ছন্নতাকর্মী চান এমপিরা। বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে এই কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, আজকের বৈঠকে অনেকগুলো সুপারিশ এসেছে। তার মধ্যে একটি হলো এমপিদের জন্য সরকারি বাসভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ। এসব ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি ভবনের লিফটগুলো দ্রুত পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউ ও নাখালপাড়ার বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কামরা পরিচারক ও নিরাপত্তা প্রহরী শূন্য পদসমূহে দ্রুত জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নিমিত্তে বাসভবন এলাকায় রাতে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা, পারিবারিক অতিথি ব্যতীত অন্য দর্শণার্থীর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, ভবনসমূহের ছাদ, অন্যান্য জায়গায় অবৈধ অবস্থানকারীদের তল্লাশি এবং অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটি এমপিদের বাসভবনের অভ্যন্তরে স্টিকারবিহীন কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে না দেয়া এবং গাড়ি প্রবেশের সময় গেটে আন্ডার ভ্যাহিকেল সার্চের মাধ্যমে চেক করা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, পঞ্চানন বিশ্বাস, ফজলে হোসেন বাদশা, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আসলামুল হক ও তালুকদার মো. ইউনুস বৈঠকে অংশ নেন।
ডেস্ক রেপোর্ট : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির এ দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, যারা দেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি করছে। দেশকে এখনও পাকিস্তানি তাবেদার রাষ্ট্র পরিণত করতে চায়। তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত,যবুলীগ মহানগর উত্তরের সভাপতি মঈনুল হোসেন নিখিল, যুবলীগ দক্ষিনের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। জনগণ থেকে দাবি উঠেছে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য।১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াত যেভাবে জাতির কাছে ধিক্কৃত ঠিক তেমনিভাবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিলো তারাও সমানভাবে ধিক্কৃত।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় সরাসরি জড়িতদের বিচার হয়েছে কিন্তু মূল চক্রান্তকারী জিয়াউর রহমানের বিচার হয়নি। তিনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেন। তিনি বলেন, এ বিচারের মাধ্যমে জাতির কাছে তার মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। বাসস।
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সংকটময় মুহূর্তে বঙ্গমাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাঙালী জাতিকে একটি আত্মপরিচয়ের সুযোগ দেয়া এই চিন্তা চেতনা থেকেই কিন্তু জাতির পিতা সংগ্রাম করেছেন। আর এই সংগ্রামের পেছনে সব সময় থাকতেন আমার মা। আমার বাবা বার বার কারাগারে গিয়েছেন। ঠিক সেসময় আমার মা একবার সংগঠন এক বার সংসার আবার আত্মীয়-স্বজন সামলেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমার মা জানতেন আব্বা কি চায় আমার মনে হয় আর কেউ না জানলেও আমার মা জানতেন। আমার মায়ের মত একজন সঙ্গী বাবা পেয়েছিলেন বলেই কিন্তু আমার বাবা তাঁর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। আমার মা কোনোদিন পশ্চিম পাকিস্তানে যায়নি।’
ডেস্ক রিপোর্ট : বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করে আগস্ট মাসকে কলঙ্কিত করেছে বিএনপি, এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই কর্মসূচি পণ্ড করে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দিবসটি স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা যেদিন হয়েছিলো সেই ১৫ই আগস্ট তারা ভূঁয়া জন্ম দিবস পালন করে কেক কাটে এই বিষয়টাতে আমাদের ঘৃণা আছে। কিন্তু তাই বলে আমরা তাঁদের প্রোগ্রাম করতে দিচ্ছি না একথা সঠিক নয়।’
বিএনপির উদ্দেশে সাংবাদিকদেরকে কাদের বলেন, ‘আপনারাই দেখেন মির্জা ফখরুলের সামনে বিএনপি নিজেরা নিজেদের প্রোগ্রাম বাঞ্চাল করেন। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোনো বিষয় নেই।’ সময়অনলাইন
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পড়ে বাংলাদেশিদের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে। আমরা নিজেদের খুব দুর্ভাগ্যবান মনে করছি, আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে।’
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে বিউ হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। একটি বেসরকারি ব্যাংকের বোর্ড মিটিং-এ অংশ নিতে জাপা চেয়ারম্যান চট্টগ্রামে যান।
এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘কোনও প্রতিষ্ঠানই আর ইনটেক নেই। সবই ডেস্ট্রয়েড। লাগামহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার মোহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন। যদি না পারেন, নির্বাচনের পরে সেটা বলা যাবে। তখন বলব, উনি পারেন নাই। তবে আশা রাখছি, তিনি পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ভালো করলে আমরা ক্ষমতায় যাবো। ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে আমরা এককভাবে নির্বাচন করবে, এটা আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে এখনও অটল আছি। আগামীতে কী হয়, সেটা এখনই বলতে পারবো না।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা তো বিরোধী দল। আমরা কোনও জোটে নাই। যদিও নামমাত্র বিরোধী দল, তাও বিরোধী দল।’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশে নারী হয়ে জন্মানো একটা মহাপাপ; অভিশাপ। নারীর ক্ষমতায়নের কথা শুনি, এটা কেবল শহরে। গ্রামেগঞ্জে মেয়েরা এখনও অনিরাপদ।’
এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠ এবং মাহজাবিন মোরশেদ। বাংলাট্রিবিউন
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বজিৎ হত্যায় দণ্ডিত রাজনের মতো কর্মী ছাত্রলীগের দরকার নেই। বগুড়ার তুফান সরকারের মতো তুফান কর্মী আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই। ছাত্রলীগকে আমরা সুনামের ধারায় পরিচালিত করার চেষ্টা করছি। যারা সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে দলে তাদের ঠাঁই হবে না।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা অথবা আদালত ক্ষমতায় বসাবে এমন দিবাস্বপ্ন যারা দেখছেন, তাদের সেই রঙিন খোয়াব তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।’
তিনি বলেন, ‘সংসদ ভেঙে দেওয়ার স্বপ্নও দেখছেন সেটাও হবে না। তিনি বলেছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার দিবাস্বপ্ন যারা দেখছেন, তাদের এই রঙিন খোয়াব তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে। সে দিন আর বেশি দূরে নয়। ষড়যন্ত্র করছেন, কাদের কাদের নিয়ে, কিভাবে করছেন সব আমরা জানি। আমরা জবাব দেবো।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালত ক্ষমতায় বসাবে, বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে ঐ রঙিন খোয়াব এদেশে সফল হবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে এদেশের জনগণ। সেই শক্তি শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। কোনও ষড়যন্ত্র আমাদের উন্নয়নের মহাসড়কে চলার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন টেমস নদীর তীরে বেগম জিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের নির্বাচিত সংসদ। নির্বাচনে আপনারা আসেননি, সেটা কি নির্বাচনের দোষ? সহায়ক সরকার হবে শেখ হাসিনার সরকার। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এটাই সংবিধান। আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে আন্দোলন, কত ঈদ চলে গেল। আন্দোলন করবেন কেমন করে? আন্দোলন করতে হলে জনগণ লাগবে। জনগণ তো শেখ হাসিনার সঙ্গে। জনগণ আপনাদের আন্দোলনে নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন, কেউ সাড়া দিচ্ছে না। যিনি ডাক দিয়েছেন, তিনি টেমস নদীর পাড়ে। চিকিৎসার নামে চলে গেছেন, বসে বসে কি করছেন সবাই জানে। আন্দোলন এই বছর, না ঐ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর?’
তিনি বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনে, বাস্তবতার প্রয়োজনে আমাদের কৌশল পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমরা এক চুলও সরে যাইনি। মরণের ভাগাড়ে দাঁড়িয়ে আমরা বার বার জীবনের জয়গান গেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের রাজনীতিতে মুজিব পরিবারই হচ্ছে সততা, আদর্শের প্রতীক। চরিত্রহননের ছোরা দিয়ে এই পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা কম হয়নি। এদের কোন হাওয়া ভবন নেই, ক্ষমতার বিকল্প সেন্টার নেই। সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে আসেন। দুই-একটি সৃজনশীল অনুষ্ঠান ছাড়া তাকে আর কোথাও দেখা যায় না।’
তিনি বলেন, আগস্ট মাসে বিলবোর্ডের নামে বাড়াবাড়িটা ছাত্রলীগ করছে না, এটা ভালো লাগছে। ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি করে আগস্টের কর্মসূচি পালন করছে—এমন অভিযোগ পাইনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলন যথা সময়ে হবে। অনেক সময় বাস্তব কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকে। সম্মেলন করার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কিছু ঘাটতি আছে। ঘাটতিগুলো পূরণ করতে ছাত্রলীগকে বলা হয়েছে। আর একটু সময় লাগবে। তাদেরকে কানে কানে সম্মেলনের একটা মোটামুটি সময় বলে দেওয়া হয়েছে। দেখবেন, হঠাৎ করে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে আমরা সুনামের ধারায় পরিচালিত করার চেষ্টা করছি। তারপরেও কেউ কেউ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, বিশ্বজিৎ হত্যায় দণ্ডিত রাজনের মতো কর্মী ছাত্রলীগের দরকার নেই। বগুড়ার তুফান সরকারের মতো তুফান কর্মী আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ সন্তান ডা. নূজহাত চৌধুরী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।বাংলাট্রিবিউন
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বজিৎ দাস হত্যামামলার আপিলের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেছেন, কোনো অপরাধীরই রাজনৈতিক পরিচয় সরকার দেখছে না।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টি অয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম।
এদিনই পুরান ঢাকার দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের আপিলের রায় দেয় হাই কোর্ট। এই মামলায় দণ্ডিতরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
নাসিম বলেন, “বিশ্বজিৎ হত্যায় ছাত্রলীগের নামধারী হলেও একজন হত্যাকারীকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। আমাদের সরকার কোনো হত্যাকারীকে রেহাই দেয়নি।”
এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় সরকার সমর্থকদের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শাহবাগ, বগুড়ার ঘটনা ঘটতেই পারে। দেখার বিষয় হল সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না?
“আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয় না। সরকারের মন্ত্রীকে আদালতে উঠতে হয়েছে। সংসদ সদস্যকে জেল খাটতে হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”
এর বিপরীতে বিএনপির আমলে অপরাধীরা ছাড় পেত বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
“তাদের সময় কিলারদের বাংলাদেশ ছিল। পঁচাত্তরের পর থেকে সব সরকার বিচারের পথকে রুদ্ধ করে রেখেছিল, হোক সামরিক সরকার বা নির্বাচিত সরকার।”
বিএনপি না এলেও একাদশ সংসদ নির্বাচন আটকাবে না বলে মন্তব্য করেন নাসিম।
“আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমাদের অবস্থান থেকে একবিন্দুও নড়ব না। যত হুমকি- চক্রান্তই আসুক না কেন, সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। কে আসল, না আসল, দেখার বিষয় না।”
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের এক অংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন। বিডিনিউজ২৪