May 3, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : ভিসা ও অন্যান্য কারণে হজ ফ্লাইট জটিলতা দু-একদিনের মধ্যে সমাধান না হলে আরও সমস্যা দাঁড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আর সমস্যা সমাধানে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলছেন, আশা করছি সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হব। আজ বুধবার সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিমানমন্ত্রী।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এ পর্যন্ত ১২টি এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৫৩৮০ জন এবং সৌদি অ্যারাবিয়ানের লস হয়েছে ১২০০ জন।
তিনি বলেন, বিমানের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার সময় লস হতে পারে তা মাথায় রেখে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজ-কালের মধ্যে বিষয়গুলো সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা দাঁড়িয়ে যাবে।
সমস্যা এড়াতে সম্ভাব্য ব্যবস্থা তিনটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, হাজিদের ভিসা না করলে ভিসা করা এবং তা করা হয়ে গেলে ফ্লাইট নেওয়ার জন্য বলা হবে। ফ্লাইট না নিলে যাওয়া নিয়ে অসুবিধা হতে পারে। সবার কাছে টেক্সট মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশনের অনুমোদনসাপেক্ষে বিমানের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের জন্য স্লট বৃদ্ধির আবেদন করা হবে। তাদের পক্ষে সম্ভব না হলে সরকারের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি, শিডিউল ফ্লাইট যেগুলো যাচ্ছে সেই ফ্লাইটে অন্য যাত্রী বাদ দিয়ে হজযাত্রী বহন করা। এ ছাড়া আর কোনো পথ আমার জন্য খোলা নেই। এটা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সও করছে বিমানও করছে। তারা শিডিউল ফ্লাইট অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে।