April 28, 2024
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন : এ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট তথ্যগতভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অবাস্তব। আমরা দেখেছি, বিগত বছরগুলোতে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ ছিল তার সবটা খরচ করা হয়নি। গত বছরের বাজেটের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাস্তবায়িত করা হয়নি। সেখানে বরাদ্দভিত্তিক যে রূপরেখা দিয়েছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী সেটা আসলে খুব বাস্তবসম্মত নয়। বিশেষ করে শিক্ষাখাতে সব সময় বরাদ্দ কম দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষাখাতে অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। সেখানে শিক্ষাখাতে এ বছর গত বছরের তুলনায় সামান্যই বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলেছেন, প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও গড় হিসাবে এর আকার কমে আসছে। অন্যদিকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই বাজেট হলো তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট এবং ত্রুটিহীন বাজেট। কিন্তু শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কম, অন্যদিকে শিল্প-সংস্কৃতিক খাতেও যতসামান্য বাজেট। কাজেই শিক্ষা এবং সংস্কৃতিক খাতে বাজেট বরাদ্দ কম দিয়ে একটি দেশ কিভাবে এগিয়ে যাবে বা উন্নত হবে এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
উন্নয়ন মানে কিছু রাস্তাঘাট নির্মাণ, ধর্মীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন সেটা এক অর্থে উন্নয়ন নয়। অর্থমন্ত্রী তা বোঝাতে চাইলেও আমরা তা বুঝব না। উন্নয়ন মানে হচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষকে পরিতৃপ্ত করার শক্তি যোগানো। অর্থমন্ত্রী শুরুতেই বলেছিলেন, এ বছরের বাজেটে তিনি চাপাচাপি করবেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ বাজেটটাই চাপাচাপিরই বাজেট হলো। কারণ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের পেট এবং পকেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। যার ফলে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে বলে মনে হয়। সব মিলিয়ে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত এবং অবাস্তব বলে মনে করি আমি।
পরিচিতি: ইতিহাসবিদ
মতামত গ্রহণ : ফাতেমা-তুজ-জোহরা