May 6, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার চেষ্টার পরও গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো পাকেজিং কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শনিবার দিনগত রাত সোয়া একটার সময়ও ফায়ার সার্ভিসের ২৬টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।
তবে ফায়ার সার্ভিস দাবি করেছে, পানি তুরাগ নদী থেকে আনতে হচ্ছে। সে কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লে. ক. মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও আমাদের ২৬টি ইউনিট কাজ করছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় ভেতরে প্রবেশ করে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। কর্মীদের নিরাপত্তার কথাও তো ভাবতে হবে।’
এদিকে, শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে আগুন কিছুটা কম দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর হঠাৎ আগুন বেড়ে যায়। এসময় এক নাগাড়ে আগুন জ্বলতে থাকে। তখন ফায়ার কর্মীদেরও পানি দিতে দেখা যায়নি। এরপর রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানি নেই। তুরাগ থেকে পানি আনতে হচ্ছে। এতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া কেমিক্যালে আগুন বলে সহজে নিভছে না। হঠাৎ করেই জ্বলে ঊঠছে।’
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টা পাঁচ মিনিটের দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানার নিচতলায় বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কারখানায় আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কারখানাটি ভবনটি পাঁচতলা। সেখানে শ্রমিকেরা রাতের শিফটে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।
এ ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত ২৮ জনের মধ্যে ২৩ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আনিসুর রহমান (৪০), আব্দুল হান্নান (৬৫), ইদরিস আলী (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মামুন (২৮), রোজিনা (২০), মিজান (২৮-৩০), সাইদুর রহমান (৫০), মাইনুদ্দিন (৩৫), আল মামুন (৪০), হাসান সিদ্দিকি (৩০), সোলেমান (৩২), এনামুল হক (২৮), রাশেদ (২৫), শঙ্কর সরকার (২৫), গোপাল দাস (২৫), রফিকুল ইসলাম (২৮), সুভাষ চন্দ্র প্রসাদ (৩৫),আশিক (১২), দেলোয়ার হোসেন (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪০), ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন (৩৫), তাহমিনা আক্তার (২০)।