পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

ক্রেতা ঠকাচ্ছে স্মার্টফোন নির্মাতারা?

Posted on May 19, 2013 | in তথ্যপ্রযুক্তি | by

smart phoneবিজ্ঞাপন মানেই কী বাড়িয়ে বলা! নতুন একটি স্মার্টফোন কিনেছেন আর এ স্মার্টফোনটিতে তথ্য সংরক্ষণের জন্য ১৬ গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষণের সুবিধার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তথ্য সংরক্ষণের জন্য আপনি কতটুকু জায়গা পাচ্ছেন? প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান হুইচ? সম্প্রতি মুঠোফোন ক্রেতাদের সতর্ক করে জানিয়েছে, মুঠোফোনে তথ্য সংরক্ষণের জন্য যত বিজ্ঞাপনে যতটা দেখানো হয় বাস্তবে ততখানি জায়গা ক্রেতারা পান না। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।

হুইচ?-এর প্রযুক্তি গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন, যেসব মুঠোফোনে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য সংরক্ষণের সুবিধার কথা বলা হয়, সে মুঠোফোনগুলোতে ক্রেতা তার তথ্য সংরক্ষণের কাজে ৯ গিগাবাইটের চেয়েও কম জায়গা পান। এ তালিকায় রয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ফোর, সনির এক্সপেরিয়া জেড, ব্ল্যাকবেরি জেড ১০, গুগল নেক্সাস ৪, এইচটিসি উইন্ডোজ ৮এক্স, আইফোন। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরে ব্যবহারকারী পান ৯ গিগাবাইট, এক্সপেরিয়া জেডে পান ১০ গিগাবাইট, ব্ল্যাকবেরিতে ১১ গিগাবাইট, নেক্সাসে ১৩ গিগাবাইট, এইচটিসিতে ১৫ গিগাবাইট জায়গা। আইফোন ব্যবহারকারী পান ১৩.৫ গিগাবাইট জায়গা।
হুইচ?-এর প্রযুক্তি বিশ্লেষক রয় বোনাল্ড জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি মুঠোফোনে একটি অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যার জন্য মেমোরিতে নির্দিষ্ট জায়গা লাগে। বিল্ট ইন অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশনে তা ভর্তি থাকায় নির্দিষ্ট মেমোরির সামান্য অংশই ফাঁকা পান ক্রেতারা । মুঠোফোন নির্মাতা বিজ্ঞাপনে যা দেখায় আদতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সে সুবিধা পাচ্ছেন না।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা আরও জানিয়েছেন, মুঠোফোন নির্মাতারা ক্রেতাদের সচেতন করতে সঠিক তথ্য আগেভাগে জানান না। কেবল কোনো পণ্য কেনার পরই ক্রেতা তা বুঝতে পারেন। তাই মুঠোফোন নির্মাতাদের এ বিষয়ে সৎ হতে হবে।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud