পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

র‌্যাব অফিসারদের গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী

Posted on May 14, 2014 | in ইসলাম | by

05_Asaduzzaman-Khan-Kamal_Press-Club_090214_0002ঢাকা: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে নইলে আদালতে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছি। কোনো দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কোনো বিলম্বও হচ্ছে না। বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তবে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলার কারণেই একটু সময় লাগছে।হাইকোর্টের নের্দেশনা মেনে প্রক্রিয়ার মধ্যেই সবকিছু এগুচ্ছে। আগের দিন মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘আর্মি অফিসারদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। তারা যেহেতু অবসর প্রস্তুতিকালীন সময় পার করছেন, এজন্য একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হবে। তারা হয়তো আগামীকাল (আজ) নিজেরাই আত্মসমর্পণ করবেন।’ এদিকে নারায়ণগঞ্জের এসপি বলেছেন, চাকরিচ্যুত তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।  এ ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অভিযুক্ত তিন র‌্যাব কর্মকর্তা যেহেতু সশস্ত্র বাহিনীতে রয়েছেন এবং তারা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করছেন। কাজেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হলে নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হয়। এবং এ ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে এবং খুব শিগগির ফলা পাওয়া যাবে।
গত সোমবার উচ্চ আদালতের আদেশের কপি পুলিশ সদরদপ্তর হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে যায়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মামুনুর রশীদ মণ্ডল সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দেন। পরে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাদের আলোচনা হয়।
আলোচনার ভিত্তিতেই অবসরপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তার আত্মসমর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাত জন অপহৃত হন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলোচিত এ সাত অপহরণের পর থেকেই এর সঙ্গে র‌্যাব-১১ সদস্যদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। লাশ উদ্ধারের দিনই র‌্যাব ১১-এর তিন কর্মকর্তা কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারিক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র‌্যাব থেকে প্রত্যাহার করে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। গত ৪ মে নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওরফে হোসেন চেয়ারম্যানের দেয়া ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবের সদস্যরা সাত জনকে হত্যা করে। পরে প্রত্যাহার করা এ তিন র‌্যাব কর্মকর্তার দুই জনকে অকালীন অবসর ও একজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud