পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

নানু চলে যাচ্ছি দোয়া করবেনঃ

Posted on February 16, 2014 | in জাতীয় | by

1794699_680808948649720_995824517_nবেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : ১,২,৩ঃ এভাবে ৭ পর্যন্ত গোনা হয়ে গেল খুব সহজেই! বেনাপোল বলফিল্ডে সারিবদ্ধভাবে রাখা কফিনে মোড়ানো শিশুদের মৃতদেহ দেখে চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে আগত সবারই। কচি ও নিষ্পাপ মুখগুলো চোখের সামনে হয়তো কিছুদিন ভাসবে জানাজায় আসা শোকাহত মানুষের। কিন্তু ওই শিশুদের বাবা-মায়ের সন্তানহারা ক্ষতস্থান কী পূরণ হবে সারা জীবনে। এর উত্তর উত্তরের হিমেল হাওয়ার মতোই শীতল। রোববার সরেজমিন নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, যেন শুধু মানুষ নয়; প্রকৃতি কাঁদছে এই নিষ্পাপ শিশুগুলোর অকাল প্রয়াণে। কে কাকে সমবেদনা জানাবে; কারো মুখে কোনো ভাষা নেই। বজ্রাঘাতে যেন সব মূক বধির হয়ে গেছে।
নিহতদের মধ্যে সুরাইয়া ও জেবা খাতুন দুই বোন। ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া ও ৩য় শ্রেণির ছাত্রী জেবা নানা বাড়িতে মামাদের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। মা-হারা এ দুটি সন্তান একসঙ্গেই চলে গেলো মায়ের কাছে। স্ত্রীর পর দুই সন্তান হারিয়ে নির্বাক তাদের বাবা সৈয়দ আলী। আড়াই বছর আগে স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

নিহত সুরাইয়া ও জেবার মামা আব্দুল হক বলেন, ‘তার বোন মনোয়ারা খাতুন আড়াই বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে সুরাইয়া ও জেবা আমাদের বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করতো। তারা মেধাবী ছিল। নিজের মেয়ের মতো করেই তাদের দুজনকে মানুষ করছিলাম। কিন্তু আল্লাহ তাদের কেড়ে নিলেন।’

নিহত দুই সহোদরের নানী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘পিকনিকে যাওয়ার সময় আমাকে সালাম দিয়ে বলে গেছে, নানু চলে যাচ্ছি, দোয়া করবেন। কিন্তু এই চলে যাওয়াই যে শেষ চলে যাওয়া হবে তা মানতে পারছি না।’
পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মিথিলার (১০) বাবা ছোট আচড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলী জানান, ‘তাদের তিন ভাইয়ের দুই মেয়ে। সবার চোখের মণি ছিল মিথিলা। তাকে সবাই চোখে চোখে রাখতো। সেই চোখের মনি সবাইকে অন্ধ করে দিয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে।’

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud