April 27, 2024
স্পাের্টস ডেস্ক: আয়কর ফাঁকি দেয়ার মামলায় আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার ফুটবল তারকা লায়নেল মেসি ও তার পিতা হোর্হে মেসিকে ২১ মাসের জেল দিয়েছে স্পেনের একটি আদালত। তবে তাদের দু’জনের কাউকেই জেলে যেতে হচ্ছে না। জেল দেয়ার পাশাপাশি মেসিকে ২০ লাখ ইউরো ও তার পিতাকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে তার এই কর ফাঁকির কথা প্রকাশ হয়েছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরও বলা হয়েছে, মেসি ও তার পিতা ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছিলেন মেসি ও তার পরিবার।
এ জন্য সাজা হলেও জেলে যেতে হচ্ছে না মেসি বা তার পিতাকে। স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে (যদি হিং¯্র না হয়) সাজার মেয়াদ ২ বছরের (২৪ মাস) কম হলে সাধারণত জেলে যেতে হয় না। এক্ষেত্রে মেসি ও তার পিতার সাজার মেয়াদ ২১ মাস। তা ২৪ মাস বা দু’বছরের চেয়ে কম। তাই আপাতত জেলের সাজাটা স্থগিতই থাকছে। কিন্তু জরিমানা ঠিকই দিতে হবে। স্প্যানিশ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ইমেজ-স্বত্ব থেকে পাওয়া অর্থের ওপর কর ফাঁকি দিতে ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’ বলে পরিচিত বেলিজ ও উরুগুয়েতে বিভিন্ন নামী-বেনামি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিলেন মেসি। গত জুনে কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার ঠিক আগে ২৯ বছর বয়সী মেসির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হয়েছিল।
বার্সেলোনার আদালতে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি বলেছিলেন, বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে দারুণ নৈপুণ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ঠিকই আছে মেসির। তবে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ও তার পিতা অবৈধভাবে নিজেদের আয় গোপন করেছেন। এ কারণে দুজনেরই জেলের সাজা ও জরিমানার শাস্তির সুপারিশ করেন কৌঁসুলি। এ সময় মেসি ও তার পিতা দুজনই ইচ্ছাকৃত কোনো অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন। সব সময়ের মতো মেসি সেদিনও দাবি করেছিলেন, অর্থসংক্রান্ত বিষয় কিছুই জানতেন না। তিনি সব সময় মাঠের ফুটবলে মনোযোগ দিয়েছেন। অর্থের ব্যাপারগুলো সব সময় দেখতেন তার পিতা ও আইনজীবী। মেসি শুধু তাদের কথামতো সই করেছেন।
মামলার এক পর্যায়ে শোনা গিয়েছিল, আদালত মেসির কথা মেনে নিয়েছেন, কোনো সাজাই হবে না তার। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির যুক্তির পর এই স্থগিত সাজা ও জরিমানা পেতে হলো মেসি ও তার পিতাকে।
২০১৩ সালে প্রথম শিরোনামে আসে মেসির কর ফাঁকির খবর। এরপর থেকে মেসি পরিবার বিভিন্ন সময়ে বকেয়া ও অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষকে ৫০ লাখ ইউরোর মতো অর্থ দিয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ ও ২০১১ সালের ইমেজ-স্বত্বের ওপরও নিয়ম মেনে ১ কোটি ইউরো কর দিয়েছেন মেসি।