November 6, 2025
ঢাকা: স্থানীয় সরকারের অধীনে চারটি (খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ঋণখেলাপিদের প্রার্থীতায় অযোগ্যতা ঘোষণা করতে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের আগে প্রতিষ্ঠান দু’টিতে তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছে সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ইসির চিঠিতে।
এদিকে চার সিটির কোন ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার হবে তা চূড়ান্ত করেছে ইসি। আর সব ধরনের অনুদান ও ত্রাণ ছাড় না করতে পাঁচটি বিভাগে চিঠি দিচ্ছে কমিশন।
চিঠি পাঠানোর সত্যতা স্বীকার করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়ে ঋণখেলাপিদের তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
গত ৩০ এপ্রিল চার সিটির তফসিল ঘোষণা করে ভোট গ্রহণের সময় নির্ধারণ হয়েছে ১৫ জুন। আগামী ১২ মে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, আর যাচাই-বাছাই ১৫ ও ১৬ মে এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে।
কমিশন সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ও সংশ্লিষ্ট অর্থিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ঋণখেলাপির তালিকা সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়। এ প্রেক্ষিতে অর্থবিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এ তালিকা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার কোন প্রার্থী ঋণখেলাপি তা নিশ্চিত হয়ে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশর নির্বাচন উপলক্ষে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ সম্পর্কিত পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়।
যদি কেউ (মেয়র ও কাউন্সিলর) ঋণখেলাপি হন তাহলে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৬(২) অনুযায়ী তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও অযোগ্য হবেন। এমনকি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে যদি খেলাপি ব্যক্তি ঋণ রিসিডিউল না করেন, তাহলেও প্রার্থীতায় অযোগ্য হবেন।
চিঠিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনে উল্লেখিত ঋণখেলাপি সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, ওই পরিপত্রের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৫টার পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংগ্রহ করার নির্দশনা প্রয়োজন এবং তদানুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারকে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন।