পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

‘ভিভিআইপি নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানি না হয়’

Posted on July 19, 2017 | in জাতীয় | by

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ (ভিভিআইপি) ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানি ও দুর্ভোগে না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুষ্ঠু ও নিশ্ছিদ্র প্রয়োগ নিশ্চিত করতে গিয়ে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা জনজীবন যাতে কোনোভাবেই বিপর্যস্ত না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে অযথা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার না হয় সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে।”

বুধবার এসএসএফ’র ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন।

এসএসএফ সদস্যদের অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার কথাও মনে করিয়ে দেন আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজটি খুব সহজ নয়, বরং অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও জটিল। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এসএসএফ-এর কার্যক্রমে অনুকূল পরিবর্তন আনতে হবে। ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আপনারা মূল দায়িত্ব পালন করলেও বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই দায়িত্ব পালনকালে সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

নিরাপত্তার কারণে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। আমাদের পবিত্র সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’। তাই ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রদানে জনগণের অধিকার যাতে কোনোভাবেই খর্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

“মনে রাখতে হবে, যারা আজ ভিভিআইপি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন তারা সকলেই জনগণের সমর্থন, সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েই এ পর্যায়ে এসেছে। তাই জনগণের সাথে তাদের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক এবং একই সাথে দায়বদ্ধতা।

“ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি জনসম্পৃক্ততাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একজন জননেতা তার কর্মী, সমর্থক ও ভক্তদের কাছে সব সময়ই আশা-ভরসার প্রতীক। তাই নেতার কাছে তাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। এ যেন এক অলিখিত বন্ধন। তাই রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যান দায়িত্ব পালনকালে তা নিশ্চিত করতে হবে।”

আবদুল হামিদ বলেন, “বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যে সব আমন্ত্রিত অতিথিরা আসেন তারাও সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। অনুষ্ঠানে তারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়টিও মনে রাখতে হবে। এজন্য আপনাদের আরও কৌশলী হতে হবে। ‘নিরাপত্তা’ ও ‘জনসংযোগ’ এ দুয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন-এ প্রত্যাশা করি।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনীর প্রধান, এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud