April 25, 2024
নিউজ ডেস্ক:
ডিসি, এসপি, রিটার্নিং অফিসার ও ওসিরা মতাসীনদের নিয়ন্ত্রণেই স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলেও তারা থানা সদরের বাইরে যাচ্ছে না। রিটার্নিং অফিসাররা মতাসীন দলের নেতাদের কথায় চলছেন।
ডিসি-এসপিরাও মতাসীনদের প্রার্থী বিজয়ী করতে ব্যস্ত। ইসি থেকে ডিসি-এসপিদের ফোন করলেও তারা বিরক্ত হচ্ছেন। ভোটের দিন নির্দ্বিধায় মতাসীনদের হাতে ব্যালট তুলে দিচ্ছেন সিল দেওয়ার জন্য। চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের এ চিত্র পাল্টাতে বার বার কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা, হুঁশিয়ারি দিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এমন পরিস্থিতিতে দুই দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে এখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ইসি। এখন কোনোভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে আগামী বছর মেয়াদ শেষে বিদায় নিতে চাইছেন বর্তমান কমিশনাররা। ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ মনোভাব জানা গেছে।
ইউপি নির্বাচনের এমন পরিস্থিতিতে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাঠপ্রশাসনের ওপর নির্বাচনের সব দায়িত্ব দিয়ে ইসি হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চাইছে। তাই তারা নির্বাচনী হাল ছেড়ে দিয়েছেন। যে যেমনে পারছেন, সিল মেরে নিচ্ছেন।
অনেক মাঠ কর্মকর্তা ফলাফলও পাল্টিয়ে দিচ্ছেন, ইসি কিছুই বলছে না। অনেকে আপে করে বলেন, কী দরকার টাকা দিয়ে ব্যালট ছাপানোর।
চেয়ারম্যানদের বললেই তারা নিজেদের প্রতীকে সিল দিয়ে ব্যালট ছাপিয়ে নিতেন! একজন নির্বাচন কমিশনার ােভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তো আমাদের নয়।
উৎসৃ. বাংলাদেশ প্রতিদিন