পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

লড়াই শেষ পর্যন্ত নৌকা-ধানের শীষে

Posted on December 13, 2015 | in জাতীয় | by

নিউজ ডেস্ক: অতীতের মতো অরাজনৈতিক নির্বাচন নয়। এবারের পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও দলীয় প্রতীকনির্ভর। নির্বাচনের মাঠে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ১৯টি দল। আছে নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গলসহ অন্যান্য প্রতীক। এ কারণে এবারের পৌর নির্বাচন পরিণত হয়েছে দলগুলোর মর্যাদার লড়াইয়ে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম এ ধরনের দলীয় নির্বাচন হতে চলেছে।white-777x437 (1)
এবারের নির্বাচনে ১৯টা দল থাকলেও সারা দেশে অধিকাংশ পৌরসভায় মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। গতকাল শনিবার কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, তাদের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২৩৪টির মধ্যে ২২৭টিতে আওয়ামী লীগের ও ২১৮টিতে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। আর জাতীয় পার্টি (জাপা) ৮১টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ফলে লড়াইটা মূলত অন্যান্য সময়ের মতো দুই বড় দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা অন্যতম বড় দল বিএনপি নিজেদের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিরঙ্কুশ করতে আজ রোববার শেষবারের মতো বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হচ্ছে আজ বিকেল পাঁচটায়। রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাল সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এর পরপরই প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে নেমে যাবেন প্রচারে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দলেরই কমবেশি ৩০টি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। এদের বেশির ভাগকে আজ নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে দুটি দল আশা করছে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে তাঁদের দলে অস্বস্তি আছে। যেসব প্রার্থী শাস্তির তোয়াক্কা করছেন না, প্রয়োজনে দলীয় পদ ছেড়ে দেবেন—মূলত তাঁরাই এখনো নির্বাচনের দৌড়ে আছেন।
দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের ৭০ জনের বেশি স্থানীয় পর্যায়ের নেতা স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্র থেকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৭ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছে। কয়েকজনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়। গত রাতে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, আজ আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০-১৫ জনকে সরানো সম্ভব হবে না। নির্বাচনের মাঠে এসব প্রার্থীর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পৌরসভার মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলীয়ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে সব পৌরসভায় একক প্রার্থী রাখতে। আশা করি সেটা সম্ভব হবে।’
বিএনপিরও ৩০টি বেশি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন বলে দলের নেতারাই বলছেন। এর মধ্যে ১৫টির মতো পৌরসভায় প্রার্থীদের শক্তিশালী মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকেরা আজও বিদ্রোহীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যাপারে চেষ্টা করবেন। এতে কয়েকজনকে রাজি করানো সম্ভব হবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী নেতারা স্বতন্ত্রভাবে ৩৫টির মতো পৌরসভায় প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্থানীয় নেতারা ব্যর্থ হবেন সেখানে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া হস্তক্ষেপ করবেন।
মেয়র পদে ১ হাজার ৫৬ জন: মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ১ হাজার ৫৬, কাউন্সিলর পদে ৯ হাজার ১৫৯ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৫১৩ জন। মেয়রদের মধ্যে রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী ৬৭১ এবং স্বতন্ত্র ৩৮৫ জন।
এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে মেয়র পদে ১ হাজার ২১৪, কাউন্সিলর পদে ৯ হাজার ৭৪০ এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৬৭২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাইয়ে ৮৯৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিলের তালিকায় মেয়র পদে রাজনৈতিক দলের ৩৯ এবং স্বতন্ত্র ১১৮ জন আছেন। কাউন্সিলর পদে ৫৮১ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
কমিশন সচিবালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১৬টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী নেই। বাছাইয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম, গোপালগঞ্জ, সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুরের ছেংগারচর, ফেনী, ফেনীর পরশুরাম ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ আরও কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই সাতটি পৌরসভায়। তবে নাম জানাতে পারেনি কমিশন সচিবালয়।
পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৯টি দল হলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনপিপি, পিডিপি, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। প্রথম আলাে

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud