পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড

Posted on May 9, 2013 | in জাতীয় | by

kamaruzzaman-00120130509045826

ঢাকা: একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষণা করেছে আšত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত আšত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি চতুর্থ রায়।
রায়ে ১ ও ৭ নং অভিযোগে যাবজ্জীবন, ২ নং অভিযোগে ১০ বছর এবং ৩ ও ৪ নং অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর ৫ ও ৬ নং রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় তাকে খালাসের আদেশ দেন।

গত ১৬ এপ্রিল মামলার কার্যক্রম শেষে যেকোনো দিন রায় দেয়া হবে মর্মে রাখার পর গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনাল আজ রায়ের দিন ধার্য করেন।

কামারুজ্জামানের পক্ষে গত ৬ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত মোট ৫ জন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- মো. আরশেদ আলী, আশকর আলী, কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল, বড় ভাই কফিল উদ্দিন এবং আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি।

২০১২ সালের ১৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

তারা হলেন- আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হামিদুল হক, শেরপুরের মনোয়ার হোসেন খান মোহন, জহুরুল হক মুন্সী, ফকির আব্দুল মান্নান, মোশাররফ হোসেন তালুকদার, ডা. মো. হাসানুজ্জামান, লিয়াকত আলী, জিয়াউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, জালাল উদ্দিন, শেরপুর জেলার ‘বিধবাপল্লী’ খ্যাত সোহাগপুর গ্রামের তিন নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল), মুজিবুর রহমান খান পান্নু এবং দবির হোসেন ভূঁইয়া। আর জব্দ তালিকার প্রথম সাক্ষী হলেন বাংলা একাডেমীর সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমেনা খাতুন।

গত বছরের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগগুলো হলো-
(১) ১৯৭১ সালের ২৯ জুন সকালে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আল-বদররা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার রামনগর গ্রামের আহম্মেদ মেম্বারের বাড়ি থেকে বদিউজ্জামানকে অপহরণ করে নির্যাতন করে পরদিন হত্যা করে।
(২) কামারুজ্জামান ও তার সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করে।
(৩) একাত্তরের ২৫ জুলাই আল-বদর ও রাজাকাররা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং নারীদের ধর্ষণ করে।
(৪) একাত্তরের ২৩ আগস্ট কামারুজ্জামানের নির্দেশে আল-বদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফাকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে স্থাপিত আল-বদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে কামারুজামান ও আল-বদররা তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
(৫) মুক্তিযুদ্ধকালে রমজান মাসের মাঝামাঝি কামারুজ্জামান ও তার সহযোগীরা শেরপুরের চকবাজার থেকে লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমানকে অপহরণ করে বাঁথিয়া ভবনের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে তাদের নির্যাতনের পর থানায় চার দিন আটকে রাখা হয়। পরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে ওই দুজনসহ ১৩ জনকে ঝিনাইগাতীর আহম্মেদনগর সেনা ক্যাম্পে পাঠানো হয়। পরে লিয়াকত, মুজিবুরসহ ৮ জনকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের কাছে সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
(৬) একাত্তরের নভেম্বরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আল-বদর সদস্যরা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে ময়মনসিংহের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে আল-বদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। টুনুকে সেখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। জাহাঙ্গীরকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
(৭) মুক্তিযুদ্ধকালে ২৭ রমজান কামারুজ্জামান আল-বদর সদস্যদের নিয়ে ময়মনসিংহের গোলাপজান রোডের টেপা মিয়া ও তার বড় ছেলে জহুরুল ইসলাম দারাকে ধরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় আল-বদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে ছয়জনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই জামায়াত নেতা মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান হাই কোর্টে জামিন নিতে গেলে তার জামিন মঞ্জুর হয়। তবে হাই কোর্ট এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ৮৪ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় প্রথম ট্রাইব্যুনাল। এরপর ১৬ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ যাবৎ কামারুজ্জামানের মামলার রায়সহ মোট তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করলেন।

অন্যদিকে প্রথম ট্রাইব্যুনালে শুধুমাত্র আল্লামা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মোহাম্মদ কামারুজ্জামান বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনীকে সংগঠিত করেন বলে যে তথ্যপ্রমাণ প্রসিকিউশন উপস্থাপন করে- আসামির আইনজীবীরা তা খণ্ডাতে পারেননি বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে সাত অভিযোগের মধ্যে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কামারুজ্জামানের মামলার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ে শোনান তিনি।

এই বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগে বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পর পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে বৃহত্তর ময়মনসিংহে যে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলা হয়, কামারুজ্জামান ছিলেন তার ‘চিফ অর্গানাইজার’।

এর পক্ষে প্রসিকিউটররা দৈনিক সংগ্রামের সেই সময়ের একটি প্রতিবেদনও উপস্থাপন করেন, যে পত্রিকাটি জামায়াতে ইসলামের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত।

বিচারক বলেন, আসামির আইনজীবীরা প্রসিকিউশনের এ বক্তব্য খণ্ডাতে পারেননি।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা সাত অভিযোগের প্রথমটিতে প্রসিকিউশন বলেছে, তার নেতৃত্বেই একাত্তর সালের ২৯ জুন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার কালীনগর গ্রামে ফজলুল হকের ছেলে বদিউজ্জামানকে রামনগর গ্রামের আহম্মদ মেম্বারের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। এরপর তাকে নির্যাতন করে আহম্মদনগরের রাস্তার ওপরে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টেনে নিয়ে কাছাকাছি কাঠের পুলের নিচে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলে, “বদিউজ্জামানকে অপহরণ করেছে আল বদর বাহিনী। তাই এ ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি কামারুজ্জামান এড়াতে পারেন না।”

এই অভিযোগের পাশাপাশি একাত্তরের ২৫ জুলাই শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা ও শেরপুর কলেজের তৎকালীন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে নির্যাতন এবং ২৩ অগাস্ট গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে গুলি করে হত্যা এবং টেপা মিয়ার বাড়ি ঘেড়াও করে তার ছেলেসহ ৫ জনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে একাত্তরে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে লিয়াকত আলীসহ ১১ জনকে হত্যা এবং নভেম্বরে দিদারসহ কয়েকজনকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহতিতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি বলে রায়ে উল্লখ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে হাজির করার পর বিচারকরা এজলাসে বসেন।

দুই পক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ দিয়ে মামলার ইতিবৃত্ত সংক্ষেপে তুল ধরেন এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এরপর ১১টা ২১ মিনিটে জনাকীর্ণ আদালতে রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যনালের সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

পুরো রায় ২১৫ পৃষ্ঠার হলেও এর সংক্ষিপ্ত সার ৬২ পৃষ্ঠার। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়ার পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান চূড়ান্ত আদেশ দেন।

সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত কামারুজ্জামান আদালত কক্ষে প্রবেশের পর কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা এজলাসে আসামির জন্য নির্ধারিত স্থানে চলে যান। এ সময় তার চুলগুলো তেল দিয়ে আঁচড়ানো দেখা যায়। তার মাথায় টুপি ছিল না।

রায় উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিশিষ্টজনরা ট্রাইব্যুনালে আসতে শুরু করেন। সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে। আগের দিন সন্ধ্যায় তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে কারা কর্তৃপক্ষ।

ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও শাহিনুর ইসলামও আদালতে পৌঁছান সকাল ১০টার দিকে।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে পৌঁছান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিরের সদস্যরা। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান তাদের নেতৃত্ব দেন।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

বিরোধী দলীয় জোটের ডাকা হরতালের মধ্যে এই এদিকে রায় উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ ও র‌্যাব।

পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) ইমানুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দোয়েল চত্বর, কদম ফোয়ারা, সরকারি কর্মজীবী হাসপাতাল মোড়ে বেরিকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যকে সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়।

ট্রাইব্যুনালে আসা আইনজীবী, সংবাদকর্মীসহ সবাইকে তল্ল­াশি করে আদালতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিচার শুরু হয়। এর মধ্যে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।

রায়ের অপেক্ষায় আ.লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির দাবি এবং বিএনপি-জামায়াতের হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করে দলের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী সমর্থক জোটের ব্যানারে ২২টি সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে। এতে সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল হক সবুজ সভাপতিত্ব করেন।

মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের নেতৃত্বে শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লাহর সভাপতিত্বে কৃষক লীগ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। এছাড়া মহিলা লীগসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনগুলো মিছিল ও সমাবেশ করে।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud