May 19, 2024
নিউজ ডেস্ক: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে রয়েছে নানা অপপ্রচার। জবাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিতর্ক ছড়িয়ে ভিওআইপি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করতে চাইছে এ কার্যক্রম। আর বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করছেন, সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্য এই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন হলে নিশ্চিত হবে নিবন্ধনকারীর নিরাপত্তা, কমবে মোবাইলে সন্ত্রাসী তৎপরতাও।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার সিম নিবন্ধনের তথ্য পাওয়ার পর, এ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করে বিটিআরসি। অত্যাধুনিক এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর পরই শুরু হয় অপপ্রচার। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে গ্রাহকদের মধ্যেও।
গ্রাহকরা বলছে, তথ্য পাচার করতে চাইলে তো অনেকভাবেই করা যায়। শুধু বায়োমেট্রিকের কথা কেন বলবে। সেটার জন্য আলাদা সিকুরিটির ব্যবস্থা করতে হবে। আমার মনে হয় এটা ঠিক না।
আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন হলে সিম মালিকের সম্পদহানীর গুজব আসে আলোচনায়। অনেকের আশঙ্কা, ১৩ কোটি মানুষের আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো এসব তথ্য দেশের জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারে।
রবি অজিয়াটা লি. এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেদ আলম বলেন, এই ফিঙ্গার প্রিন্টটা নেয়ার পরে এটাকে একটা বাইনারি মেথডে পাঠানো হয় ইলেকশন কমিশনে ম্যাচিং করার জন্য। এখানে মানুষের মধ্যে যে বিভ্রান্তিটা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা মনে করে তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট আমরা রেখে দিচ্ছি। কিন্তু আমরা কোন ফিঙ্গার প্রিন্ট রাখছি না।
মন্ত্রণালয় বলছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হচ্ছে তা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রে দেয়া আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে, পরিচয় পত্রটি আসল না নকল তা যাচাই করার জন্য। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সারা বিশ্বেই এটি এমন এক নিশ্চিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে জালিয়াতির কোন সুযোগই নেই।
সিএসই এন্ড আইটির বিভাগীয় প্রধান রায়হান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা হলে কপি¥উটারের কাছে একটা ডাটা কিন্তু থেকেই যাবে। এই ফোন নাম্বাটা আমি ব্যবহার করে যদি বেঙে ফেলেও দেই তারপরও কিন্তু তারা আমাকে ট্রাক করতে পারবে।
এ অবস্থায় জনগণের নিরাপত্তায় নেয়া এ পদ্ধতি নিয়ে অপপ্রচার না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি থেকে নেয়া