November 6, 2025
ঢাকা: হেফাজতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
তারা বলেছেন, “এই নৈরাজ্যের জন্য দায়ী আহমদ শফী ও খালেদা জিয়া। হেফাজতের নৈরাজ্যের কর্মসূচির পাশে বিএনপি নেতাদের দাঁড়াতে বলে খালেদা জিয়া সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন।”
মঙ্গলবার দুপুরে ধানম-িস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।
বিনা রক্তপাতে হেফাজত কর্মীদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বিএনপি কথায় কথায় কোন ঘটনাকে একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধেকে ছোট করতে চায়। মতিঝিলের ঘটনাকেও তারা গণহত্যা বলে মিথ্যাচার করছেন। যে দেশের মিডিয়া এত শক্তিশালী সেখানে এ ধরনের মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যাবে না।”
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা রাজধানী তছনছ করতে চেয়েছিলেন।”
তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়েছিল হেফাজতকে ৫ মে মাঠে রেখে ৬ মে থেকে বিএনপি-জামায়াত একত্রে মাঠে নেমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করবে। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি মিলে নির্বাচিত সরকারকে অশুভ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে ও চরম নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে। তারা স্বর্ণের দোকান লুট করার লক্ষ্যে আগুন লাগায়। তারা লুটপাটের উদ্দেশ্যে জনতা ব্যাংক ও এটিএম বুথে হামলা করে।”
হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মন্তব্য করে নাসিম আরো বলেন, “তারা যে আগুন নিয়ে খেলছে সে আগুন থেকে তারা নিজেরাই বাঁচতে পারবে না।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “হেফাজতের সমাবেশকে ঘিরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তার দায় খালেদা জিয়া ও শফীকে নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “মতিঝিলের সমাবেশে কোন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। শুধু রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলন পূর্ব বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাসদের কার্যকরি সভাপতি মাঈনউদ্দিন খান বাদল, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।