May 18, 2024
ঢাকা: আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও কোন দল কতটি আসনের জন্য লড়বে, তা নিয়ে জোটে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে মহাজোট নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য রেখেছিল ২৬০টির বেশি আসন। বাকি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি ৩৪টি, জাসদ চারটি, এবং ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন পেয়েছিল। ফলাফল- আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৩০টি আসন। জাতীয় পার্টি ২৭টি, জাসদ তিনটি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি দুইটি। সংবিধান অনুযায়ী চব্বিশে অক্টোবর থেকে পঁচিশে জানুয়ারির মধ্যে হবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার মহাজোটের দলগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা নেই। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এখনও বসিনি। নেত্রী উপযুক্ত সময়ে বসবেন।
নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করার পর চূড়ান্ত আলোচনা হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের তিরিশজন নেতা এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রার্থী মনোনয়নে সব শরিক দলের কার্যকর মতামত থাকা জরুরি বলে মনে করেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করিনি। তবে অক্টোবরের শুরুতেই আলোচনা হবার কথা আছে। শরিক সব দলের মতামতের ভিত্তিতেই আসন বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে। আগে ১৪ দল মননয়ন দেবে। তারপর অন্যদের সাথে আলোচনা হবে। নির্বাচনে আগ্রহী ওয়ার্কার্স পার্টিরও প্রায় চল্লিশ নেতা।
দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন মনে করেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিৎ ছিল আরও আগে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, কোনরকম কোন আলোচনা আজ পর্যন্ত হয়নি। যেসব চিন্তা ভাবনা ছিল তার কোনতাই বাস্তবায়ন হয়নি। দলীয় প্রস্তুতি রাখছি। আশা করি এর ভিত্তিতেই আসন বরাদ্দ হবে। আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে সব শরিক দলের মতামত নেয়া হয় না বলেই মহাজোট স্থবির হয়ে আছে বলেও মনে করছেন শরিক দলগুলোর নেতারা।