November 5, 2025
বাঘ যে কারো বন্ধু হতে পারে না তা আরেকবার প্রমাণ হলো ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের একটি বিখ্যাত চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানার দায়িত্বে নিয়োজিত ২৪ বছরের তরুণী সারাহ ম্যাকক্লে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন।
সাউথ লেকস ওয়াইল্ড এনিমেল পার্কে বাঘের খাঁচায় ঢুকে কাজ করার সময় ওই তরুণীর ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালায় বাঘটি। এতে মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন সারাহ।
তাকে দ্রুত রয়্যাল প্রেস্টন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিড়িয়াখানাটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

* হেফাজতকে অর্থ দিয়েছে ১৮ দল
* আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন বাবুনগরী *
নজমূল হক সরকার, কালাম আজাদ, মাহমুদুল আলম ও তাহমিনা আক্তার মিতু : ১৩ দফা নয়, হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে অবস্থানের টার্গেট ছিল সরকারের পতন ঘটানো। এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অর্থ সহায়তা দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। একইসঙ্গে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থানে খাওয়া-দাওয়াসহ সবকিছুর দায়-দায়িত্বও নিয়েছিলেন ১৮ দলের নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি দাবি করেন, ওইদিনের নারকীয় ঘটনা বন্ধের জন্য হেফাজতের ১৪ নেতাকে বারবার বলেছিলেন। একইসঙ্গে বাবুনগরী ওই নারকীয় ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর মহানগর হাকিম মো. হারুন অর রশীদের খাস কামরায় বাবুনগরীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে মতিঝিল থানায় দায়ের করা ১৩ নম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ মফিজুর রহমান বাবুনগরীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার আবেদন জানান।
আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে গিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘৫ই মে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশস্থলে হেফাজতকর্মীরা প্ল্যাকার্ড ও কাপড়-চোপড় নিয়া আসছিল। জামায়াত-শিবির এবং ছাত্রদল-যুবদলের উচ্ছৃঙ্খল লোকজন করাত দিয়া গাছ কাটিয়া রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। তাহারা অগ্নিসংযোগ করিয়া পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আমি সমাবেশস্থলের আশপাশে অগ্নিসংযোগের ফলে আগুনের লেলিহান শিখা দেখিয়া বিচলিত হইয়া পড়ি। জামায়াত-শিবির অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণ চালাইয়াছে বলিয়া আমার কাছে সংবাদ আসে। সমাবেশস্থলের ১৪ জন নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হইয়া উঠে।’
তিনি দাবি করেন, ‘২০১০ সালে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম নামে একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পর হইতে এ যাবৎ কোনো নারকীয় ঘটনা ঘটছে বলিয়া আমার জানা নাই।’ তবে না বুঝে হেফাজতের কিছু নেতাকর্মী ওইদিনের তাণ্ডবে জড়ান বলে দাবি করেন তিনি।
জবানবন্দিতে বাবুনগরী বলেন, ‘ওইদিন দিবাগত রাত্র আনুমানিক ২টা থেকে আড়াইটার দিকে অর্থাৎ গত ৬ মে রাত আনুমানিক ২টা থেকে আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হ্যান্ডমাইকে সমাবেশস্থলে অবস্থানকারী নেতাকর্মীদের সভাস্থল ত্যাগ করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে তাহারা ফাঁকা আওয়াজ করিলে সবাই শাপলা চত্বর হইতে পালাইয়া যায়। আমি পড়ে গেছিলাম। আমার ছাত্ররা আমাকে ধরে লালবাগ মসজিদে নিয়া আসছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো প্রাণহানী ঘটায় নাই বা কেহ আহত হইয়াছে বলিয়াও আমি শুনি নাই। হেফাজতে ইসলামের লোকজন ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিহত হইয়াছে এবং তাহার অস্ত্র লুট হইয়াছে মর্মে আমি সকালবেলা লালবাগ মাদ্রাসায় আসিয়া জানতে পারি।’
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আমাদের ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ কর্মসূচি ছিল। রাজধানী ঢাকার ৬টি প্রবেশপথে ভোর হইতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে আমাদের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু আমি লালবাগ মাদ্রাসায় অবস্থানকালীনই জানতে পারি যে, কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল জনতার সঙ্গে আমাদের কিছু ছেলে সকাল হইতে বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টন ও বিজয় নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা, লুটতরাজসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এই খবর শোনার পর আমরা হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফিকে অবহিত করি। তিনি আমাকে কারা ওইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানার জন্য বলেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উহা বন্ধ করার জন্য বলেন। আমি জানিতে পারি, আমাদের কিছু কর্মী ছাড়াও মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী এবং ছাত্রদল-যুবদলের কিছু প্যান্ট-শার্ট পরিহিত দাড়ি নাই এমন ছেলে এইরূপ সহিংসতা ও লুটতরাজ করিতেছে।
তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে খবর আসে যে ওই সকল উচ্ছৃঙ্খল লোকজন বইয়ের দোকানসহ কোরআন শরিফ পোড়াইতেছে। এমন সংবাদ শুনিয়া আমরা বিচলিত হইয়া যাই। তখন ১. মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, ২. মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, ৩. আবুল হাসনাত আমিনী, ৪. মোস্তফা আযাদ, ৫. মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, ৬. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, ৭. মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, ৮. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম, ৯. শেখ লোকমান হোসেন, ১০ মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী, ১১. শামসুল আলম, ১২. আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ১৩. আমানুল ক্বারী ফজলুল ক্বারী জিহাদী, ১৪. মুফতি হারুন এজাহারদের সাথে যোগাযোগ করি এবং ওইসব বন্ধ করার জন্য বলি। ওই সকল নেতারা সহিংসতা বন্ধ না করে চুপ থাকার কথা বলেন এবং এমন কথাও বলে যে ‘আমাদের আন্দোলন এখন আর শুধু ১৩ দফার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এখন এটা হবে সরকার পতনের আন্দোলন। এখন আমাদেরকে ১৮ দলের লোকজন সব ধরনের সহায়তা করবে। অর্থ দেবে, খাবার ও পানি দেবে। ১৮ দলের নেতাদের সাথে আমাদের কথা হইয়াছে’।”
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, “তাহারা (নাম উল্লেখ করা হেফাজতের ১৪ নেতা) আরও জানান, ‘আগামীকাল (৬ মে) আমরা শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে ১৮ দলীয় জোটের নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা সাহেব আমাদেরকে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করিবেন। আপনি কোনো চিন্তা করিবেন না। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাপলা চত্বরে অবস্থান করব ইনশাআল্লাহ’।”
প্রসঙ্গত, ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ শেষে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান নিতে থাকেন। এসময় তারা মতিঝিল ইত্তেফাক মোড় থেকে দৈনিক বাংলার মোড় ও ফকিরাপুল এলাকায় জঙ্গি কায়দায় বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ইট ও বোমা নিক্ষেপ করে যান চলাচলে বাধা ও বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন ভবন ও গাড়ি ভাঙচুর এবং গাড়ি ও ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুমতি থাকলেও তারা রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। এর আগে সন্ধ্যায় তাদের মাইকে চলে যেতে বলা হলেও বারবার তারা পুলিশের বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে। ওইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার সময় তাদের ওই স্থান থেকে উচ্ছেদের জন্য পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পুলিশ, র্যাব, বিজিবির ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসবি) মো. শাহজাহানের মাথায় ইট, লোহার রড, চাপাতি দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। এসআই শাহজাহানের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল ও গুলি নিয়ে চলে যায় হত্যাকারীরা। এসময় সাংবাদিক ও হেফাজতের সমর্থকদের অনেকেই আহত হন। পরদিন ৬ মে রাত ৮টার দিকে লালবাগ এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে দুই দফা রিমান্ডে ছিলেন। এর আগে পৃথক তিনটি মামলায় আদালত তার ৩১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ৫০ হাজার ডলারের ‘ইন্টেল ফাউন্ডেশন ইয়াং অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অষ্টাদশী স্কুল ছাত্রী ইশা খারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সারাটোগার অষ্টাদশী স্কুল ছাত্রী ইশা খারে ব্যাটারির মতো এমনই একটি ছোট ডিভাইস উদ্ভাবন করেছেন, যা মাত্র ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পূর্ণ চার্জ হতে পারে।
এই ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে ‘সুপারক্যাপাসিটর’, যা বিপুল পরিমাণ শক্তি একটি খুবই ছোট জায়গায় পুঞ্জিভূত করে রাখতে পারে, দ্রুত চার্জ হতে পারে এবং দীর্ঘ সময় সে চার্জ ধরে রাখতে পারে।
প্রচলিত রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলো যেখানে গড়ে ১ হাজার বার পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়, সেখানে ইশা খারের উদ্ভাবিত ডিভাইসটি ১০ হাজার বার পযর্ন্ত রিচার্জ করা যাবে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইন্টেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল মেলায় নিজের উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তি উপস্থাপন করে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার জিতে নেন ইশা।
অসাধারণ এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে জানতে চাইলে ইশা খারে বলেন, “আমার মোবাইল ফোনের চার্জ সবসময়ই শেষ হয়ে যায়। এই বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।”
প্রচলিত ব্যাটারির তুলনায় এটি অনেক নমনীয়- উল্লেখ করে ইশা খারে বলেন, নমনীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ভাজ করে রাখা ডিসপ্লে বা কাপড়ের সঙ্গেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আর এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এই ‘সুপারক্যাপাসিটর’ ব্যবহারের ক্ষেত্র ও সুযোগ অনেক বেশি বলেও দাবি করে তিনি।
উদ্ভাবিত ডিভাইসটি মোবাইল ফোন বা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চলে এমন যন্ত্রে ব্যবহারের স্বপ্ন দেখছেন ইশা খারে।
আর তার এই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে মোবাইল ফোনসহ এ জাতীয় যন্ত্রগুলো যেমন দ্রুততার সঙ্গে চার্জ করা যাবে, তেমনি একবার চার্জ করেই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তা ব্যবহারও করা যাবে।
নেপাল: পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের পর এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চূড়া থেকে নেমে আসার সময় তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহত বাংলাদেশির নাম মোহাম্মাদ হোসাইন (৩৫)। তার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এক যুবকও মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে।
নেপালের পর্যটন অফিসের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এই মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন। তবে কবে তারা মারা গেছেন সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কিছু জানা যায়নি।
নেপালের পর্যটন দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন, মোহাম্মদ হোসাইন এভারেস্ট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে সাফল্যের সঙ্গে আরোহন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এএফপির খবরে একথা বলা হয়েছে।
ঢাকা: ইন্টারনেটে আপলোড গতি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এই গতি আবারো ১০০ ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
রোববার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এ কথা জানান। সকাল থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “ইন্টারনেটে কোনো ভয়েস ট্রান্সফার হয় কি না, তা বোঝার জন্য আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েকে গত কয়েকদিন ইন্টারনেটে আপলোড স্পিড ৭৫ শতাংশ কমিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসি।”
উল্লেখ্য, বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পরিপেক্ষিতে চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো বিটিআরসি।
গণতন্ত্রের চর্চা এখন অনলাইনেই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। এমন ধারণার বিপরীতেও আছে অনেকের অবস্থান। সামাজিক সাইটে ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রকে হেয় করে আপত্তিকর কিছু লেখা হলেও যে কোনো দেশের সরকারই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। একে মুক্তমত চর্চার পথে বাধা হিসেবেই দেখছেন সমাজ বিশ্লেষকেরা।
আবার সরকারের পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের নাগরিক যে কোনো বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বিরোধে জরিয়ে পড়লে তা মোটেও সহজভাবে নেওয়ার বিষয় নয়। এখানে আইন এমনকি প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করবে দেশটির সরকার।
এ বিতর্কে ভারত নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। এখন থেকে চাইলেই ভারতে সামাজিক সাইটে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে যে কোনো নাগরিককে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা যাবে না। এ জন্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার আগাম অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ বিধি-নিষেধ জারি করেছে।
ফলে দেশজুড়ে সামাজিক মতবাক্য চর্চায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ইচ্চামতো মন্তব্য করে রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আপত্তিকর কিছু বলার নৈতিক স্বাধীনতা পাওয়া গেল। এমনটা ভাবলে ভুল হবে বলেও সতর্ক করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
রাষ্ট্রীয় বিচারক বি এস চৌহান এবং দিপক মিসরা বলেন, সামাজিক সাইটে আপত্তিকর মন্তব্য করলে সরকারের পক্ষে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অধীনে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ আছে। হুট করে কিংবা শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কোনোভাবেই এ গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য হবে না।
ভারতের আইসিটি আইনের ৬৬এ ধারা মোতাবেক গ্রেপ্তার করার প্রচলিত আইনে কিছুটা সংশোধন আনা হচ্ছে। সরকারের গঠিত উচ্চপর্যায়ের বিচারক দল এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে আইনি প্রণয়ন করার সুপারিশ করেছেন।
