পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

চার জঙ্গি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য: র‌্যাব

Posted on July 16, 2017 | in জাতীয়, সারা দেশ | by

ডেস্ক রিপোর্ট : আশুলিয়ায় একটি বাড়ি ঘেরাও করে গ্রেফতার করা চার ব্যক্তি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের জঙ্গি বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, বাড়িটির মালিক ইব্রাহিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাত থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বাড়ির ভেতর অবিস্ফোরিত কিছু এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস আছে এবং র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে কাজ করছে। অভিযান এখনও শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, এই আস্তানা থেকে গ্রেফতার হওয়া চার জন হলো- মোজাম্মেল, ইরফানুল, রাশেদুল ও আলমগীর। মোজাম্মেল তাদের দলনেতা।

তিনি জানান, ‘বাড়ির মালিক ইব্রাহিমই জানিয়েছিল, তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের চলাফেরা সন্দেহজনক। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাত ১টায় বাড়িটি ঘেরাও করা হয়। রাত ৩টার দিকে জঙ্গিরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে র‌্যাব বিভিন্নভাবে তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা করে। মাইকিং করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। ওয়ার্নিং শট দেওয়া হয়। এই সময় একজন বের হয়ে আসে। সে বের হয়ে জানায় ভেতরে আরও তিনজন আছে। তার মাধ্যমে আলোচনা করে বাকিদের বের করা হয়।’ র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এরা মাসে আড়াই হাজার টাকা ভাড়ায় ও গার্মেন্টকর্মী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেয়। তবে ভাড়া নেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কোনও ডকুমেন্ট জমা দেয়নি। পরে জমা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ওঠে।

মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, ‘এপ্রিলের শেষ দিকে তামিম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছিল। আশুলিয়ায় এই অভিযানের সময় ওইসব তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এভাবেই আমরা নিশ্চিত হই এরা সারোয়ার-তামিম গ্রুপের।’
অভিযান এখনও শেষ হয়নি জানিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘জঙ্গিদর গ্রেফতারের পর র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে কাজ করছে। অবিস্ফোরিত অবস্থায় বেশকিছু এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পাওয়া গেছে।’

গ্রেফতারকৃত চারজন কোন মাপের জঙ্গি, আর কোনও জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা তা পরে জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা মিনিমান ফোর্স ক্রিয়েট করে জঙ্গিদের জীবিত অবস্থায় সারেন্ডার করতে বাধ্য করেছি। যাতে এদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যায়। এজন্যই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা হচ্ছিলো। ওয়ার্নিং দেওয়ার কারণেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এটা একটা ফলোআপ অভিযান ছিল।’

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud