পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

রুশ নিষেধাজ্ঞার বিলটি ‘অসাংবিধানিক’, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সই করেছি: ট্রাম্প

Posted on August 3, 2017 | in আন্তর্জাতিক | by

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিলে স্বাক্ষর করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন এমন আইন মার্কিন সংবিধান পরিপন্থী। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই আইন পাশ করার জন্য কংগ্রেস অনেক অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মনে করেন বৈদেশিক নীতিতে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে কংগ্রেস। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন করলেও কংগ্রেসের এমন বিষয় মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্প।

বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্পের অবশ্য এক্ষেত্রে অন্য কোনও ভালো বিকল্প ছিল না। কারণ বিলটি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ভেটো আটকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক কংগ্রেসম্যানের সমর্থন পেয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের ঘটনা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ঘটনায় রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন কংগ্রেস।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই কংগ্রেস আমাদের ইউরোপের মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইউক্রেন সংকট সমাধানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিক। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আমাদের কোনও বন্ধু বা মিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা আমরা চাই না।’ এক পৃথক বিবৃতিতে ট্রাম্প তার প্রশাসনের বৈদেশিক নীতি ও অবস্থান সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, সমস্যা থাকার পরও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে তিনি বিলটিতে সাক্ষর করেছেন। ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে ‘উগ্র’ রাষ্ট্র হিসেবে দেখলেও রাশিয়াকে এমন মনে করেনা ট্রাম্প প্রশাসন।

তবে মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলেও সেটা মেনে নেবে না বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলে আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করবো।’

এরপর আবারও কংগ্রেস নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এই বিলে অনেক ভুল রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছে। অথচ সাত বছর আলোচনা করেও স্বাস্থ্যবিল নিয়ে কিছু করতে পারেনি না।’ নিজে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কারণেই মানুষ তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের চেয়ে আমি অনেক ভালো সমঝোতায় আসতে পারবো।’

তার এই বিবৃতিতে ক্যাপিটল হিলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব কর্কার বলেন, তিনি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ার উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশই সবার সামনে একভাবে কথা বলেন আর আড়ালে অন্যরকম। কিন্তু এমন পদক্ষেপ নিতে পারে আমরা খুশি।’

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud