পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

জঙ্গিবাদ রুখতে অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে

Posted on August 19, 2017 | in নির্বাচন কমিশন | by

মে. জে. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) : যে কোনো ধরনের জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকা- রুখতে হলে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত জঙ্গিদের অর্থায়নের উৎস পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে হবে। বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে কিছু লোককে এ পথে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংস্থা এসব অর্থ জোগান দিচ্ছে। এই কারণেই জঙ্গিরা আত্মগোপন করছে, বাড়ি ভাড়া করছে, অস্ত্র সরবরাহ করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই অর্থ আসে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে। এ ধরনের অর্থের উৎস পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে হবে। এই অর্থের চ্যানেলটা বন্ধ করতে পারলে বহুলাংশে জঙ্গিবাদের তৎপরতা কমে যাবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।

সম্প্রতি সারাদেশে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের কাছে সব ধরনের তথ্য রয়েছে। তবে এই কথাটি কখনোই এভাবে বলা সঠিক হবে না যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব ভাল অবস্থান গ্রহণ করেছি। নিরাপত্তার বিষয়ে এভাবে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না। সুতরাং আমাদের বলতে হবে যে, তারা যে অবস্থানটা নিয়েছে এটাতে মোটামুটি একটা সন্তোষজনক চেষ্টা। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রচেষ্টায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি একটা সন্তোষজনক অবস্থানে পৌঁছেছে বলে আমার ধারণা। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট কিনা সেটা বলা যাবে না। কারণ, যারা এই নিরাপত্তার বিপরীতে অবস্থান করে, যারা নাশকতা সৃষ্টিকারী তাদের নতুন নতুন কৌশল থাকে। সেই তথ্যও পুলিশের কাছে থাকে। এই দিক বিবেচনা করলে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানটা যথেষ্ট, এটা বলা যাবে না। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এ সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায়, কোনো ধরনের ভীত হওয়ার বা বড় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা- সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে হচ্ছে না। সার্বিক দিক বিবেচনায়Ñ বর্তমানে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা ভাল আছে।
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। যে সচেতনতা এখন আছে, তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন কালচারাল প্রোগ্রাম, মিডিয়ার মাধমে দেশের মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। সামাজিক সংগঠন, কালচারাল প্রোগ্রাম, মিডিয়া সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিগত জঙ্গি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে তৎপরতা ছিল, তা আরও জোরদার করতে হবে। এই বিষয়গুলোর উপর পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে, জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে। জঙ্গিদের সমূলে উৎখাত করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতির ভেতরে জঙ্গিবাদের শিকড় আছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে, আঞ্চলিকভাবে যে ভূ-রাজনীতি। পাকিস্তান জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে। নানা রকম কর্মকা- তারা ঘটিয়ে থাকে। তার একটা প্রভাব সারা পৃথিবীতেই পড়ছে। এই সমস্ত কারণে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়।

পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud