May 18, 2024
বিবিসি বাংলা: ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর অভিভাবকদের বিক্ষোভের পর স্কুলের উপাধ্যক্ষকে অব্যাহতি এবং চতুর্থ শ্রেণীর পুরুষ কর্মচারীদের সরিয়ে মহিলা কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে দরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সচেতনতা।
নারীনির্যাতন বিরোধী সংগঠন ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ এর নির্বাহী পরিচালক রোখসানা সুলতানা বলছেন, নিপীড়ন প্রতিরোধ করার জন্য প্রথমেই শিশুদের যৌন হয়রানি বিষয়ে সচেতন করতে হবে। কি ধরণের আক্রমণ হতে পারে সে সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকলে তারা সবসময় সচেতন থাকবে এবং কোন ঘটনা ঘটলে ঠিকঠাক ভাবে অভিযোগ করতে পারবে। তবে, মিজ সুলতানা বলছেন, স্কুলগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কও এমন হতে হবে, যাতে শিশুরা অকপটে নির্যাতনের বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে খুলে বলার সাহস পায়। এছাড়া স্কুলগুলোতে অভিযোগ বক্স রাখার সুপারিশ করেন মিজ রোকসানা।
সেই সঙ্গে শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগের সময় তাদের অতীত ইতিহাস দেখা উচিত।
এর আগে তারা কোথায় কাজ করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তবে মিজ সুলতানা বলছেন, স্কুলে শিশুদের যৌন নিপীড়ন থেকে বাঁচাতে দরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সচেতন উদ্যোগ।