May 17, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর দখল হওয়া বিভিন্ন খাল উদ্ধারে যৌথভাবে মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রথমিকভাবে ঢাকার আশেপাশের ৩৪টি খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিতকরণ, দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নাব্য নিশ্চিতে জোর দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা ওয়াসার মতে, খাল দখলমুক্ত রাখতে প্রয়োজনে পাড় বাঁধাই ও খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে হবে। অন্যদিকে এ কাজে সাফল্য পেতে উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদেরও বড় পরিসরে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
মিরপুরের বাউনিয়া খাল ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। তবে সাইনবোর্ডের ভিড়ে এর দেখা পাওয়ায় মুশকিল। বদলে গেছে গতিপথ। স্থবির পানিপ্রবাহ। একই অবস্থা প্যারিস খালেরও। বহুতল ভবনের দেয়ালে চেপে ধরে আছে খালটিকে। সাংবাদিক খাল ভরাট গেছে বর্জ্যে। পাড় দখল করে উঠেছে কারখানা।
আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তাতে সাড়া দিয়ে খাল উদ্ধারে কাজে শুরু করছেন উত্তর ঢাকার মেয়র। এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র সাঈদ খোকন।
প্রায় একযুগ ধরে রাজধানীর ২৬টি খালের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসার পরামর্শ, দখলমুক্ত রাখতে সীমানা নির্ধারণের পর বাঁধাই করতে হবে পাড়। নির্মাণ করতে হবে ওয়ার্কওয়ে। তবে, ওয়াসার সঙ্গে একমত নন নগর-পরিকল্পনাবিদেরা। নিয়মিত তদারকির কোনো বিকল্প দেখছেন না তারা।
ঢাকা উত্তরে ২৩ এবং দক্ষিণ সিটির আওতায় আছে ১১টি। উদ্ধারের পর তদারকি হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার বড় উন্নতি হবে বলেও মনে করছেন তারা।