November 6, 2025
ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মে রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে।আজ সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
রিটের পক্ষের কৌঁসুলি বলেন, নতুন কোনো সিটি করপোরেশন হলে এলাকাগুলোকে ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ২০০৮ সালের পরে নতুন অনেক ভোটার হয়েছেন। তাঁদেরও তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিটি করপোরেশনকে ভাগ করা হয়েছে। কোন কোন এলাকায় কোন কোন ওয়ার্ডে থাকবে তাও বলা হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৮ মে তারিখ ধার্য করেছেন।গত বছরের ৯ এপ্রিল ঘোষিত তফসিল অনুসারে ওই বছরের ২৪ মে ডিসিসি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন না করায় ওই নির্বাচন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। রুল জারির পাশাপাশি ভোটের তিন মাস আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
রুলে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুসারে করপোরেশনকে ওয়ার্ডে বিভক্ত করা ও ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন করে কেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।