এ সময়ে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে সরকার কিংবা বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করে অনেক সামাজিক গ্রাহকই গ্রেপ্তার এবং নানামুখী হয়রানির কবলে পড়েছেন। এ বিষয়ে সরকার এবং নাগরিকদের মুক্তকথা চর্চার খোলামেলা লড়াই চলছেই।
ভারতে এ বিষয়ে প্রস্তাবিত নতুন আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো আপত্তিকর মন্তব্য করলে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে হলে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হবে। এ তালিকায় পুলিশের আইজিপি, ডিসিপি বা ন্যূনতম এসপির অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
এরপর আইসিটি আইন ৬৬এ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হলেও সুনির্দিষ্ট তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। এ জন্য অভিযুক্তের পক্ষে উকিল নিয়োগ করার সুপারিশও করা হয়।
এ ধরনের বিচার কাজে অভিযুক্তের সময়, সামাজিক পরিস্থিতি এবং কি ধরনের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করে সে এ আপত্তিকর মন্তব্য করেছে তাও প্রমাণস্বরূপ শনাক্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভারতে হায়দ্রাবাদের একজন প্রতিবাদী নারী সামাজিক সাইটে তামিল নাড়ু প্রশাসকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ।
এ নিয়ে ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি আদালত অবধি গড়ায়। পরে হায়দ্রাবাদের জেলা আদালত মুক্তি দেয় ২১ বছর বয়সী প্রতিবাদী এ তরুণ নারীকে।
আলোচিত এ ঘটনা ভারতজুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি করে। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে একটি সঠিক আইন তৈরির জন্য বিশেষ বেঞ্চকে দায়িত্ব দেয়। এরপরই সরকারের গঠিত এ বিশেষ বেঞ্চের প্রণীত আইন জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।
বিশ্বের সব দেশেই সামাজিক গণমাধ্যমে মন্তব্য করে অনৈতিক রোষানলে পড়ছেন অনেকেই। তাই ভারতের এ সিদ্ধান্তে অনলাইনে সামাজিক বোদ্ধারা বেশ আশ্বস্তই হয়েছেন।
তবে আপত্তিকর এবং সহিংসতা ছড়ায় এমন কোনো কাজে প্রত্যক্ষভাবে সমৃক্ত থাকলে তাদের অবশ্যই প্রচলিত আইনের আওতায় নিয়ে বিচারভুক্ত করা হবে।
ফলে ভারতে সরকার এবং সামাজিক যোগাযোগ লেখকদের মধ্যে আপাতত খুব বড় ধরনের বিরোধ তৈরির অবস্থা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ অন্য সব দেশের জন্যও অনুকরণযোগ্য হতে পারে। এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা।
সব সময়ই ফিট থাকেন মডেল ও বলিউডের অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। এর আগে আলোচনায় এসেছিলেন রণবীর কাপুরের কারণে। সম্প্রতি শরীর ঠিক রাখার রহস্য জানিয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এ অভিনেত্রী।
নার্গিস জানিয়েছেন, শরীরের আকর্ষণীয় অবয়ব ধরে রাখার জন্য কোনো ছাড় দিতেই তিনি রাজি নন। প্রয়োজনে যোগব্যায়াম করতে কিংবা ভোর চারটায় উঠে সাঁতার কাটতেও পিছপা নন তিনি।
সম্প্রতি নার্গিসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, তিনি কীভাবে এমন হালকা-পাতলা ও আকর্ষণীয় শরীরের গড়ন ধরে রাখেন। জবাবে নার্গিস বলেছেন, না খেয়ে থেকে শরীরকে ছিপছিপে রাখার পক্ষপাতী তিনি নন। তিনি যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘মিড-ডে’।
নার্গিস আরও জানিয়েছেন, শরীরের সুন্দর অবয়ব ঠিক রাখতে তিনি নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করেন। এ ক্ষেত্রে অনেক কষ্টকর কাজও তিনি খুশি মনেই করেন। প্রয়োজনে ভোর চারটায় উঠে যোগব্যায়াম করেন। এমনকি ভোরের কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করেও সাঁতার কাটেন তিনি।
ঢাকা: দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম। এ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে ভরিতে ১২০০ টাকারও বেশি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক বৈঠকে শনিবার স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। রোববার থেকে নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে।
বাজুস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ২২ ক্যারেট প্রতিভরি স্বর্ণে দাম কমানো হয়েছে এক হাজার ২২৫ টাকা। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ৫২ হাজার ৩১৩ থেকে কমিয়ে ৫১ হাজার ৮৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেট স্বর্ণে আগের মূল্য ছিল ৪৯ হাজার ৯৮০ টাকা। সেখান থেকে এক হাজার ২২৫ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৫৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণে এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৪২ হাজার ৮৬৫ টাকার পরিবর্তে ৪১ হাজার ৮১৫ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরিতে ৮২১ টাকা কমিয়ে ৩০ হাজার ৩২৬ টাকার বদলে ২৯ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমায় দেশের বাজারে কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। মূল্যবান ধাতুর আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘কিটকো ডটকম’ সূত্রে জানা গেছে, গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিআউন্স স্বর্ণের (১ আউন্স=২ ভরি সাড়ে ১০ আনা) দাম কমেছে ৭৩ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার। দিন শেষে গতকাল প্রতিআউন্স স্বর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩৬০.২০ মার্কিন ডলারে। দু’সপ্তাহ আগে যা ছিল এক হাজার ৪৬২.৬০ ডলার।
স্বর্ণের দাম পুনঃনির্ধারণের কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের কিছুটা দরপতন ঘটেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা দেশের বাজারেও দাম কমিয়েছি।
ঢাকা: প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ষড়যন্ত্রে পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার প্রভাবশালী সম্প্রচার সংস্থা সিবিসি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। গত বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।
পদ্মা সেতু ও কানাডীয় প্রকৌশল সংস্থা এসএনসি-লাভালিনের ওপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়। সিবিসির ‘দ্য ন্যাশনাল’ অনুষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি হলে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকা-সহ আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং যোগাযোগব্যবস্থা সুগম হবে।”
দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বারবার কানাডা ও বিশ্বব্যাংককে এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ সরবরাহের জন্য বলেছি, কিন্তু তারা কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি।”
প্রতিবেদক বলেন, কিন্তু তারা তো দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের নামের তালিকা আপনাদের কাছে দিয়েছে। কখন ঘুষ চাওয়া হয়েছিল, এর দিন-তারিখও উল্লেখ করেছে। তাহলে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তারপর কমিশন তদন্ত শুরু করে।”
প্রতিবেদনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আওয়ামী লীগের অঘোষিত ট্রেজারার ও ক্যাশিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়। সিবিসির প্রতিবেদক বলেন, অভিযোগ রয়েছে, সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগ ও আপনার পক্ষে তহবিল সংগ্রহ করেন। এ অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ক্যাশিয়ার’ শব্দে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “না কখনোই না, তিনি (আবুল হোসেন) ক্যাশিয়ার নন। আমাদের দলের জন্য তহবিল সংগ্রহের তিনি কেউ নন। কেউ যদি এসব কথা বলেন, তাহলে তারা পুরোপুরি ভুল বলেন।”
সিবিসির অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে। সরকার কোনোভাবে দুদকের কাজে হস্তক্ষেপ করে না।
আপনি কী করে বলেন কোনো দুর্নীতি হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বব্যাংকই বলেছে, কোনো দুর্নীতি হয়নি কিন্তু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছিল।”
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনার আত্মীয় নিক্সন চৌধুরীর জড়িত থাকার অভিযোগেরও উল্লেখ করেন সিবিসির প্রতিবেদক। টেলিভিশনটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বলা হয়, এর আগে দুদকের এক মামলায় আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আপনি আপনার বোন শেখ রেহানার সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এখন অভিযোগ পাওয়া গেছে, এসএনসি-লাভালিনের কাছে আপনার দল, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের জন্য ঘুষ দিতে বলা হয়েছিল। এসব অভিযোগ কি সত্য নয়?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “না। ডাহা মিথ্যা, থাকলে তারা প্রমাণ করতে পারত। গত তিন বছরে কি প্রমাণ করতে পেরেছে? না।”
গুগলের মেইল সেবা ‘জিমেইল’ ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো বয়সী জিমেইল ব্যবহারকারীরা অ্যাটাচমেন্ট আকারে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। ১৫ মে গুগলের বার্ষিক সম্মেলনে গুগল ওয়ালেট সেবাটিকে জিমেইলের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
গুগল জানিয়েছে, জিমেইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীদের ব্যাপক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবে গুগল। গুগলের এটি ভালো একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
জিমেইল ব্যবহারকারীরা তাঁদের মেইলের অ্যাটাচমেন্ট অংশে একটি ডলারের চিহ্ন দেখতে পাবেন এবং অন্যকে মেইলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে পারবেন। এ সেবাটি যুক্তরাষ্ট্রে চালুর ঘোষণা দিলেও অন্যান্য দেশে এটি চালু করার প্রসঙ্গে গুগল এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
মেইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের গুগলের এ পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য গুগলের এ সেবাটি সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।