পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

বিএনপি’তে জামায়াত আউট, আ. লীগ ইন!

Posted on April 12, 2015 | in জাতীয় | by

ডলি: সিটি নির্বাচনে বিএনপি‘র কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকায় নেই শরীক দল। এ নিয়ে জামায়াতসহ শরীক অন্য দলগুলোর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে চাপা উত্তেজনা। এদিকে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেও অস্বস্তি চলছে। তবে একতরফা ওই তালিকা প্রকাশের আগে শীর্ষ নেতারা যাচাই -বাছাই করতে পারেন নি বলেই এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি নিজেই তালিকাটি তৈরি করেছেন। বিএনপি’র কয়েকজন শীর্ষ নেতা তা স্বীকার করেছেন।55552
ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোটে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত সব প্রার্থীকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে চালিয়ে দেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। জামায়াতসহ অন্যান্য দল যেসব প্রার্থী দিয়েছে তার নাম ওই তালিকায় না থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে ওই তালিকাকে ২০ দলীয় জোটের তালিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, এই তালিকায় আওয়ামীলীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম থাকায় তালিকাটি আরো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল ২০ দলীয় জোটের কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠিত ঢাকা আদর্শ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা প্রকাশের পরই শুরু হয় নানা গুঞ্জন। দলের অন্যান্য শরীকদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় তাদের যেসব প্রার্থী রয়েছেন তাদের কেউ এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়নি। বিশেষ করে অন্যতম শরীকদল জামায়াতের পক্ষ থেকে ৩৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রয়েছেন বলে জানা যায়। তাদের কারো নাম এই তালিকায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে জামায়াতের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, এই তালিকা প্রস্তুতের আগে জোটের কোন বৈঠক হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে যে তালিকা ঢাকা আদর্শ আন্দোলনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে তারা সেই তালিকাই মিডিয়ায় প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছেন।
এদিকে, এই তালিকার মধ্যে দু’জন আওয়ামী লীগের প্রার্থীও রয়েছেন। যাদেরকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে প্রিন্সিপাল আব্দুস সাত্তারকে। যিনি মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে আবুল হাসেম হাসুকে। যিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি বলে জানা গেছে। এই তালিকা প্রকাশের পর দু’দিন গত হয়ে গেলেও ওই বিষয়ে কোন সংশোধনী দেয়া হয়নি। কিভাবে এই নাম দুটি এসেছে সে ব্যাপারেও কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীসহ একাধিক দলের নেতারা বলেছেন, তাদের প্রার্থীদের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা না হলে তারা নিজেরাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে আলাদাভাবে নির্বাচন করবেন। ইতিমধ্যে কোন কোন ওয়ার্ডে আলাদাভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud