March 29, 2024
অধ্যাপক ড. অজয় রায় : একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় বইয়ের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কম ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা। এসব তাদের খামখেয়ালিপনা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, তারা জানে যদি বিনামূল্যে বই দিতে হয় তাহলে সকলকেই দিতে হবে। কথা হচ্ছে, যদি বিনামূল্যে বই দিতে না পারেন তাহলে একটা মূল্য ধার্য করুন যেন সেই মূল্যে বাজার থেকে বই কিনে নেওয়া যায়। একাদশ শ্রেণির বই সাধারণত বিনামূল্যে দেওয়া হয় না, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া একদমই ঠিক নয়। আমরা দেখতে পাই, বাজারে অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাদের মন-মতো মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। যার ফলে বেশিরভাগ দরিদ্র শিক্ষার্থী পুরনো বই কিনে পড়তে বাধ্য হয়। এই যে নকল বই ছাপানো, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বই বিক্রি, এগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, দরকার হলে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবেন। এছাড়া আর কোনো উপায় আমি দেখছি না।
নকল বই ছাপলে তো অবশ্যই চড়া মূল্যে বিক্রি করবে, প্রকাশকরা তো ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখবে। বিনামূল্যে যদি বই না দেওয়া যায় তাহলে প্রতিশ্রুতি কেন দেওয়া হয়? এই অর্ধেক বই-বা ছাপানোর দরকার কী? এগুলো হচ্ছে অদ্ভুত সব অনিয়ম। আমরা এক অদ্ভুত উটের পিঠে চলছি। এভাবে চলতে থাকলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে না, এটার বড় একটা প্রভাব আমাদের দেশের অর্থনীতির উপরও পড়বে। অর্থনৈতিক চাপ পড়বে অভিভাবকদের উপর। তাদেরকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে নকল বই কিনতে হবে। নকল বইয়ের কোয়ালিটিও খারাপ হবে। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি