ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই প্রথম দিন পার করল শ্রীলঙ্কা। বিনা উইকেটে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৯ ওভারে ৬০ রান। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ছাড়া স্বাগতিকদের কেউ বড় অবদান রাখতে পারেনি। তৃতীয় সেশনের খানিকটা সময় পরই ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

প্রথম দিন শেষে
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস- ২৩২/১০
শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস- ৬০/০ (১৯ ওভার)

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাহ্নবিরতির আগে চার উইকেট বিসর্জন দেয় বাংলাদেশ। তবে হাল ধরেছিলেন সাকিব ও মুশফিক। দ্বিতীয় সেশনে ফিফটি মেরে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আশা জাগিয়েছিলেন। ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাকে অনুসরণ করে কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন আরেক ভরসা নাসির হোসেন। অবশ্য মুশফিকের ১৩তম ফিফটিতে পথে ফিরেছিল স্বাগতিকরা।

দলকে দুশর ঘরে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬১ রানে সুরাঙ্গা লাকমলের শিকার হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এর আগে এদিন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্যাপ পরেন শামসুর রহমান। বাংলাদেশি এই ওপেনার মারকুটে ব্যাটিং করেছেন। ৩৪ বলে সাতটি চারে সাজানো তার ৩৩ রানের ইনিংস। মধ্যাহ্নবিরতির আগে লঙ্কান বোলার শামিন্দা এরাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। দলীয় ৩৫ রানে তামিম ইকবাল (৬) এই ডানহাতি পেসারের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন। আরও ২৪ রান যোগ করতে গিয়ে প্রথম সেশনে বাকি তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মার্শাল আইয়ুব ১ ও মুমিনুল হক ৮ রানে আউট হন।

মুশফিকের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ার পথে ৮৪ বলে ফিফটি করেন সাকিব। দলীয় ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে রঙ্গনা হেরাথকে বাউন্ডারি মেরে ৫০ এর ঘরে পৌঁছান সাকিব। ৯১ বলে নয় চারে ৫৫ রানে আউট হন তিনি। নাসির একটি বাউন্ডারি মেরে ব্যক্তিগত ৪ রানে এরাঙ্গার বলটি পেছনে থাকা দিনেশ চান্দিমালের হাতে তুলে দেন।

মুশফিক ৯৪ বলে নয় চারে ফিফটি মারেন। সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মুশফিক আউট হলে বাকি তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন দলে ২৯ রান যোগ করতে গিয়ে। ৫৬ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ৪২ রানে আউট হন গাজী।  এরাঙ্গা সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নেন। লাকমল তিনটি ও হেরাথ দুটি উইকেট দখল করেন।

ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার কৌশল সিলভা ও দিমুথ করুনারত্নে ব্যাটিং ক্রিজে কাটিয়ে দিয়েছেন। ৩০ রানে অপরাজিত খেলছিলেন কৌশল। অপর প্রান্তে করুনারত্নে টিকে ছিলেন ২৮ রানে।