December 23, 2025
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে সোমবার সকালে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মালিক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক সালমা ইসলাম, তাদের ছেলে শামীম ইসলাম ও পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলমসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভুইয়া বাদীর মামলা গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন। আগামী ৩১ মার্চ সমন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাদের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মাধ্যমে কুৎসামূলক মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করে আসছে। ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সাল হতে বেসরকারি আবাসন খাতে সততা, আন্তরিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে ব্যবসা করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে। ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলো বসুন্ধরা হাউজিং হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত।
এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ সততা ও নিষ্ঠার সাথে আবাসন, কাগজ, সিমেন্ট, লৌহ, খাদ্য, প্রিন্টিং ও শিপিংসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ও প্রায় দুই লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যুগান্তর পত্রিকার মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, সম্পাদক সালমা ইসলামসহ মোট পাঁচ জনকে আসামি করে মানহানির মামলা করে বসুন্ধরা গ্রুপ।
গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলায়েত হোসেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তসরুজ্জামানের আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর নুরুল ইসলাম বাবুল, সালমা ইসলাম ও তাদের ছেলে মো. শামীম ইসলামের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার চার নম্বর কলামে ‘বসুন্ধরা হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি: মন্ত্রী, সচিবের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ: দ্রুত তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা’। এই শিরোনামে একটি
ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।
একইভাবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর একই পত্রিকায় একই বিষয়ে ওইরূপ বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ‘ড্যাপ, উপকমিটির জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় ও বিস্ময়’ শিরোনামে আরো একটি মানহানিকর ও মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করা হয়।