May 4, 2024
স্পাের্টস ডেস্ক: যাঁর দিকে পুরো দেশ তাকিয়েছিল তিনিই ২৫ মিনিটের সময় মাঠের বাইরে। চোট আক্রান্ত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে হারিয়ে পুরো পর্তুগাল তখন শোকে বিহ্বল। তখন কে জানত, দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ছাড়াই সবাইকে এভাবে চমকে দেবে পর্তুগাল! ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পর্তুগিজরা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোল করে রোনালদোর দলের জয়ের নায়ক বদলি হিসেবে নামা এদার। ইউরোতে এটাই পর্তুগালের প্রথম শিরোপা।
স্থানীয় সময় রোরবারের সন্ধ্যার ম্যাচে প্যারিসের স্তেদ ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জয় পায় পর্তুগাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা গোল শূণ্যভাবে শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ের ১০৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ইদারের প্লেসিং শট ফ্রান্সের জালে আশ্রয় নেয়।
২৪ মিনিটে দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর পর্তুগালের জয় দেখার আশায় সম্ভবত খুব কম দর্শকই ছিল। সিআরসেভেন মাঠ ছাড়ার আগেও অবশ্য আশা জাগানিয়া খেলা দেখাতে পারেনি তারা। ফ্রান্সের আক্রমণ থামাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল পর্তুগিজ ফুটবলাররা। তবে রোনালদোর চোখের পানিই হয়তো তার সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় সমানতালে লড়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশটি।
অন্যদিকে পুরো ম্যাচে দাপটের সাথে খেলেও গোলের দেখা পায়নি জিদান, অঁরির উত্তরসুরীরা। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বলের দখল ছিল তাদের হাতে। মাঝ মাঠ, আক্রমণ ভাগ সর্বত্রই আধিপত্য ছিল ফরাসিদের। গোলমুখে আক্রমণ বেশি ছিল তাদের। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেননি ফরাসি স্ট্রাইকাররা।
অবশ্য এদিন ভাগ্যও সহায় হয়নি স্বাগতিকদের জন্য। বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয়েছে তারা। ৬৩ মিনিটে গ্রিজম্যানের হেড ক্রসবারে লেগে গোল বঞ্চিত হয়েছে ফ্রান্স। ৯২ মিনিটে জিজনাকের শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। অবশ্য ভাগ্য পর্তুগালকেও ফিরিয়ে দিয়েছে একাধিকবার।
ফাইনালে পর্তুগালের সবচেয়ে বড় ভরসা রোনালদো ম্যাচের ১৫ মিনিটের সময় চোট পেলে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মাঠে নামলেও ২৪ মিনিটের সময় একই জায়গায় চোট পান আবার। এবার স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদোর অশ্রু যতটা না ব্যথার তার চেয়েও বেশি দলের প্রয়োজনের কথা ভেবেই হয়তো। গ্যালারির দর্শকদেরও ছুয়ে যায় তার আবেগ। তবে শেষ পর্যন্ত সিআরসেভেনের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তার সতীর্থরা।
পর্তুগালের এটি প্রথম কোন বড় আসরের শিরোপা। এর আগে একবারই এ আসরের ফাইনাল খেলেছে তারা। ২০০৪ সালে নিজেদের মাঠে ফাইনালে হেরেছে গ্রিসের কাছে। আর ফ্রান্সের ছিল এটি তৃতীয় ইউরো জয়ের মিশন। পুরো আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলা ফ্রান্স শেষটা নিজেদের মত করতে পারেনি।