পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মহারণ আজ বার্সার পঞ্চম না জুভেন্টাসের তৃতীয়!

Posted on June 6, 2015 | in Uncategorized, খেলাধুলা | by

120 122 123 124স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দলের সামনেই ইতিহাস গড়ার হাতছানি। ঘরোয়া লিগের ডাবলস জেতা বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস ট্রেবল জয় থেকে আর মাত্র একটি জয় দূরে রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারাতে পারলে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে দুবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড গড়বে মেসি-নেইমারের বার্সেলোনা। আর স্প্যানিশ জায়ান্টদের হারিয়ে বার্লিনের ফাইনাল মাতাতে পারলে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ের স্বাদ পাবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস যেই জিতুক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইতিহাস গড়া হবে। এমন সমীকরণ নিয়ে আগামী শনিবার বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সেরা দল দুটিই উত্তীর্ণ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস ঘরোয়া ফুটবলে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে আধিপত্য বিস্তার করেছে। দুটি দলই ডাবলস জিতে বার্লিনের ফাইনালের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। বার্সেলোনা লা লিগা ও কোপা ডেল রে এবং জুভেন্টাস সিরি আ ও ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতে ট্রেবল জয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
বার্সেলোনা-সহ মোট সাতটি ইউরোপিয়ান দল ট্রেবল জেতার গৌরব অর্জন করেছে। তবে কোনো দলই দুবার ট্রেবল জিততে পারেনি। বার্সেলোনার সামনে এবার সেই সুযোগ এসেছে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ের প্রহর গুনছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
১৯৬৭ সালে স্কটিশ দল সেল্টিক প্রথম দল হিসেবে ট্রেবল জয়ের স্বাদ পায়। পাঁচ বছর পর নেদারল্যান্ডের দল আয়াক্স দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জয় করে। এরপর ১৯৮৮ সালে দ্বিতীয় ডাচ দল হিসেবে ট্রেবল জয়ের স্বাদ পায় পিএসভি ইন্ডোভেন। ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ট্রেবল জয় করে। এর ১০ বছর পর পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনা প্রথম স্প্যানিশ দল হিসেবে ট্রেবল জয় করে। এক বছর পর ট্রেবল জয়ের স্বাদ পায় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। বায়ার্ন মিউনিখ সর্বশেষ দল হিসেবে ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের রেকর্ড গড়ে।
প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বার্লিন যাওয়া জুভেন্টাস তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় থেকে মাত্র একটি জয় দূরে। ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে তারা।
বার্সেলোনার শক্তিশালী আক্রমণভাগ ও জুভেন্টাসের দুর্ভেদ্য রক্ষণভাগের মধ্যকার জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় গোটা ফুটবলবিশ্ব। দুর্দান্ত ও অপ্রতিরোধ্য ছন্দে থাকা লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজকে থামানোর জন্য গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনের পাশাপাশি দুই পরীক্ষিত রক্ষণসেনা বুনোচ্চি, বারজাগলির মতো তারকারা প্রস্তুত রয়েছেন। মিডফিল্ডে জুভেন্টাসের হয়ে ত্রাস ছড়াতে পারেন তরুণ পর পগবা। আবার কার্লোস তেভেজ ও আলভেরো মোরাতারা জেরার্ড পিকে ও সার্জিও বুসেকটসে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি ফেলতে পারেন।
রক্ষণে জুভেন্টাস যতো শক্তিশালীই হোক না কেন শনিবারের ফাইনালে বার্সেলোনাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে। বিশেষ করে লিওনেল মেসির মতো অপ্রতিরোধ্য তারকার উপস্থিতিই কাতালানদের এগিয়ে রাখবে। জুভরা যতো পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামকু না কেন মেসির এক ঝলকই ম্যাচের ফলাফল পাল্টে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে যেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে জার্মান দানব বায়ার্ন মিউনিখ। কোপা ডেল রে’র ফাইনালে অ্যাথলেটিক মাদ্রিদের বিপক্ষেও মেসি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন যে, তার দিনে কোনো রক্ষণ ও দেয়াল দিয়েও তাকে আটকানো যাবে না।
গত ১০ বছরে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শনিবারের ফাইনালে নামতে যাওয়া বার্সেলোনা ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামলেও বার্লিনের ফাইনালটি সহজ হবে না বলে জানিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিক।
লুইস এনরিক বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেই আমরা এবার ট্রেবল জয়ের অসাধারণ স্বাদ পাবো, যেটা সবাইকে রোমাঞ্চিত করছে। এটি ক্লাবের ইতিহাসে একবারের বেশি ঘটে না। তবে শনিবারের ফাইনালটি সহজ হবে না। তাদের বেশ কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। আশা করি ফাইনালে আন্দ্রে পিরলো বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কারণ আমরা জানি সেরা ফর্মে থাকলে সে কী করতে পারে।’
এদিকে জুভেন্টাসের জন্য দুঃসংবাদ হলো ফাইনারে তারা রক্ষণভাগের সেরা তারকা জর্জিও কিয়েলানিকে পাচ্ছে না। বুধবার অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়া এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডার দুই সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন। ফলে মেসি-নেইমার ও সুয়ারেজের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হতে পারে জুভদের।
মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ (এমএনএস) ত্রয়ীর দুর্দমনীয় পারফরম্যান্সের কল্যাণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল’তে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যান সিটি, কোয়ার্টার ফাইনালে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এবং সেমিফাইনালে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে লুইস এনরিকের বার্সেলোনা। এরপর একই কায়দায় কোপা ডেল রে’র ফাইনালে বিলবাওকে উড়িয়ে দিয়েছে কাতালানরা। ফলে কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছে ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের মতো তারকাদের রুখে দিয়ে দুই লেগেই রিয়াল মাদ্রিদকে জয়বঞ্চিত করে জুভেন্টাস। শনিবারের ফাইনালেও যদি মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের নিস্ক্রিয় করতে পারে জুভেন্টাসের রক্ষণ ও গোলরক্ষক বুফন তবে ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান সেরার মুকুট পেতে পারে তারা।
সম্ভাব্য একাদশ:
বার্সেলোনা: মার্ক টার স্টেগান, হাভিয়ের মাসচেরানো, জেরার্ড পিকে, জর্ডি আলবা, দানি আলভেজ, সার্জিও বুসকেটস, ইভান র‌্যাকিটিক, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার।
জুভেন্টাস: জিয়ানলুইজি বুফোন, লিওনার্দো বুনোচ্চি, আন্দ্রে বারজাগলি, স্টেফান লিচেস্টাইরেন, ক্লদিও মার্সিসিও প্যাট্টিক এভরা, পল পগবা, আন্দ্রে পিরলো, আর্তুরো ভিদাল, আলভেরো মোরাতা ও কার্লোস তেভেজ।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud