পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

তামাকের ক্ষয়ক্ষতি ও কিছু কথা

Posted on May 31, 2014 | in লাইফস্টাইল | by

no-smoking-sign-fullডেস্ক রিােপার্ট : বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজবিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এ দিবসটি। দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- তামাকের উপর কর বাড়াও, রোগ মৃত্যুর হার কমাও। আসলে এই তামাকটি কি? এই তামাকটি হচ্ছে একটি উদ্ভিদ থেকে সংগৃহীত পাতা। যার মধ্যে আছে ৪০০০ রাসায়নিক পদার্থ।

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে :

১. নিকোটিনথ তীব্র আসক্তি উৎপন্নকারী রাসায়নিক, যাকে মাদকদ্রব্যের আওতায় আনা যায়।

২. কার্বন মনোক্সাইডথ এই বিষাক্ত গ্যাসটি হৃদরোগের জন্য দায়ী। গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় থাকে।

৩. বেনজোপাইরিনথ আলকাতরায় আছে, ক্যান্সার উৎপাদনকারী

৪. হাইড্রোজেন সায়ানাইডথ মৃত্যুদ- প্রদানের সময় গ্যাস চেম্বারে ব্যবহৃত হয়।

৫. ফরমাল ডিহাইডথ মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়, ক্যান্সার উৎপন্নকারী।

৬. পোলোনিয়াম ২১০থ তেজস্ক্রিয় পদার্থ , ক্যান্সার উৎপন্নকারী। বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণায় দেখা যায় :থ তামাকের দাম যদি ১০ ভাগ বৃদ্ধি পায় তাহলে উন্নত দেশে এর ব্যবহার ৪% এবং উন্নয়নশীল দেশে ৮% কমে আসবে। বিড়ি সিগারেটে ওপর ১৫% সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং বিড়ি প্রতি প্যাকেটের উপর ২ টাকা ধার্য করা হলে, ধূমপায়ীর সংখ্যা ২০% হ্রাস পাবে এবং সরকার এই খাতে রাজস্ব আরও ৯৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে।

তামাকপণ্যের ওপর কর বাড়ালে এর ব্যবহার কমে।

বাংলাদেশে কর বাড়ানোর মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্য ১০% বাড়ালে এর ব্যবহার কমবে ৩% থেকে ৬%।

অতএব, তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কর বৃদ্ধি একটি কার্যকর উপায় (ওঞঈ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ চড়ষরপু ঊাধষঁধঃরড়হ চৎড়লবপঃ – অঢ়ৎরষ ২০১০)। বাংলাদেশ জরিপে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্রয় ও মূল্য সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করেছে। তথ্যসূত্র মতে, বাংলাদেশে তামাকের কর-নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হলেও ওঞঈ বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ের জরিপে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে মূল্যের গুরুত্ব ইঙ্গিত করে। অর্ধেকের বেশি (৫৫%) ধূমপায়ী (শুধু সিগারেট সেবনকারী ও বিড়ি এবং উভয় সেবনকারী) ধূমপান ত্যাগ করার চিন্তার ক্ষেত্রে সিগারেটের মূল্যকে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন। ধূমপান ত্যাগ করার ১২টি কারণের মধ্যে এটি ৭ম কারণ। এ দিক থেকে বিশ্বের ১৯টি ওঞঈ ভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম, যার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের সিগারেটের মূল্যের সঙ্গে ধূমপান ত্যাগ করার যোগসূত্র দুর্বল।

পরিসংখ্যানে ধূমপায়ীদের একটি বড় অংশ সিগারেট ও বিড়ির পিছনে অর্থ খরচ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৯২% শুধু সিগারেট সেবনকারী এবং ৮২% সিগারেট ও বিড়ি উভয় সেবনকারী মনে করেন কিংবা জোরালোভাবে মনে করেন, তারা সিগারেটের পিছনে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের পূর্ণ বয়স্ক জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের

একভাগ অর্থাৎ ১১১ কোটি লোক ধূমপায়ী, যার মধ্যে ২০ কোটি মহিলা। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ধূমপায়ী শতকরা ৪৮ ভাগ পুরুষ এবং ৭ ভাগ মহিলা। বিশ্বে প্রতিবছর তামাকের কারণে প্রায়

৬০ লাখ লোকের মৃত্যু হয় এবং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ৬ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য

সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে , ধূমপানের কারণে ২৫ কোটি শিশু-কিশোর অপরিণত বয়সে মৃত্যুবরণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালে

বিশ্বে প্রতি বছরে এক কোটি লোক তামাকজনিত

কারণে মৃত্যুবরণ করবে। এর মধ্যে ৭০ লাখই

মারা যাবে, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে।বা:প্র

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud