পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

জানালা খুলুন: বিএনপি, দরজাও খোলা: আ’লীগ

Posted on May 18, 2013 | in জাতীয় | by

bnp

ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রামে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান অন্ত:ত সংলাপের জানালা হলেও খোলা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। জবাবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন  সংলাপের জন্য শুধু জানালা নয়, দরজাও খোলা আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু জানালা নয়, সংলাপের জন্য দরজাও খোলা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে অপরাজনীতি পরিহার করে সংলাপের আহবান জানিয়েছিলেন। তার প্রতিউত্তরে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘আলটিমেটাম’ দিয়েছে। তবে সংলাপের পথ থেকে আমরা পিছিয়ে যাইনি।’

এম মোরশেদ খান বলেন, ‘গত সপ্তাহে সংলাপের বিষয়ে যে গতি ছিল, তা এখন অনেকটাই ঝিমিয়ে গেছে। দেশের ৯৯শতাংশ মানুষের আশা ছিল, দু’দলের এ সংলাপের মাধ্যমে হানাহানি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতির ইতি টানবে। তাই সংলাপের প্রয়োজনে দরজা খোলা রাখা সম্ভব না হলেও অন্তত জানালা খোলা রাখা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে দু’মিনিটের মধ্যে হানাহানির রাজনীতি শেষ করে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংলাপের ২৭তম পর্বে আলোচক হিসেবে আরও অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ন ম মুনির আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সভাপতি নূরজাহান খান।

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের এ পর্ব সঞ্চালনা করেন আকবর হোসেন ও প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ।

সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ন ম মুনির আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধি আসার পর দু’দলই সংলাপের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল। এতে জাতি খুশি হয়েছিল। কিন্তু গত ৫মে ঢাকা থেকে হেফাজতে ইসলামকে বের করে দেয়ার পর সরকার সংলাপের ব্যাপারে তার আগের অবস্থান থেকে পিছিয়ে গেছে।’

আরেক আলোচক নারী নেত্রী নূরজাহান খান বলেন, ‘সংলাপের ব্যাপারে উভয় দলকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য দু’দলকে ছাড় দিতে হবে। তবে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে কোনো ধরণের সংলাপ নয়। কেননা হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি দিয়ে দেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে চায় এবং জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত।’

সংলাপের বিষয়ে সরকারের পিছিয়ে যাওয়ার অবস্থান যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দর্শকরা।

তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান অভিযোগ করেন, সংসদে গেলে তাদের কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়না।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেত্রী সংসদে অনুপস্থিত থাকার রেকর্ড করেছেন।’

শুধমাত্র সদস্যপদ রক্ষা ও বেতন-ভাতার জন্য সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়টি অনৈতিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

অপর দু’আলোচকের মধ্যে নূরজাহান খান বিষয়টি অনৈতিক বললেও সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই বলে জানান আ ন ম মুনির আহমেদ।

দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আদৌ নিরাপদ কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাঈদীর রায় ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলাম সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করে। রামু, নোয়াখালী, বাঁশখালী, পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে তা দেশের মানুষ ভালভাবে জানে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিরোধী দলের দায়িত্ব রয়েছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’ তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে দর্শকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করেন তানজিম উল কামাল, ফাতেমা জান্নাত ও স্বপন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। বিবিসি

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud