পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

বিশেষ নজরদারীতে ভারতে যাচ্ছে সোনা আসছে গরু

Posted on April 19, 2015 | in ব্যবসা-অর্থনীতি | by

মাসুদ আলম : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একের পর এক স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। বিমানের সিটের নিচ, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ, টয়লেট, রাইস কুকার, যাত্রীর দেহ, পার্সেলসহ বিভিন্ন স্থান থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হচ্ছে স্বর্ণ। এসব স্বর্ণ সিঙ্গাপুর, দুবাই, হংকং, মালয়েশিয়া ও নেপালসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ আসছে। পরে ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিমান বন্দরে বিশেষ নজরদারির পরও কিভাবে স্বর্ণের চোরাচালান আসছে তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টদেরই।Cow-south-india
এছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হচ্ছে স্বর্ণ। মূলত স্বর্ণ চোরাকারবারীরা বাংলাদেশকে চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। মাঝে মধ্যে যাত্রীরা বা নামে মাত্র বাহক ধরা পড়লেও মূলহোতারা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। আবার কখনো স্বর্ণসহ চোরাকারবারীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার পুরনো পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। শুল্ক ফাঁকি দিতে চোরাকারবারীরা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে থাকে। গত দুই বছরে প্রায় ১ হাজার কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে শুল্ক বিভাগ।
গত শনিবার সকালেও ৪শ গ্রাম স্বর্ণসহ দুই যাত্রী আটক করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। এদিকে, ভারতে পাচারের সময় শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তে ধানক্ষেতের ভেতর থেকে ২৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ২৪০ ভরি। স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় শুধুমাত্র ডিটেনশন মেমো ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করেই চুপ থাকে কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।
চোরাকারবারীদের সঙ্গে সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্যও মিলেছে। কিন্তু স্বর্ণের চোরাচালান রোধ করা যাচ্ছেনা।
একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানি করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধও রয়েছে। তাই অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী চাহিদা অনুযায়ী স্বর্ণ আমদানি করতে পারছেনা। এছাড়া ভারতে স্বর্ণের চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। ভারতে নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া স্বর্ণ আমদানি করতে পারছেনা। স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে কর কম। তাই স্বর্ণ চোরাকারবারীরা বাংলাদেশকে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। অধিকাংশ স্বর্ণের চোরাচালান চলে যাচ্ছে ভারতে। বিনিময়ে ভারত থেকে আসছে গরু।
শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ হয়ে অধিকাংশ স্বর্ণের চোরাচালান ভারতে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারীর কারণে এসব সোনা ধরা পরছে। গত ২৪ মাসে প্রায় এক হাজার কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud