May 12, 2024
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজকের নারী অনেক বেশি সচেতন। সব বিষয়ে সচেতনতার সঙ্গে বাড়িয়ে তুলেছে তার কর্মদক্ষতা। কোনো কাজে তার আত্মবিশ্বাসের আভাব নেই। আড়ষ্ঠতায় ঘরের কোনে নারীকে লুকোতে হয় না। আগের দিনে পিরিয়ডের সময় তাকে থাকতে হতো গুটিয়ে। কিন্তু আজ নির্ভরতা আর সাহস জুগিয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
পুরনো কাপড় ফেলে স্যানিটারি ন্যাপকিনই এখন একমাত্র ভরসা। অথচ অসংখ্য নারী নানা রকম সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকেন শুধুমাত্র এই স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভুল ব্যবহারের কারণে। দাম দিয়ে কেনা ন্যাপকিন ব্যবহার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। অনেক বেশি শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন, দীর্ঘ সময় লিকেজ প্রতিরোধ করে এমন প্যাড আরও বেশি ক্ষতি করছে।
কম ব্লিডিং হয়েছে ভেবে দীর্ঘসময় হয়তো একই ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন। রক্তপাত কম বা বেশি হোক, একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন কখনোই দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা ঠিক নয়। খুব বেশি হলেও ৫ ঘণ্টা পর পর বদলে ফেলা জরুরি। যদি রক্তপাত বেশি হয়, তাহলে প্যাড নষ্ট হওয়া মাত্রই বদলে ফেলুন। কারণ, ন্যাপকিনে খুবদ্রুত জীবাণু সংক্রমিত হয়। এতে যৌনাঙ্গের অসুখে আক্রান্ত করার আশঙ্কা থাকে।
প্রতিবার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলের পর নিজেকে ভালোভাবে পরিছন্ন করে নিন। উষ্ণ পানির সঙ্গে জীবাণুনাশক সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তারপর স্থানটি জীবানুনাশক কোন লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ও মুছে নিয়ে তবেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। কৃত্রিম সুগন্ধীউক্ত প্যাড ব্যবহার না করা ভালো। এই উপাদানগুলো আপনার গোপন অঙ্গে কালো দাগ ও এলারজিক রিঅ্যাকশনের জন্য দায়ি। তাই প্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক শোষণ ক্ষমতার দিকে না গিয়ে নরম তুলো বা সুতি কাপড়ের তৈরি অরগানিক প্যাড কিনতে পারেন।