পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

‘সরকার চাইলে গরু উৎপাদন করে চাহিদা মেটানো সম্ভব’

Posted on April 5, 2015 | in আইন-আদালত | by

ওমর ফারুক : সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশে ব্যাপকভাবে গরু পালনের মাধ্যমে দুধ, ঘি, ছানা, মাখন ও গো-মাংসসহ সব চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণি উৎপাদন বিভাগের সহকারি পরিচালক আজিজুর রহমান। দেশের সাধারণ maxresdefaultমানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে দেশীয় চাহিদা মেটাতে ঘরে-ঘরে গো-খামার প্রতিষ্ঠা করতে সরকারি উদ্যোগের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে গরু রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর ব্যাপক চাহিদা মেটাতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো পরিকল্পনা আছে কী না সে বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের সময় ডটকমকে তিনি একথা বলেন।
গরুকে জাতীয় মাতা আখ্যা দিয়ে ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ ও বাংলাদেশে গরু রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। বাংলাদেশিদের গরু খাওয়া বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) গরু পাচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশিদের গো-মাংস খাওয়া বন্ধ করা।
এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবছর ভারত থেকে ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে রফতানি হয়। যার বাজারমূল্য ৩৯ হাজার কোটি টাকা। গরু রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে দেশটি এই মোটা অংকের রাজস্ব হারালেও বাংলাদেশ যদি গরুতে স্বনির্ভর হতে পারে তবে এই অর্থ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে যোগ হবে। সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু পালনের উদ্যোগ নিলে এই খাতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের।
প্রাণি উৎপাদন বিভাগের সহকারি পরিচালক বলেন, ঢাকার সাভার, বগুড়ার শেরপুর, বরিশালের কাশিপুর, রাজশাহি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি মাহিষ ও ৭টি সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিবছর সেখান থেকে গরুর নতুন জাতের উদ্ভাবনসহ কয়েক লাখ গরু উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি খামারের সংখ্যা কয়েক হাজার। সেখান থেকেও উৎপাদিত হচ্ছে অসংখ্য গরু। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খামারের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হলে গরুর উৎপাদন বহুগুণ বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে পল্ট্রি শিল্প দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পেলেও পল্ট্রির দাম আছে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। এই কাজ এক দিনে সম্ভব হয়নি। আশির দশকে সরকারি উদ্যোগে কাজ শুরু করে তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে সরকারি উদ্যোগে ঘরে-ঘরে গরু পালনের নির্দেশ দেওয়া হলে খুব দ্রুত দেশের গরুর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।
জনবহুল এই দেশে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবের কথা তুলে ধরে কিছু প্রতিবন্ধকতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি। গো-খাদ্য কমমূল্যে পাওয়া সম্ভব হলেও সরকারের টেন্ডার নীতির কারণে দশ টাকার খাদ্য বিশ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ঘাস উৎপাদনের জন্য বহু একর সরকারি জায়গা খালি থাকলেও সেখানে পর্যাপ্ত ঘাস উৎপাদন হচ্ছে না। সর্বোপরি রাজনৈতিক কারণেও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে গরু সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud