পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

তারেক রহমানকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে : আইনমন্ত্রী

Posted on July 19, 2017 | in আইন-আদালত, সারা দেশ | by

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার বিকেলে রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, তারেক রহমান ফেরারি আসামি। তাই ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বহুল বিতর্কিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধারায় যেসব অপরাধকে সংযুক্ত করা হয়েছে, সেসব অপরাধই। তবে সে ধারায় কোনো নাগরিক যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ৫৭ ধারা এখন যে রূপে আছে, নতুন ডিজিটাল সুরক্ষা আইনে সেভাবে থাকবে না।’

আনিসুল হক বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের দ্বিমতের ফলে দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। এই দ্বিমতের ফলে যে আলোচনা চলছে তা গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় করবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, আয়েন উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, আবদুল ওয়াদুদ দারা ও বেগম আক্তার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আল-আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করে আইনমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ভবনের সামনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী রাজশাহীর আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আটতলার নতুন আদালত ভবনে ১০টি এজলাস বসানো হয়েছে বলে জানান রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ২০১২ সালে রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে ২০১৪ সালের শেষে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে ভবনটি হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় ভবনটির কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। বর্তমানে ভবনটিতে বিচার কার্যক্রম শুরু করার উপযোগী সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আমান উল্লাহ আরো বলেন, ভবনটির ভিত্তি কাঠামো ১২ তলার। প্রথম পর্যায়ে আটতলার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ভবনের মোট আয়তন ৯৮ হাজার ৯৮৩ বর্গফুট। নিচতলায় চার হাজার বর্গফুটের পার্কিং সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে অত্যাধুনিক লিফট ব্যবস্থা। মালখানার আয়তন দুই হাজার ২৪০ বর্গফুট। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পুরুষ ও নারী হাজতখানা। একই তলায় রয়েছে নেজারত শাখা। তৃতীয় তলায় মুখ্য বিচারিক হাকিমের এজলাস ও অফিস। এই তলাতে রয়েছে দুই হাজার ৫০ বর্গফুটের রেকর্ডরুম। চতুর্থ থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত বিভিন্ন আদালতের এজলাসসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। চতুর্থ তলায় করা হয়েছে এক হাজার বর্গফুটের সম্মেলন কক্ষ। বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য ৫০০ কেভিএ ক্ষমতার একটি সাব-স্টেশনও বসানো হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য ১০০ কেভিএ ক্ষমতার একটি জেনারেটরও বসানো হয়েছে।

রাজশাহীর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইব্রাহিম হোসেন জানান, এজলাস সংকটের কারণে এতদিন রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আওতাধীন এজলাসগুলো শিফট আকারে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নতুন আদালত ভবন হওয়ায় এই সংকট নিরসন হলো। ফলে সার্বিক বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক সুবিধা পাবেন আদালতে আগতরা। এতে মামলার বিচারকাজেও গতি আসবে বলে জানান তিনি।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, দেশের ৬৪ জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন নির্মাণে ২০০৯ সালে একটি বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলায় আদালত ভবন নির্মাণ শেষ হয়ে বিচারকাজ চলছে। একই প্রকল্পের আওতায় ১০টি জেলায় নির্মিত আদালত ভবন হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া আট জেলায় নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ৬৪ জেলায় এসব আদালত ভবন নির্মাণ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud