May 19, 2024
নিউজ ডেস্ক: ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের দিন দেশের বিভিন্ন ইউপিতে যেভাবে ভোট গ্রহণের অনিয়মের অবিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিক একই ভাবে নির্বাচন কমিশনেও চলেছে হরিলুট। নির্বাচনের দিন রাতে ইসি সচিবালয়ের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এক বেলা ৮৬ হাজার টাকার ড়িম পোলাও খেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, নির্বাচনের দিন রাত পর্যন্ত আমাদের থাকতে হয়। তাই কমিশন আমাদের জন্য বরাদ্দ্ দিয়েছে কিন্তু সেই বরাদ্দের টাকা নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা হরিলুট করেছে। তারা ৮৬ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আমাদের এক বেলা এক প্যাকেট করে ড়িম পোলাও এবং একটি আধা লিটার পানির বোতল দিয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক ও ছয় ধাপে নির্বাচনের দিনের খরচসহ আলাদা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সচিবলয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খাওয়ানোর জন্য কিন্তু সাধারণ কর্মচারীদের ঠিকঠাক কিছুই খা্ওয়ানো হচ্ছে না। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা বলছে, আমাদের কাছে আর বেশি টাকা নেই। যে কয় টাকা আছে বাঁকি দিনগুলোতে হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডটকমকে জানান, ডিম পোলাও খেয়ে ৮৬ হাজার টাকা বিল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের জন্য মাত্র এক হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ টাকা দিয়ে এতো সংবাদ কর্মীদের একটা দিন চা-বিস্কিট খাওয়ানো সম্ভব? সারদিন রাত তারা সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য ইসিতে থাকে অন্য কিছু না হক অন্তত এককাপ চা তো খাওয়াতে হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডটকমকে বলেন, আমি এ বিষযে জানি না। তবে ডিম পোলও খেয়ে কি ভাবে ৮৬ হাজার টাকা বিল হয়। আমি বিষয়টি খতিযে দেখছি কেউ দোষী থাকলে ব্যবস্থা নিব।
এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ট্রেনিংয়ের নামে চলছে হরিলুট, লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে ইসি সচিবালয় থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছে মত মোটা অংকের বাজেট।পরিবার নিয়ে থাকছেন ভ্রমন করছেন সরকারি খরচে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ইউপি নির্বাচনে ঢাকা থেকে সচিব উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচ্ছে ট্রেনিং দিতে। ইউপি নির্বাচনে এ রকম তো আগে তেমন দেখা যায় নি। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অফিসাররা ট্রেনিং দেন আগেও এমন হত কিন্তু এবার সচিবালয় থেকে এত বড় কর্মকর্তাকে যেতে হবে কেন?
তিনি বলেন, ট্রেনিংটা মূল উদ্দেশ্যে হল ভ্রমন এবং মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ নেওয়া।উনারা যাবেন ৪ থেকে ৫ জেলায় তাহলে দেশের অন্য জেলা গুলোতে কে ট্রেনিং দিবে।