April 27, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়ন করতে হলে স্ট্রাইকিং ফোর্স নয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েই ভোটের মাঠে নামানো উচিৎ বলে মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে সেনা নির্ভর নির্বাচন দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবে কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ তাদের।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা অনুসারে নিজেদের অংশিজনের সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন চৌত্রিশজন বিশিষ্ট নাগরিক। যেখানে অধিকাংশরাই মত দেন নির্বাচনে সেনা মোতায়নের পক্ষে। আলোচনায় আরো ছিল ‘না’ ভোট আর কমিশনকে শক্তিশালী করার বিষয়টি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মতে ভোটারদের স্বস্তির জন্য সেনা মোতায়নের কথা ভাবতে পারে কমিশন। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োগ করলে তা থেকে সুফল আসবে না বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, ‘মানুষ মনে করে সেনাবাহিনী যদি আসে তাহলে কেউ আর পক্ষপাতিত্য করবে না। মানুষের বিশ্বাসের এই জায়গাকে যদি মূল্যায়ন করা যায় ক্ষতি কি?’
অন্যদিকে দু’একটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করে প্রাথমিক সুফল পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে মনে করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
আইসিএলডিএস নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে সেনাবাহিনী না থাকলে নির্বাচন হবে না, সেনাবাহিনী থাকলে ভালো নির্বাচন হয় এটা হলো আমাদের পলিটিকাল যে প্রসেস আছে তার মধ্যে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার একটি উদ্যোগের মধ্যেই পড়ে। সেই উদ্যোগটা যত গভীরতা পাবে ততই সেনাবাহিনী রাজনৈতিক একটা ভাগ পাওয়ার প্রবণতা জেগে ওঠে। তো সেটি গণতন্ত্রের জন্য খুব একটা সুফল দেয় না।’
তবে নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনগনের পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে হলে কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা সঠিকভাবে ব্যবহারের তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
চলমান এই সংলাপ প্রক্রিয়া অংশিজনদের সঙ্গে কমিশনের দূরত্ব কমাবে বলেও মনে করেন তারা।
সময় অনলাইন।