May 19, 2024
ঢাকা: খুব শিগগির সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষায় যেসব এলাকায় চরম অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে, সেসব এলাকায় আগেই মোতায়েন করা হবে সেনা সদস্যদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।
বিস্তারিত আসছে……..
চট্টগ্রাম: নগরীর বায়োজিদ বোস্তামি থানার বটতল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় আফছারুল আলম(৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরকারি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আফছার পটিয়া উপজেলার হরিণখাইন গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপ পরিদর্শক পঙ্কজ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বায়োজিদ বোস্তামি থানার বটতল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় আফছারুল। স্থানীয় লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম: লোহাগাড়ায় উপজেলায় সেনাবাহিনীর চলন্ত গাড়িকে লক্ষ্য করে অবরোধকারীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা করার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৪ জন ও রাতে অভিযান চালিয়ে আরো ৬ জনসহ মোট ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ জানা যায়, বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালীন সময়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার আমিরাবাদের রাজঘাটা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িকে লক্ষ্য করে অবরোধকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সেনা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই লোহাগাড়া থানার এসআই সোলাইমান বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ২৮ ও অজ্ঞাতনামা ৬০ জনসহ মোট ৮৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।’ এরপর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরো ৬ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল লোহাগাড়া উপজেলার রাজঘাটা মীর পাড়ার শাহাব উদ্দিন (২৮), চুনতির মো. হোসেন (২৫), কক্সবাজারের মহেশখালীর জয়নাল (২৪), শহিদুল ইসলাম (২৬), আবদুস শুক্কুর (৩০), চকরিয়ার দক্ষিণ হারবাং’র সৈকত বড়ুয়া (২৫), মধ্যম কোনাখালির রবিউল করিম (২২), সাতকানিয়ার করইয়ানগরের বাবু বড়ুয়া (২৯), বিপ্লব বড়ুয়া (৩২) ও পার্বত্য লামা উপজেলার আজিজ নগর উত্তর পাড়ার রকিবুল ইসলাম (২০)।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজারমুখী সেনাবাহিনীর ৩টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একদল অবরোধকারী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। ইট পাটকেল নিক্ষেপের পর সেনা সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে অবরোধকারীদের ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরো ৬ জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কায় ভোটগ্রহণের বেশ কিছু দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু প্রধান দুই দলের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় যে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে নির্বাচনের মাঠে আগাম নেমে ‘বিতর্কিত’ হতে চায় না সেনাবাহিনী। আর এ কারণেই বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকে দ্বিমত পোষণ করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও)। সিইসি নির্বাচনের ‘অন্তত ১৫ দিন আগে’ সেনা নামানোর কথা বললেও ভোটগ্রহণের মাত্র কয়েক দিন আগে মাঠে নামার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, ‘এ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট অন্যান্য নির্বাচন থেকে ভিন্ন। এ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেজন্য আগে থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা উচিৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটাররা আতঙ্কিত হলে নির্বাচনের প্রতি আস্থা কমে যাবে। তাদের আস্থা অর্জন করা জরুরি। তাই সেনা আগে থেকেই নামানো দরকার।’ তার এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনীর পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেলাল মোহাম্মদ সাইফুল হক আপত্তি তোলেন। তার মতে, এতো তাড়াতাড়ি সেনাবাহিনী মাঠে নামালে এ বাহিনী বিতর্কিত হতে পারে। তাই অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও তারা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বাহিনী মোতায়েন করতে চান। ‘কবে থেকে সেনাবাহিনী প্রয়োজন’ সিইসির কাছে পিএসও জানতে চাইলে উত্তরে সিইসি বলেন, ‘অন্তত ১৫ দিন আগে’। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত করেননি রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠক জানায়, ইসির একজন কমিশনার মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে সেনা মোতায়েনের কথা বলেন। কিন্তু তাদের যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন পিএসও। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া রয়েছে। এ মহড়া শেষে ইসির সহায়তায় সেনারা কাজ করবে বলে জানা গেছে। আর বিশেষ কারণে তার আগে সেনাবাহিনী প্রয়োজন হলে সে বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পিএসও। কমিশন সূত্রে জানা যায়, সাধারণত আগের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরেই রিটার্নিং অফিসারদের নিয়ে সভা করা হতো। সে সভায় সেনাবাহিনী নামানোর বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী, এ সভাটি এবারও ১৬ ডিসেম্বর মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, বিগত প্রায় সবক’টি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সর্বোচ্চ সাতদিন আগে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছিল। ২০০৮ এর নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে পরে মিলিয়ে ১২ দিন সেনা মোতায়েন ছিল। আর ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে ছিল ২০ দিন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান। কেবল রাস্তায় নয় পাড়া মহল্লায়ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যেতে হবে বলে মত দেন তিনি।
অন্যদিকে একজন গোয়েন্দাপ্রধান ‘গুপ্ত হামলা’ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি জেলাভিত্তিক নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলেন। সভায় নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ১০ হাজার বিজিবি সদস্য দেয়ার কথা জানিয়েছেন। গত নির্বাচনে সাড়ে ৭ হাজার বিজিবি সদস্য কাজ করেছে জানিয়ে এবার তিনি এ সংখ্যার কথা জানান। তবে অধিক পরিমাণে আনসার সদস্যদের মাঠে থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মনজুর আহমেদ। তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আনসারও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নাজিম উদ্দিন নির্বাচনের সময় সর্বোচ্চ সাত দিন আনসার সদস্যদের মাঠে রাখা সম্ভব বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩৫ হাজার অস্ত্র আছে। সে অনুযায়ী সাত দিনের বেশি আমাদের পক্ষে মাঠে থাকা সম্ভব না।’
বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ক্যাম্প গঠন করার প্রস্তাব এসেছে। তফসিল ঘোষণার পর যে ধরনের ‘নাশকতার’ আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো পরিস্থিতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলেও সিইসিকে আশ্বাস দেয়া হয়। তবে গোয়েন্দা প্রধানরা তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সিইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে বৈঠকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানদের কেউ-ই। শুধু সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রস্তুত। প্রয়োজন হলেই তারা মাঠে নামবে। তবে রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করেই দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’
ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। নির্ধারিত সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে কমিশনের একটি সূত্র জানায়, ‘এ বৈঠকে গোয়েন্দা প্রধানরা দেশের চিত্র তুলে ধরে একটি রিপোর্ট সিইসির কাছে উপস্থাপন করবেন। এ রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে কমিশন। সূত্রটি আরও জানায়, ‘ডিসেম্বরের দুই তারিখের মধ্যেই সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত এ বৈঠকেই হবে।’ সিইসির সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মোশতাক আহমেদ, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু বেলাল মো. শফিকুল হক, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, এসবি, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা এ বৈঠকে উপস্থিত আছেন। নিরাপত্তা জোরদার: গত দুইদিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার কমিশন চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রবেশপথে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির সদস্যরদেরও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের সড়কে রিকশা চলাচলেও বাধা দেয়া হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদের অনেককেই অন্য পথ দিয়ে ঘুরে যেতে দেখা গেছে। প্রধান গেট ছাড়াও কমিশনের অন্যান্য গেটেও চালানো হচ্ছে কড়া তল্লাশি। কমিশন চত্বরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সূত্র জানায়, নির্বাচনে আগ পর্যন্ত পুরো সময় ধরে ইসি জুড়ে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকা: সমঝোতা ছাড়া তফসিল অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনায় দীর্ঘ মেয়াদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো, জাবেদ আলী। তিনি মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। জাবেদ আলী বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনের সর্বোচ্চ তিন দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে।’ তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি অনুযায়ী দীর্ঘমোয়াদী সময়ের জন্য সেনা মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জাবেদ আলী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তফসিলের পর বিজয় মিছিলকারীদের বিষয়ে আজ একটি চিঠি দেয়া হবে। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারপত্র, গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনসহ সব ধরনের মিটিং-মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তফসিলের পর বিএনপির এক শীর্ষনেতার গ্রেপ্তার বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনায় কমিশন জড়িত নয়, তা আমি স্পষ্ট করতে পারি। পুলিশের রুটিন ওয়ার্কে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে।’
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাবেদ আলী বলেন, ‘সমঝোতার স্বার্থে কমিশন পুনর্গঠনের প্রশ্ন এলে আমার বক্তব্য পরিষ্কার- কেউ কোথাও চিরদিন থাকে না। রাষ্ট্র যাকে যেখানে ভাল মনে করবে, তাকে সেখানে দায়িত্ব দিবেন।’
চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে। আজ রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে চারজনকে কমোডর থেকে রিয়াল অ্যাডমিরাল ও ১৬ জনকে ক্যাপ্টেন থেকে কমোডর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কমোডর থেকে রিয়াল অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি পাওয়া চার কর্মকর্তা হলেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার আখতার হাবিব, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক (এসডিএস) এম আনোয়ারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষক আবদুল বাতেন এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। যাঁরা কমোডর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (মেরিন ও হারবার) মোহাম্মদ শাহজাহান, কোস্টগার্ডের কমান্ডার আবদুর রহমান, যুদ্ধজাহাজ বিএনএস ধলেশ্বরীর ক্যাপ্টেন বসিরউদ্দিন আহমেদ, নেভাল অ্যাভিয়েশনের কমান্ডিং অফিসার আবু আশরাফ, নৌবাহিনীর পরিচালক নেভাল অপারেশন মোজাম্মেল হক, করভেট প্রকল্পের প্রধান আবদুল কালাম মোহাম্মদ ফারুক হাসান, নেভাল একাডেমির কমান্ড্যান্ট এম নাজমুল হাসান, যুদ্ধজাহাজ আলী হায়দারের কমান্ডিং অফিসার মাহবুব উল ইসলাম, নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক রাশেদ আলী, যুদ্ধজাহাজ ‘সমুদ্র জয়ে’র কমান্ডিং অফিসার নাজমুল করিম কিসলু, নৌ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক সফিউল আযম, করভেট জাহাজের দায়িত্ব পাওয়া জাহাঙ্গীর আলম, নৌবাহিনীর পরিচালক (গুদাম) আবু নাসের মোহাম্মদ রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন আহমেদ, চীনে প্রশিক্ষণরত লোকমানুর রহমান এবং নৌ তড়িত্ প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলমগীর।
উল্লেখ্য, এর আগে ১০ নভেম্বর সেনাবাহিনীর ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সশস্ত্রবাহিনীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেশনিং ও এককালীন ভাতাসহ যত উন্নয়ন হয়েছে তার সমস্তই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।’ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি নৌ-বাহিনীকেও ত্রিমাত্রিক চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ও জাতিসংঘের মিশনে সশস্ত্রবাহিনীর অংশগ্রহণ ও সুনাম অর্জনের প্রশংসা করে তিনবাহিনীর সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবধরনের বিপদে এ বাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে সশস্ত্রবাহিনী আজ জনগণের আস্থা অর্জন করছে।’
সশস্ত্রবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সশস্ত্রবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে যুদ্ধাস্ত্র, রাডার, হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে। তাছাড়া বিমানবাহিনীর শক্তি আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে।’ একদিন বাংলাদেশ যুদ্ধবিমান তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌ বাহিনীকেও আধুনিকায়নের উদ্দ্যোগ নিয়েছে আমাদের সরকার।’
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ২১ নভেম্বর গঠিত হয় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী। তাই স্বাধীনতার পর থেকে এই দিনটিকে সশস্ত্রবাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ‘শিখা অনির্বাণে’ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। সোয়া ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই শিখা অনির্বাণে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। দিকে রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বাণী দিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।