পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

রঙ আর দেহ বুঝে পোশাক

Posted on April 6, 2016 | in লাইফস্টাইল | by

ফ্যাশন মানে কী বাহারি রঙের দামি পোশাক আর কড়া মেকআপ নিজেকে সাজিয়ে রাখা? মোটেও তা নয়। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টার আরেক নামই হলো ফ্যাশন। রুচি আর ব্যক্তিত্বকে সময়ের উপযোগী পোশাক-সাজসজ্জায় যিনি ধারণ করতে জানেন তাকেই আমরা বলতে পারি ফ্যাশন সচেতন বা স্টাইলিস্ট। হালকা সাজে সাধারণ পোশাকেও একজন হয়ে উঠতে পারে অনন্য ও অসাধারণ।
নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তোলার জন্য হাল ফ্যাশনে কি ধরণের পোশাক পরছেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পোশাকের রঙ আর দেহাবয়বের সঙ্গে মানানসই রুচিশীল পোশাক। সেই সঙ্গে যেখান অবস্থান তার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গেও পোশাকের সঙ্গতি থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে শরীরের আকার-আকৃতির, বডিশেপ বুঝে নির্বাচন করতে হবে পোশাকSELA

আসুন জেনে নেয়া যাক, কখন কোথায় কেমন রঙের আর কী ধরনের পোশাক মানানসই হবে এবং দেহের সঙ্গে কোন পোশাকে আপনাকে ভালো মানাবে।

ফ্যামিলি পার্টিতে একটু তুলনামূলক উজ্জ্বল রঙের পোশাকই আপনাকে বেশি ভাল মানাবে। গ্রীষ্ম কালে রাতে অনুষ্ঠান থাকলে হালকা রঙের পোশাক আপনারে বেশি ভাল মানাবে। এক্ষেত্রে হালকা মেরুণ, গাঢ় আকাশী, ম্যাজেন্ডা, সিলভার, বটল গ্রিন, ডিপ পিঙ্ক রঙের পোশাক এক্ষেত্রে পরতে পারেন। বাইরে বেড়াতে গেলে কয়েকটা দিন সেখানে কাটাতে হবে। তাই ট্রাভেলের হস্য হালকা রঙের পোশাকই সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে যদি হালকা রঙের পোশাক পরেন তবে এতে আপনাকে অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত বলে মনে হবে।

অফিস যাওয়া মানেই যাতায়ের ঝক্কি। তাই এক্ষেত্রেও হালকা রঙের পোশাকই ভাল। কারণ গরম আবহাওয়া আপনাকে বিধ্বস্ত করে তুলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সাদা, আকাশী, ঘিরে, হালকা গোলাপী, ইত্যাদি রঙকে বেশি প্রাধান্য দিন৷ অফিসে ফরমাল পোশাক পরতে হলেও সেক্ষেত্রেও এই রংগুলো হতে পারে আইডিয়াল।

শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে ফরমাল পোশাকই বেশি উপযোগী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যাম্পাসে সময় থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তাই হালকা রঙের পোশাক পরলে এক্ষত্রে আপনাকে যেমন মানাবে তেমনই আপনি আরামও বোধ করবেন। এক্ষেত্রে হালকা সবুজ,সাদা, ছাই, গোলাপী, ঘিরে রঙের পোশাক পড়তে পারেন৷ হালকা রঙের পোশাক পরলে গরম আবহাওয়া হলেও আপনার গরমে অস্বস্তি কম অনুভব হবে।

তরুণ প্রজন্মের কাছে আড্ডা মারা মানেই একটি উৎসবের মত। কিন্তু আড্ডা মূলত সন্ধ্যাবেলাতেই জমে। তাই সেক্ষেত্রে একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা যেতেই পারে। তবে সাদা বা ক্রিম রঙও হতে পারে আইডিয়াল। এছাড়াও তুতে, হলুদ, হালকা সবুজ, বাদামী রঙের পোশাক বেশ ভাল মানায়।

ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলতে পোশাক কিনতে গিয়ে অনেক সময় দোটানায় ভোগেন। অনেকেই আছেন পোশাক নির্বাচনে নিজের শারীরিক গড়নের কারণে সঠিক পোশাকটি ক্রয় করতে পারেন না। সঠিক আকৃতি ও নকশা মেনে পোশাক পরলে ফ্যাটি-স্লিম সবধরনের মেয়েকেই যে কোনো পোশাকেই মানাবে। তবে মোটা মেয়েরা সবধরনের পোশাক পরতে পারেন না। সব সময় কনফিউশনে থাকেন যে, আসলে পোশাকটি মানিয়েছে কিনা! এসব কনফিউশন দূর করার জন্য শরীরের গঠন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনে বিশেষ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন।

মনে রাখতে হবে গায়ের রং, উচ্চতা ও ওজনের সঙ্গে মানানসই পোশাক আপনার রুচি আর ব্যক্তিত্বে পরিচয় বহন করবে। পোশাক নির্বাচনের আগে নিজের শীরের গড়ন বুঝে নিন। তারপর পোশাক নির্বাচন করুন। যেমন: অনেকের পায়ের থাই খানিকটা মোটা হতে পারে। চুড়িদার বা টাইট সেলোয়ার না পরে পাতিয়ালা ব্যবহার করতে পারেন৷এড়িয়ে চলতে হবে লেগিংস।

যাদের হাত মোটা তারা লং হাতা বা থ্রি কোয়ার্টার স্লিভ জামা পড়ুন। স্লিভলেস বা ছোট হাতা একেবারেই পরবেন না। শাড়ির ক্ষেত্রে আপনার শরীরের গড়ন মোটা হলে কুঁচি কম দিয়ে আঁচল বড় রাখুন। চেহারা স্লিম হলে শাড়িতে সরু করে অনেকগুলো কুঁচি দিয়ে পরুন।

যারা একটু মোটা তারা সবসময় লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। দেখতে ভালো লাগবে এমনকি লম্বাও দেখাবে বেশ।যাদের শরীর নিচের চেয়ে উপরের অংশ বেশি মোটা, তারা একটু লং আর ডিপ রঙের পোশাক পরুন। মেচিং করা পোশাক ভালো মানাবে। ব্লাউজের ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্ট বা স্ট্রেট চেক কাটের থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পরুন। যাদের কাঁধ চওড়া তারা ব্লাউজ বা চুড়িদারে ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে আপনাকে বেশি মোটা বলে মনে হবে না।

যাদের উচ্চতা খুব বেশি নয়, তারা বেশি ঢোলা দেখা যায় এমন সালোয়ার বা প্যান্ট পরবেন না। খাটো পোশাক তাদের জন্য একেবারেই বেমানান। তারা সেমি লং টাইপের পোশাক বেছে নিন। চিকন ও লম্বা মেয়েরা আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের পোশাক বেছে নিন। এ ধরনের পোশাক তাদের বেশ মানাবে।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud