May 19, 2024
ঢাকা : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে এবার সুদানে শান্তি মিশনে যাচ্ছে আরও ১৪৫০ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সেনা পাঠানোর প্রক্রিয়া। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট বহনের বিশেষ জাহাজ। জানা গেছে, জাহাজে বোঝাই হচ্ছে মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ি, অস্ত্র, সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। অগ্রবর্তী একটি দল এরই মধ্যে সুদানে পৌঁছে গেছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে যাচ্ছেন। এতে যোগ হচ্ছেন আরও ১৪৫০ জন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, এবারের সøটে সুদানে ১২৫০ জন সেনা যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষে আরও দুইশ’ অতিরিক্ত শান্তিরক্ষীর সুদান শান্তি মিশনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে মোট ১৪৫০ জন সদস্য যাচ্ছেন উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সীমান্তবর্তী এই আরবীয় দেশটিতে। ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক আগেই বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সেনা সরবরাহকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে আরও ১৪৫০ জন সেনা যোগ হওয়াতে এখন বাংলাদেশকে সহজেই কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।
ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে জাতিসংঘ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি সেনারা বিশ্বের দেশে দেশে যেখানেই অশান্ত পরিবেশ সেখানেই দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রেখে কাজ করছে। আর সে কারণেই জাতিসংঘও কোথাও সেনা নিয়োগ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেয়।
এর আগে সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য মিলে মোট নয় হাজার ৫৪৯ বাংলাদেশি বিশ্বের ১২টি দেশে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সুদানে নতুন ১৪৫০ জন যোগ দিতে চলেছে। যাতে মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১০ হাজার ৬৯৯ জন।
এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, দেশের উন্নয়ন বিরোধী একটি শক্তি প্রায়ই গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী থেকে জাতিসংঘ আর কোনো শান্তিরক্ষী নেবে না। এই শক্তিটি নিউইয়র্কেও সক্রিয়। তবে তাদের এই প্রত্যাশা কখনোই পূরণ হবে না। জাতিসংঘে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। নতুন করে আরও ১৪৫০ জন সেনা শান্তি মিশনে যোগ দেওয়াটি তারই প্রমাণ।