November 6, 2025
ঢাকা: সরকারের যথাযথ প্রস্তুতির কারণে সাম্প্রতিক ঘুর্ণিঝড়ে প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় মোহাসেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী একথা বলেন। তিনি বলেন ঘুর্ণিঝড়ের আভাষ পাওয়ামাত্র সরকার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জনগণকে যথাযথভাবে তথ্য প্রদান ও জনগণ তাতে সাড়া দেয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
তিনি একাজে সহায়তার জন সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হল দুর্যোগে ত্রাণ নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে যথাযথ দুর্যোগ প্রস্তুতির মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা। বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় এক হাজার নতুন ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সংখ্যা বর্তমানের ৩৭৭০ থেকে ভবিষ্যতে ৫২০০টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জনগণকে ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে ঘুণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান।
চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
মন্ত্রী পরে একই উপজেলার কোড়ালিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকেলে মন্ত্রী বরগুনা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বড়ইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এসময় বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সরকার ঘুর্ণিঝড় মোহসেন এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের জন্য ব্যাপক পুনর্বাসনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী জুন মাস থেকে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতিটি দু:স্থ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে।আগামী রমজান মাস পর্যন্ত এ সহায়তা প্রদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ দু:স্থ জনসাধারণের তালিকা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ঘুর্ণিদুর্গত এলাকাসমুহে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য শীঘ্রই ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হবে।