November 6, 2025
গ্রাফিনি নামের বিশেষ এক ধরনের উপাদান থেকে পেইন্ট বা রং তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করছেন সিঙ্গাপুরের গবেষকেরা। দেয়ালে এ রং ব্যবহার করা হলে তা থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
গ্রাফিনি পেইন্ট সূর্যশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনে দেয়ালে লাগানোর পর রঙে পরিবর্তন আনাও সম্ভব হবে। গবেষকেদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
গ্রাফিনি নিয়ে গবেষণা করে ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০০৪ সালে এক অণু পুরুত্বের এই কার্বন গ্রাফিনি আবিষ্কার করেছিলেন গবেষকেরা।
সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, নমনীয় ও পাতলা গ্রাফিনিকে কোটিং হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব এবং তা দেয়ালে রং হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে দেয়ালে গ্রাফিনির রং থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সিঙ্গাপুরের গবেষকেদের গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে।
গবেষকেরা গ্রাফিনি থেকে তৈরি কোটিং মুঠোফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যেও ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করছেন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের গবেষণা সফল হলে ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো সূর্যশক্তি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
কংক্রিটের বিকল্প হতে পারে সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি তুষ। তুরস্কের গবেষকেরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, সূর্যমুখীর তুষ ব্যবহার করে টেকসই কংক্রিট তৈরি করা সম্ভব আর এ কংক্রিটে সহজে ফাটল ধরে না।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকেরা সূর্যমুখীর তুষ থেকে কংক্রিট তৈরির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তুরস্কের নামিক কেমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, সূর্যমুখীর তুষ সাধারণত বর্জ্য হিসেবে দেখা হয়। তবে কংক্রিট তৈরিতে সূর্যমুখীর তুষ ব্যবহারে দ্রবণ জমাট বাঁধে এবং হালকা কংক্রিট হিসেবে কাজ করে।
গবেষকেরা আরও জানান, বাড়ি তৈরির এ উপাদান দিয়ে একতলা ও মালপত্র রাখার ঘর তৈরি করা যেতে পারে। এ ছাড়া সূর্যমুখীর তুষ থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করাও সম্ভব।
ঢাকা: ঢাকার লালবাগ এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে হেফাজতে ইসলামের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন দলের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
আল্লামা শাহ শফীকে গ্রেপ্তার করার জন্য কার্যালয় ঘিরে রাখা হয়েছে বলে সংগঠনটির নেতারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।রবিবার মধ্যরাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অভিযানের সময়ই লালবাগ মাদ্রাসার আশপাশে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সময় গড়ানোর সঙ্গে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়।
আল্লামা শফীকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র খেলাফতের সভাপতি আনসারুল হক ইমরান।তিনি রাত সোয়া ৩টার দিকে জানান, ‘লালবাগের কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।’যেকোনো সময় হয়তো হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে গ্রেপ্তার হতে পারে বলে আনসারুল হক আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরো জানান, লালবাগে বর্তমানে দু-একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে অশীতিপর আল্লামা শফী অবস্থান করছেন। বাকিরা আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নিরাপদ স্থানে আছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাতে যৌথবাহিনী মতিঝিল শাপলা চত্বরের সমাবেশস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় হেফাজতকর্মীরা। তবে ঘটনাস্থলে অসংখ্য মানুষকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় সংবাদ পরিবেশন করেছে আর্ন্তজাতিক মিডিয়া। রবিবার এ সংক্রান্ত সংবাদ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করে প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি, সিএনএন ও আল-জাজিরা ।
‘রায়ট পুলিশ ব্যাটল ইসলামিস্টস ইন ঢাকা বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ও ইসলামী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে।
সংবাদে বলা হয়, হাজার হাজার হেফাজত কর্মী মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকাকে সারাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা ইসলাম অবমাননাকারীদের মৃত্যুর দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয়।
‘ ডেডলি ক্ল্যাশেস ওভার ব্লাসফেমি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সিএনএন এর প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ধর্মঅবমাননাকারীদের মৃত্যুর শাস্তি দাবিতে হাজার হাজার ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী ঢাকাকে অবরোধ করে রাখে।
বিক্ষোভকারীরা হয়রত মোহাম্মদ (সা:) এর অবমাননাকারী ব্লগার ও লেখকদের কঠিন আইন করার দাবিতে রবিবার এ বিক্ষোভের ডাক দেয়।
‘প্রটেস্টর ডিমান্ড ব্লাসফেমি ল’ শিরোনামে আল-জাজিরা সংবাদে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা মহাসড়কের ৬টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ঢাকাকে অন্য শহর থেকে আলাদা করে দেয়।
সংবাদে বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদের নিকটে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রুপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয় ।
ঢাকা: দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের উন্মাদনায় দেশের মানুষ অসহায় বোধ করছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে নৌকা সমর্থিত গোষ্ঠি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজত কর্মীদের সরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেন বলেন, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। তাই সরকার গণতান্ত্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিডিয়াকে নিয়ম মেনেই কাজ করতে হয়। কিছু কিছু মিডিয়া রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করেছে বলেই নিয়ম মেনে তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, নৌকা সমর্থিত গোষ্ঠির সভাপতি হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞার পর আওয়ামী লীগের সব ধরনের সভা-সমাবেশ স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে তিনি এ কথা জানান।
হানিফ বলেন, ‘আমরা ডিএমপির নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের কর্মসূচিগুলো স্থগিত রাখবো। পরবর্তী নির্দেশ পাওয়ার পর আবার আমাদের কর্মসূচি যথারীতি চলবে।’
তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি বন্ধের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অন্যকোনো নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
এদিকে, রোববারের সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার রাত ১০টায় ধানম-ির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম।
উল্লেখ্য, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি এক বার্তার মাধ্যমে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা: রাজধানীতে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার সকালে ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে বিজিবি ও পুলিশের তিন সদস্যসহ ৭ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- বিজিবির সুবেদার শাহজাহান ও পুলিশের নায়েক ফিরোজ। পরিচয় পাওয়া বাকি দুজন হলেন পথচারী সাইফুল ও বাবু। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সোমবার ভোরে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ঢাকার শাপলা চত্বর থেকে ভোররাতে বিতাড়িত হয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা কাঁচপুর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। সর্বশেষ বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিরাইল মোড়ে পুলিশ-বিজিবি এবং কুয়েত প্লাজার পাশে হেফাজত অবস্থান নিযেছে।
এর আগে হেফাজত কর্মীরা কাঁচপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে আগুন দেয়।
জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও হেফাজতের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি এসে যোগ দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানি মাদরাসায় হামলা করে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাইকে প্রতিরোধের ঘোষণা দিলে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ফুটপাতের প্রায় ২৫টি দোকানের চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয় মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ প্রায় দুই থেকে শত শত রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও প্রায় শতাধিক আহত হয়।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের সিদ্ধিরগঞ্জ মা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আহতরা ওই হাসপাতালসহ অন্যান্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম হতাহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। শহরে ও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা: রাজধানীর মনিপুর স্কুলের শ্যাওরাপাড়া শাখার পুরোনো ভবনের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুলের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের বুঝিয়ে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে।
এদিকে ফাটল দেখা দেওয়ার পর থেকে ওই ভবনে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের এনে পরীক্ষা করানোর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ ভবনে ক্লাশ নেওয়া হবে কি-না।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ফাটলের খবরে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
ঢাকা : শাপলা চত্বরে শনিবার ১৮ দলীয় জোটের মহাসমাবেশ। ইতিমেধ্য সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ। সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে মতিঝিলের শাপলা চত্বর। ৯টার মধ্যেই সমাবেশস্থলে প্রচুর লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্মাণ শুরু হওয়া মঞ্চের কাজ শনিবার সকালেই শেষ হয়েছে। বিকেলে শাপলা চত্বরে ১৮ দলের এই সমাবেশ মঞ্চে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে, শনিবার ভোর থেকেই ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এখনও তাদের খণ্ড খণ্ড মিছিল আসছেই।
সমাবেশস্থল শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলা মোড়, অন্যদিকে শাপলা চত্বর হয়ে নটর ডেম কলেজের সামনের সড়কে জামায়াত-শিবিরের এসব নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। নেতাকর্মীরা বিরামহীনভাবে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
মতিঝিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ
সমাবেশকে কেন্দ্র করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের আশপাশের সড়কে আজ ভোর থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শাপলা চত্বর হয়ে টিকাটুলি, শাপলা চত্বর-দৈনিক বাংলা, শাপলা চত্বর-নটর ডেম কলেজ সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ।
জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসব এলাকায় অবস্থান নেওয়ায় বিকেলের সমাবেশের আগেই গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।