April 29, 2024
নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সজাগ থাকতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সন্ত্রাসের যে বীজ বপন করা হয়েছিল, এখন তারই বিস্তার ঘটেছে।
ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসেই নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি উঠে আসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৃহীত সরকারের নীতিমালাগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, অতীতের সরকারগুলো সন্ত্রাসবাদের যে বীজ বপন করেছে, তাই এখন বিস্তার লাভ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখছি সারা বিশ্বে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ এর থেকে কিন্তু খুব বেশি দুরে ছিল না। কারণ, এই বাংলাদেশে আমি নিজেই গ্রেনেড হামলার শিকার। এই ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসীদের যারা সৃষ্টি করে রেখে গেছে, যারা তৈরি করে রেখে গেছে, একবার বীজ বপন করলে সেটা সহসা উৎখাত করা যায় না।’
এ সময়, গুলশান হামলার ঘটনায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
গুলশানের জঙ্গি হামলা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রিপোর্ট দিচ্ছিল, আমরা খুব সচেতনও ছিলাম। কিন্তু গুলশানে যে ঘটনাটা ঘটল- আমার মনে হয় পৃথিবীতে কোনো দেশ এত দ্রুত সময়ে এই ধরণের একটা ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে জীবন্ত মানুষ উদ্ধার করা- এটা কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন দেশ পারেনি। কোনও উন্নত দেশও পারেনি।’
পরে অভিভাবকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের ছেলেরা, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করে। আমরাতো ভাবি যে তাদের মন অনেক উদার হবে। তারা সত্যিকারের সঠিক ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নেবে কিন্তু তারা যে ধর্মান্ধ হয়ে যাবে সেটি কখনও আমরা ভাবতে পারিনি।’
এছাড়াও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়াকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারা তাদের বিপথগামী করছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে বিভ্রান্তির পথে কারা নিয়ে যাচ্ছে? ওই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যারা তাদের ভিতরেও কারা আছে যে শিক্ষার্থীদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সজাগ থাকতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বাধা ডিঙ্গিয়ে হলেও জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়বে সরকার। বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে হবে আর সেটি আমরা করবোই।
নিউজ ডেস্ক: পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিন ঘণ্ঠার বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, সভায় গুলশান হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীগুলো সাহসিকতা ও সমন্বয়ের সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করেছে এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
গত পহেলা জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলায় ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর তদন্তে নেমে দুই জঙ্গির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পিস টিভি সংক্রান্ত পোস্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। পিস টিভির উদ্যোক্তা জাকির নায়েক এ বিষয়ে নিজের ও তার টিভি চ্যানেলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে উভয় দেশের সরকার। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলো। এর আগে শনিবার ভারতেও ক্যাবল অপারেটরদের পিস টিভি প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। তদন্ত ছাড়া এমন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’
সেসময় তিনি আরও বলেন, এটা সময়সাপেক্ষ ও তদন্তের ব্যাপার। জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। এরকম ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
তবে শনিবারই ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) বাংলাদেশের ভেতরে পিস টিভি দেখানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনটির সভাপতি মীর হোসেন আখতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘পিস টিভি নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শনিবার দুপুরেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনও নির্দেশনা দেননি। তবে বলেছেন, রবিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবেন। তিনি বলেন, পিস টিভি নিয়ে যেহেতু বিতর্ক উঠেছে, সেহেতু আমরা নিজ উদ্যোগেই এর সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি অপারেটরদের বলে দিয়েছি এই চ্যানেল যেন আর সম্প্রচার করা না হয়। ইতোমধ্যে বহু জায়গায় পিস টিভি বন্ধ হয়ে গেছে।’
পিস টিভির উদ্যোক্তা জাকির নায়েকের বিতর্কিত কথায় তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত ১ জুলাই গুলশান হামলায় জড়িতদের মধ্যে দুই তরুণ জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয়েছে বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভারতের কিছু তরুণও জাকির নায়েকের বক্তব্যে জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে একইভাবে প্রকাশ পায়। এরপর নড়েচড়ে উঠে সবাই।
উল্লেখ্য, পিস টিভির লাইসেন্স দুবাইভিত্তিক। বাংলাদেশে তার লাইসেন্স বাতিলের কোনও সুযোগ নেই। তবে সরকারের নির্দেশনা পেলে ক্যাবল অপারেটররা পিস টিভি দেখানো বন্ধ করে দিতে পারে।
২০০৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিস টিভি সম্প্রচারিত হচ্ছে। ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল শুরু হয় পিস টিভি বাংলা চ্যানেল। বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারিত হচ্ছে বিতর্কিত এ চ্যানেলটি। মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান ‘পিস টিভি’। এটা পরিচালনা করেন জাকির নায়েক নিজেই।
তবে জাকিরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেক আগেই পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করেছে মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, কানাডার মতো দেশ।
উৎসঃ banglatribune
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটের পরেই ফুটবল তার পছন্দের খেলা। সময় পেলেই নেমে পড়েন ফুটবল খেলতে। আর্জেন্টিনা এবং ম্যারাডোনার পাগলা সমর্থক আবার তিনি। এখন আবার মেসি ও বার্সেলোনার সমর্থক। ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ফুটবল খেলতে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ঈদের দুদিন আগেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি নড়াইলে পাড়ি জমান মাশরাফি। সেখানেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কেটেছে তার ঈদ। সেখানেই ঈদের দ্বিতীয় দিন দুই ভাই মিলে আয়োজন করেন প্রীতি ফুটবল ম্যাচের। সেখানেই ছোট ভাইয়ের কাছে হেরে গেছেন মাশরাফি।
মাশরাফির দলের নাম ছিল শুভেচ্ছা সিনিয়র। অধিনায়কের বন্ধুদের নিয়ে গঠন করা হয় এই দল। অন্যদিকে ছোট ভাই মোরসালিন বিন মর্তুজার দলের নাম শুভেচ্ছা জুনিয়র। এই দলে মোরসালিনের বন্ধু-বান্ধবের প্রাধান্য ছিল। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৫টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মাশরাফির দল ০-১ গোলে হারের স্বাদ পায়। জানা গেছে, ঈদ করার পর রোববার (১০ জুলাই) ঢাকার উদ্দেশ্যে নড়াইল ত্যাগ করবে মাশরাফির পরিবার।
ঈদের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। চিংড়ির ঘের থেকে খেলার মাঠ, সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ঈদের সময়টা ব্যাট, প্যাড তুলে রেখে ফুটবল পায়ে মাঠে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের অন্যতম এই সফল অধিনায়ক।
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার হামলা একই সংগঠনের জঙ্গিরা করেছে। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। শনিবার কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় আজিমউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে হামলাস্থল পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ মাঠে এক ব্রিফিংয়ে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হামলায় আইএসের জড়িত থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আইএস তো যুক্তরাষ্ট্রের নৈশক্লাবে ৫০ জন নিহত হওয়ারও দায় স্বীকার করেছে। সারা বিশ্বে যেখানেই হামলা হয়, আইএস সেটারই দায় স্বীকার করে। এখন পর্যন্ত শোলাকিয়ার হামলার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। আর আইএস কেন সবকিছুর দায় স্বীকার করে, কার মাধ্যমে করে, তার লিংক (যোগসূত্র) আমরা এখনো খুঁজে পাইনি।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘গুলশানে নিহত হামলাকারীদের আমরা অনেক আগে থেকে খুঁজছিলাম। তাদের নাম-পরিচয় আগে থেকেই পুলিশের কাছে ছিল। তারা জেএমবির সদস্য। আর শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় আমরা প্রাথমিকভাবে জেএমবির জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। আহত অবস্থায় যে ধরা পড়েছে, সেও গুলশানের ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আজকের মধ্যেই শোলাকিয়ার ঘটনায় মামলা হতে পারে। হামলাকারী একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলছেন, হামলায় পাঁচ থেকে ছয়জন জড়িত ছিল। তবে তাঁদের হিসাবে আরও কয়েকজন থাকতে পারে। তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ঘটনার আগে পুলিশ কোনো গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছে না, এটি দুর্বলতা কি না, তা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘শোলাকিয়ায় যে হামলা হবে, পুলিশের কাছে এমন কোনো তথ্য ছিল না। কিন্তু জঙ্গিরা দেশের যেকোনো স্থানে হামলা করতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল। তবে পুলিশের কোনো দুর্বলতা নেই। তারা আহত হয়েও ফাইট চালিয়ে গেছে। তবে আমাদের গোয়েন্দারা তো ফেরেশতা না যে সব তথ্য তাদের কাছে থাকবে। কেউ ব্যক্তিগতভাবে গোপনে অপরাধ করলে তাদের খুঁজে বের করা একটু সময়সাপেক্ষ হয়।’
এর আগে আইজিপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক (ডিআইজি) এ কে এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান। আইজিপি নিহত ঝর্ণা রানী ভৌমিকের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
নিউজ ডেস্ক: গুলশানে হামলার ঘটনায় ‘বিতর্কিত’ ইসলামি চিন্তাবিদ ড. জাকির নায়েকের উগ্রপন্থার সংযোগ খুঁজে দেখছে বাংলাদেশ। তার ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য তদন্তের মাধ্যমে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও চিন্তা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এই দাবি করেছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। তদন্ত ছাড়া এমন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’
উল্লেখ্য, গুলশান হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দুইজন জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ভারত এরইমধ্যে এ ঘ্টনার তদন্ত শুরু করেছে। পিস টিভি বন্ধে ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি জাকির নায়েকের বক্তব্য এবং অর্থের উৎসও তদন্তের আওতায় নিয়েছে তারা। তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত।
এদিকে শনিবার ‘দ্য হিন্দু’-র অনলাইন ভার্সনের খবরে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশও জাকির নায়েকের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্য হিন্দু’-র পক্ষ থেকে আমাকে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ উঠলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই তদন্ত করি। এ ক্ষেত্রেও একই কাজই হবে।। আমি সেটাই তাদের বলেছি।’
দ্য হিন্দুর ওই খবরে দাবি করা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল তাদের বলেছেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জাকির নায়েকের বক্তব্য, আর্থিক সংযোগ খতিয়ে দেখেছে। জাকির নায়েকের পিস টিভি বাংলাদেশে দেখানো বন্ধের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছেন তারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আমরা গুলশান হামলায় জাকির নায়েকের কোনও সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাইনি। তবুও ঘটনার তদন্ত চলছে।
পিস টিভির ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সময়সাপেক্ষ ও তদন্তের ব্যাপার। জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। এরকম ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে উদ্ধৃত করে ‘দ্য হিন্দু’ দাবি করেছে, জাকির নায়েকের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পিস টিভি নিষিদ্ধের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, পিস টিভির লাইসেন্স দুবাইভিত্তিক। বাংলাদেশে তার লাইসেন্স বাতিলের কোনও সুযোগ নেই। তবে সরকারের নির্দেশনা পেলে ক্যাবল অপারেটররা পিস টিভি দেখানো বন্ধ করে দিতে পারে। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ক্যাবল অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সভাপতি মীর হোসেন আক্তারকে উদ্ধৃত করে ‘দ্য হিন্দু’র খবরে বলা হয়, ‘আমি নিজেও পিস টিভি দেখতাম, তবে গুলশান হামলার পর মনে হলো আমার মতো অনেক মানুষই এই টেলিভিশন দেখে। আমরা দেশব্যাপী এই টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে চাই। তবে সরকারের কোনও নির্দেশনা ছাড়া তা সম্ভব নয়।’ উল্লেখ্য, জাকিরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেক আগেই পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করেছে ব্রিটেন, কানাডার মতো দেশ।
বাংলা ট্রিবিউন
রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার দিগারতলী এলাকায় বাসচাপায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের দিগারতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ছিলেন সিএনজির আরোহী। তারা ঈদ-পরবর্তী বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকও নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকায়। এই ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন শাহানাজ পারভীন (২২), শহীদুল ইসলাম (৪০), রওশন আরা বেগম (৫০), দুলালী বেগম (৩০) ও মুস্তাকিন (৪)।
ভ্যানচালকের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে একটি গেটলক বাস ধাক্কা দিলে ধাক্কা দিয়ে তারা নিহত হয়। তারাগঞ্জ থানা ওসি আবদুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলির মধ্যে নিহত সন্দেহভাজন যুবক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র, যে চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান শুক্রবার বিকালে বলেন, “নিহত হামলাকারীর পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। তার নাম আবীর রহমান।
সে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল।”
২২ বছর বয়সী আবীরের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম, বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। ঢাকায় তাদের বাসা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান জানান, আবীরের বড় ভাই আশিকুর রহমান গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
গত মার্চ থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল থেকে ‘এ লেভেল’ পাশ করার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে ভর্তি হন আবীর।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ সন্দেহভাজন হামলাকারীর মধ্যে নিব্রাস ইসলামও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ আইএস এর বরাতে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করলে সাবেক সহপাঠীরা শনাক্ত করে ফেইসবুকে তার আগের ছবি ও পরিচয় সামনে নিয়ে আসেন।
গুলশানের ওই হামলার এক সপ্তাহের মাথায় বৃহস্পতিবার ঈদের সকালে শোলাকিয়া মাঠের আড়াইশ মিটার দূরে পুলিশের ওপর বোমা হামলা হলে দুই কনস্টেবল নিহত হন। পরে গোলাগুলির মধ্যে বাড়ির জানালা দিয়ে গুলি ঢুকে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক গৃহবধূর।
হামলার পর পুলিশের অভিযানের মধ্যে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীও নিহত হন। তার লাশের কিছুটা দূরে একটি চাপাতি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ঢোলা পোশাকে অস্ত্র রাখার ‘বিশেষ পকেট’ থাকার কথাও পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
নীল পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরা ওই যুবককেই পরে শনাক্ত করে পরিবার। শুক্রবার তার পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ।
সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে আর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পিস্তলসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন এক যুবক।
শফিউল ইসলাম ওরফে আবু মোকাদ্দেল নামের ১৯ বছর বয়সী ওই যুবক দিনাজপুরর এক মাদ্রাসার ছাত্র। আলিম পরীক্ষা শেষ না করেই সে ‘ওস্তাদের নির্দেশে’ শোলাকিয়ায় হামলা চালাতে আসে বলে র্যা্বের ভাষ্য।
এদিকে গুলশানের হামলাকারী হিসেবে যে পাঁচজনের ছবি আইএস প্রকাশ করেছে, তাদের সবাই গত কয়েক মাস নিখোঁজ ছিলেন বা পরিবারের যোগাযোগের বাইরে ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
তাদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আরও দশ ১০ যুবকের সন্ধান চেয়ে তাদের প্রতি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তাদের অভিভাবকরা।
এরা হলেন- ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর- এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), চাপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, ঢাকার আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর-৫২৫৮৪১৬২৫), সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী (পাসপোর্ট নম্বর-এল ০৬৩৩৪৭৮), ঢাকার ইব্রাহীম হাসান খান (পাসপোর্ট নম্বর-এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), লক্ষ্মীপুরের এ টিএম তাজউদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর- এফ ০৫৮৫৫৬৮), ঢাকার ধানমণ্ডির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর-ই ১০৪৭৭১৯), সিলেটের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর-টি কে ৮০৯৯৮৬০) ও জুন্নুন শিকদার (পাসপোর্ট নম্বর-বি ই ০৯৪৯১৭২)।
সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের বহু ছেলে এভাবে বাড়ি ছেড়ে জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে বলে ইতোমধ্যে অভিভাবকদের সতর্ক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে অভিভাবকদের তথ্য দিতে অনুরোধ করেছেন।
বিডিনিউজ
বিনােদন ডেস্ক: ঈদে মুক্তি পেয়েছে জিত্ এবং নুসরত ফারিয়া জুটির ছবি বাদশা দ্য ডন। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় এটি নুসরাতের তৃতীয় ছবি। কাজ করতে গিয়ে নাকি জিত-এর প্রেমে পড়ে গিয়েছেন নায়িকা। শেয়ার করলেন নায়িকা নিজেই। আনন্দবাজারকে দিয়েছেন সাক্ষাতকার। তার কিছু অংশ দেয়া হলো-
জিত্-এর সঙ্গে প্রথম ছবি। কেমন লাগল?
খুব ভালো এক্সপিরিয়েন্স। প্রথম যে দিন দেখা হল, এত সুন্দর করে ওয়েলকাম করেছিল যে আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম (লাজুক হাসি)।
জিত্ তো আপনাকে একটা বিশেষ নামেও ডাকেন?
(প্রাণখোলা হাসি) হ্যাঁ। জিত্দা আমাকে ফরেনার হিরোইন বলে ডাকে। আর কখনও কখনও খুব কায়দা করে ফারিয়াও বলে।
সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কেমন?
এটা একটা ড্রিম ক্যারেক্টার। অনেকটা ‘কভি খুশি কভি গম’-এর করিনা কপূরের মতো। বলতে পারেন মডার্ন ভার্সন অফ করিনা। আমার চরিত্রের নাম শ্রেয়া। সাইকোলজির ছাত্রী। সেক্সি, বুদ্ধিমতীর একটা কম্বিনেশন।
সেটে নাকি আপনাকে খুব প্যাম্পার করা হত?
সেটে আমাকে বাবা (পরিচালক বাবা যাদব) একদম তুলোয় মুড়ে রেখেছিল। হেয়ার ড্রেসার থেকে টেকনিশিয়ান পর্যন্ত সবাই প্যাম্পার করত। এমন মিষ্টি করে কথা বলত, মনে হত ওদের জন্য জান দিয়ে দিতে পারি। আর বাবা যাদবের ‘বাবা’ নামটা আমার কাছে সার্থক। মানে সত্যিই আমাকে বাবার মতোই স্নেহ করেন। আমার মতে টলিউডের হিরো-ডিরেক্টরের বেস্ট ডু’য়ো হলেন জিত্ আর বাবা যাদব। তবে শুটিংয়ের থেকেও প্রোমোশন আমি বেশি এনজয় করেছি।
কেন?
আসলে প্রোমোশনে আমি মানুষ জিত্দাকে চিনেছি। বুঝেছি ‘জিত্ দ্য সুপারস্টার’ ঠিক কেমন। বাংলাদেশে ইদের একটা শোতে আমি জিত্দার ইন্টারভিউ করেছিলাম। প্রায় দু’ঘণ্টা আমরা টানা কথা বলে গিয়েছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
‘জিত্ দ্য সুপারস্টার’কে চুমু খেয়ে কেমন লাগল?
(মুখটা অল্প নামিয়ে) চুমু খেতে একটু লজ্জা লেগেছিল প্রথমে। এটা ন্যাচারাল তাই না? যাকে সবসময় টিভিতে দেখেছি অন্য নায়িকাদের সঙ্গে ইন্টিমেট সিন করছে তাকে জড়িয়ে ধরাটা…।
অঙ্কুশ, ওম, জিত্— আপনার তিন নায়কের মধ্যে কে বেশি হট?
(বিরাট পজ) তিনজনের কাজের ধরন আলাদা। তিন জন তিন রকম। তবে জিত্দাই হট অ্যান্ড সেক্সি। নটিও। কিন্তু খুব সফিস্টিকেটেড ভাবে নটি। মানে অনেকটা মিলিয়েনিয়ার টু দ্য বিলিয়েনিয়ারের মতো। তবে এটা দর্শকরা ভাল বলতে পারবেন কার সঙ্গে আমার জুটি বেশি সেক্সি লাগে।
ছবিটার ইউএসপি কি? দর্শক কেন দেখবেন?
এই ছবিটা ফুল কর্মাশিয়াল। কিন্তু একটা আলাদা মেসেজ আছে। হল থেকে ফিরে দর্শক ভাববেন, আরে বাদশা যেটা করছে সেটা যদি আমিও করি, তাহলে আমিও হয়তো লোকের উপকার করতে পারব। ছবিটা মানুষকে এনকারেজ করবে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেত্রী জয়া আহসান মনে করেন, যৌথ প্রযোজনার ছবি একদম চলে না। আপনি কি বলবেন?
দেখুন, উনি বাংলাদেশের অ্যাসেট। আমরা ওনাকে খুবই সম্মান করি। তবে এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। হতে পারে কোনও পয়েন্ট অপ ভিউ থেকে বলেছেন। তবুও ওনাকে সম্মান করেই বলছি, এই ছবিগুলো না চললে প্রযোজকরা টাকা ঢালতেন না। আমি গর্ব করে বলি, ‘আশিকি’ যৌথ প্রযোজনায় আমার প্রথম ছবি বাংলাদেশে সবথেকে বেশি চলা একটা সিনেমা। টানা আট সপ্তাহ চলেছিল। ফলে দর্শক দেখছেন, তাই এগুলো তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি, অভিনয়টাই আসল। কোন ফিল্ম সেটা বিচার করে দর্শক আমাদের ভালবাসেন, এমনটা নয়। আর কর্মাশিয়াল ছবি মানেই খুব নাচ-গান এমনটা নয়। কর্মাশিয়াল ফিল্মেও সফিস্টিকেশন, স্মার্টনেস এগুলো রাখা যায়। এটা কোনও শিল্পীর সিদ্ধান্ত, তিনি কী ভাবে দর্শকদের কাছে নিজেকে প্রেজেন্ট করবেন।
আপনার পরের ছবির কাজ শুরু হয়েছে?
পরের ছবিটা ‘প্রেমী ও প্রেমী’ আমার কাছে খুব স্পেশাল। কারণ এটা আমার প্রথম বাংলাদেশী ছবি। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। হিরো শুভ। এতদিন দেশের মানুষের অভিযোগ ছিল, আমি বাংলাদেশের ছবি করি না। এ বার সেটা বন্ধ হবে।
যুগান্তর
নিউজ ডেস্ক: রমজানের মরশুমে মক্কা সফরে রয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামপ্রচারক জাকির নায়েক। চলতি মাসের ১১ তারিখে ভারতে ফেরার কথা রয়েছে তার। মুম্বইয়ের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের । ভারতের মাটিতে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা ভারতের একটি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন অফিসে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জাকির নায়েকের পরিচালনাধীন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বহু আপত্তিকর বিষয় সম্প্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু।
ঢাকার গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পিছনে জাকির নায়েকের যোগসূত্র রয়েছে বলে কোনো কোনো নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র মেলায় জাকির নায়েক এবং তার সংস্থার উপর তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
নিউজ ডেস্ক: শোরগঞ্জে বিস্ফোরণের তদন্তের স্বার্থে ঢাকায় পাড়ি দিচ্ছে ভারতের স্পেশাল জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (এনএসজি) টিম৷ বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত করতেই পাঠানো হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী, খবর পিটিআই সূত্রে৷ সঙ্গে যাবেন গোয়েন্দা ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও৷
এনএসজি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনী ঢাকা পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে৷ কিশোরগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ যে দলটি ঢাকায় পাড়ি দেবে সেই দলে রয়েছেন বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ ও জঙ্গি মোকাবিলা সংক্রান্ত যেকোনো অপারেশনে সক্ষম অফিসাররা৷
পয়লা জুলাই গুলশানে বিস্ফোরণে এক ভারতীয়-সহ ২২ জনের মৃত্যুর ঘা শুকানোর আগেই এদিন কিশোরগঞ্জের বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে৷ এনএসজি চায় বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিস্ফোরণের কিনারা করতে৷
নয়াদিগন্ত