May 5, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : যে তরুণের হাত ধরে বাংলাদেশের লাখো তরুণ আলোর মিছিলে হাটতে শুরু করেছিলো। যার সহচর্যে হাজারো তরুণ ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জ্বলে উঠেছিলো। তেজদীপ্ত সেই তরুণের নাম শেখ কামাল। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ শেখ কামাল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের বুলেটের নির্মম আঘাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় তার। নিভে যায় দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান শেখ কামালের নববধূ সুলতানা কামাল।
১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্ম নেন শেখ কামাল। ভাই-বোনদের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। ঢাকার শাহীন স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ পাস করেন। শেখ কামাল শৈশবকাল থেকেই ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রেমী ছিলেন।
শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। মঞ্চে অভিনয় ও ছায়ানটে সেতার বাজানোও শিখতেন। দেশের নামকরা ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬৯ এর গণ-আন্দোলন ও ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে শেখ কামাল অংশ নেন।
শেখ কামাল একাত্তরের ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এ জি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শেখ কামাল ও সুলতানা কামালের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে জীবনের ইতি ঘটে তার।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শহীদ শেখ কামাল-কে স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। আরটিভি