পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

রূপগঞ্জের সেই সাসপেন্ড হওয়া নারী সাব রেজিস্ট্রারের পদোন্নতি

Posted on April 16, 2016 | in সারা দেশ | by

নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার বদলিতে তোলপাড়

FFF
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের সেই বিতর্কিত ও শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সাবরেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহারকে পদোন্নতি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে নারায়ণগঞ্জে জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও রেজিস্ট্রেশন বিভাগে শুরু হয়েছে তোলপাড়। পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাররেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে চাপাক্ষোভের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সাবিকুন্নাহার আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সাধারণত নারী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দেখা যায় না। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দাপুটে এই নারী কর্মকর্তা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাময়িক বরখাস্তের বাতিলের ব্যবস্থা করে জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি বাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবিকুন্নাহার রূপগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত থাকাকালীন ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘টাকা ছাড়া কাজ করেনা রূপগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই দিনই আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ্ শেখ মোঃ জহিরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পান ও ২২৬৭টি সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপিত দলিল স্বাক্ষরবিহীন দেখতে পেয়ে সাবরেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। পরে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মন্ত্রণালয় সাবিকুন্নাহারকে তাৎক্ষণিক তিরষ্কারমূলক শাস্তি প্রদান করেন। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ গত ১২-০৩-২০১৫ ইং তারিখে দুদক/সজেকা/ঢাকা-২/২০১৫/৫৮০নং স্মারকে ঘুষের বিনিময়ে ভুয়া ব্যক্তিকে মালিক সাজিয়ে জাল দলিল সৃজন পূর্বক ভিপি তালিকাভুক্ত সম্পত্তি আÍসাত ও মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয় এই নারী সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা যে কর্মস্থল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করার পর আর পূর্বের কর্মস্থলে পদায়ন করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সকল নিয়ন-নীতি উপেক্ষা করে সাবিকুন্নাহার পুনরায় রূপগঞ্জেই চাকুরিতে যোগদান করেন। সেখানে ২ বছর ২ মাস কর্মরত থাকার পর তার পছন্দের স্টেশন মুন্সীগঞ্জ সদরে বদলি করা হয়। নিয়মানুযায়ী কেউ শাস্তি ভোগ করলে তার পদোন্নতি সুযোগ থাকে না। শুধু পদোন্নতি নয়, জেলা রেজিস্টার পদে বিধিমালা লঙ্ঘন করে ‘সি’ গ্রেডের স্টেশনের পরিবর্তে ‘এ’ গ্রেডের স্টেশন নারায়ণগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রণালয় বদলির আদেশ জারি করে।
অভিযোগ উঠেছে, চাকরি জীবনে দুর্নীতির অভিযোগে সাবিকুন্নাহার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কয়েকদফা তলব করলেও কমিটির সামনে হাজির হয়নি তিনি। প্রভাবশালী মহলের মদদে এ থেকে রেহাই পেয়ে যান। দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বাড়ি, গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্স করেছেন নিজ নামে ও নিকট আÍীয়ের নামে। তিনি ধানমন্ডি ৯-এ রোডে গোলাপ ভিলা নামে ২টি ৮ তলা আলীশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। চলেন বিলাশবহুল গাড়িতে। ব্যাংকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা, মার্কেট, দোকান ও স্বর্ণের ব্যবসা।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud