May 19, 2024
ব্রেক্সিট আলোচনা পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে থেরেসা মে’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক্সিটের বিষয়টি আবারও ঝুলে যেতে পারে বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কমিশনের জার্মান সদস্য গুয়েনতার অতিংগার বলেন, তারা এখনও জানেন না ১৯ জুনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হবে কিনা। এছাড়া কোনও নেতা শক্ত অবস্থানে না থাকলে তার সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সরকার চাই যারা তৎক্ষণাত পদক্ষেপ নিতে পারবে। দুর্বল সরকার হলে দুইপক্ষের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
ইইউর ফরাসি নেতা পিয়েরে মোসোভিসি বলেছেন, ‘এই ফলাফল অবশ্যই আলোচনায় প্রভাব ফেলবে। তবে ব্রিটেন কোনভাবেই ইইউতে থাকতে চাইবে না আর। ইউরোপ রেডিও ওয়ানকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ব্রেক্সিট গত সরকারের পার্লামেন্টেই পাস হয়ে গিয়েছিলো। তাই ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট হবেই।
ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রিমিয়ার আলেক্সান্ডার স্টাব এক টুইটে বলেন, ‘হয়তো আমাদের ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় বিরতি নিতে হবে। সবাইকে এক হতে হবে আবার।’
গত বছর ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন মে। তবে ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর যখন তিনি দায়িত্ব নেন, তখন ব্রেক্সিটের পক্ষে কথা বলতে থাকেন। এরপর তিনি নিজের সমর্থন শক্ত করতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নেও সবাই এর প্রশংসা করে। তারাও চাইছিলেন মে’র অবস্থান আরও শক্ত হোক। ইইউ পার্লামেন্টের জার্মান কনজারভেটিভ সদস্য এলমার ব্রক বলেন, ইউরোপীয়ারা মে’র এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় হতাশ হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এখন কোন প্রধানমন্ত্রী শক্তভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারবে না। ফলে এখন আলোচনা করা কঠিন।’
অনেক ইউরোপীয় নেতাই বলেছিলেন ব্রিটেন হওয়া ইইউ ছাড়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। তবে তাদের বেশিরভাগই এখন মনে করে খুব দ্রুতই ব্রিটেন বের হয়ে যাবে। এটা থামানোর জন্য অন্য সদস্যদেশগুলোর অনুমতির প্রয়োজন হবে।