পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

সাইকেলে আম বিক্রি

Posted on July 3, 2017 | in সারা দেশ | by

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ এলাকার আম নিয়ে এভাবে বাজারে বিক্রি করেন সাইকেলওয়ালারা। আমের রাজধানী যদি হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তবে এ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট। কেননা এখানেই বসে আমের সবচেয়ে বড় বাজার। আর এখানে আমের একটি বড় অংশ আসে সাইকেলে করে। গাছ থেকে আম পাড়ার পর দূরদূরান্ত থেকে আম নিয়ে এসে বিক্রি পর্যন্তত্ম সব কাজ করেন সাইকেলওয়ালারা।

শিবগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু সড়ক এসে মিলেছে কানসাট বাজারে। মূল বাজার ছাড়াও এসব সড়কের পাশে আম নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সাইকেলওয়ালাদের। আগের দিন বিকালে বাগান থেকে আম পেড়ে ডালিতে (ঝুড়ি) সাজিয়ে রেখে খুব ভোরে কানসাট বাজারের দিকে আসেন তারা। দুই ডালিতে আম থাকে সাড়ে চার মণ, সাড়ে পাঁচ মণ, কখনো ছয় মণও। কখনো তিন-চার কিলোমিটার, কখনো বা ২০-২৫ কিলোমিটার দূর থেকে আমবোঝাই সাইকেল ঠেলে নিয়ে আসেন তারা। বাজারে বা রাস্তার ক্রেতারা আম পছন্দের পর দরদাম ঠিক করেন। একটি বড় আমের ওপর দাম লিখে দিয়ে নির্দিষ্ট আড়তে আম নিয়ে যেতে বলে। আড়তে আম ওজন দিয়ে টাকা নেয়ার পর তাদের কাজ শেষ হয়। কোনো দিন এ কাজ শেষ হয় সকাল আটটা থেকে দশটার মধ্যেই। আবার কোনো দিন বেলা গড়িয়ে দুপুর পার হয়। কোনো দিন বিকালও হয়ে যায়। কাজ শেষ হতে সকাল হোক বা বিকাল হোক,

মজুরি কিন্তু একই। দূরত্বভেদে মজুরি কমবেশিও আছে। এ মজুরির পরিমাণ ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
কানসাট আম বাজারে যাওয়ার সময় পথে কথা হয় সাইকেলে আম পরিবহনকারীদের মধ্যে শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের শরিফ আলী, শ্যামপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের মো. এমরান, ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের আন্দিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকের সঙ্গে।

তারা জানান, কানসাট এলাকায় সাইকেলে করে আম পরিবহনের এই চল দীর্ঘদিন ধরেই। এ জন্য একজন সাইকেলওয়ালা এ কাজের জন্য তার সাইকেলকে বিশেষভাবে তৈরি করেন। সাধারণ সাইকেলের চেনের ওপরে একটি কাঠের পাটাতন বসিয়ে তার ওপর দুটি বড় ডালি বাঁধাই করতে হয়। এ ডালি দুটি সাইকেলওয়ালাকেই কিনতে হয়। একজন সাইকেলওয়ালার খরচ বলতে এটুকুই।
তারা আরও জানান, সাধারণত মৌসুম শুরুর আগে থেকেই এই সাইকেলওয়ালাদের সঙ্গে বাগানমালিকদের চুক্তি হয়ে থাকে। আড়াই থেকে তিন মাসের আম মৌসুমে তারা একেকজন আয় করে থাকেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বছরের অন্যান্য সময় অনেকেই কৃষিকাজ করে থাকেন। আম মৌসুমে এ পেশাটাতে বেশি আয় হয় বলেই তারা এ কাজ গত কয়েক বছর ধরে করে আসছেন। তাদের মতো প্রায় এক হাজার মানুষ এ কাজে যুক্ত রয়েছেন।

ইসমাইল হোসেন জানান, এ কাজের বাড়তি আকর্ষণ হচ্ছে, বাগানে আম পাড়ার সময় যেমন পাকা আম খাওয়া যায়, তেমনি বাড়ির জন্যও আম দেন বাগানমালিকেরা। আম কিনে খেতে হয় না বললেই চলে।

সূত্র : যায়যায়দিন।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud